সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আনুষ্ঠানিক সূচনাপর্ব থেকেই মহাপবিত্র ১২ই শরীফ মহা জাকজমকের সাথেই পালিত হয়ে আসছে। সারা পৃথিবীর মতো ভারতীয় উপমহাদেশেও রয়েছে পবিত্র ১২ই শরীফ পালনের সমৃদ্ধ ইতিহাস। আজ আমরা ভারতীয় উপমহাদেশে; বিশেষ করে বাংলায় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানবো-
নবাবী আমল: ১৫০০ ঈসায়ী সালের দিকে বাংলার নবাবী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা নবাব মুর্শিদকুলী খান ব্যাপকভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত “বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস” বইয়ের ২ বাকি অংশ পড়ুন...
৯৬২ খৃ: তৎকালীন রোমান শাসক নাকফুর ফোকাস এক অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে আলেপ্পো গ্রান্ড মসজিদে আগুন লাগিয়ে দেয়। নাউজুবিল্লাহ! সে অগ্নিকান্ডে উমাইয়া মসজিদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে আমির আবুল মাআলী সাদ আল দওলা ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদ পূণঃনির্মাণ করেন। ১১৬৯ খৃ: স্থানীয় খৃষ্টান সম্প্রদায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আলেপ্পো গ্রেট মসজিদে পূণঃরায় আগুন ধরিয়ে দেয়। যাতে দ্বিতীয় বারের মত মসজিদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন ঐ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ক্রুসেড জয়ী সেনাপতি ও ন্যায় পরায়ন বাদশাহ্ সুলতান নুরুদ্দিন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি মসজিদ পূ বাকি অংশ পড়ুন...
সারি সারি পাহাড়, সবুজের সমারোহ আর সমতল বেষ্টিত কদলপুর গ্রাম। যে গ্রামের সাথে জড়িয়ে আছে মহাবীর হযরত কদল খান গাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং ১২ আউলিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের চট্টগ্রাম বিজয়ের ইতিহাস। বারো জন আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মাধ্যমেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনুকূলে চট্টগ্রাম মুসলমানগণ বিজয় করেন। উনাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হযরত কদল খান গাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইতিহাসে হযরত কদল খান গাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে যতটুকু তথ্য পাওয়া যায় তা আলোকপাত করা হলো।
আরবীয় ভৌগলিক উনাদের তথ্যমতে, বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময়েই পৃথিবীর সব ভূখন্ডেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দাওয়াত মুবারক পৌছে গিয়েছিলো। এর মধ্যে রাশিয়াও অন্যতম। বর্তমান রাশিয়ার দাগিস্তান অঞ্চল সর্বপ্রথম মুসলিম শাসনাধীন হয়। এরপর ইতিহাসের নানা পর্যায়ে উমাইয়া, আব্বাসীয়, উসমানীয় ও সেলজুক সুলতানরা বর্তমান রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল বিজয় করেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মুসলিম শাসন ব্যবস্থা না থাকায় রুশ অঞ্চলে একাধিক মুসলিম ভূখন্ড গড়ে ওঠে। আঠারো শতকের শুরু থেকে রুশরা এসব এলাকা জুলুম করে দখল করে নেয বাকি অংশ পড়ুন...
মুঘল সালতানাতে সর্বমোট ১৯ জন শাসক শাসন করেছেন। উনাদের মধ্যে এমনও শাসক ছিলেন যারা ইতিহাসে চরম-পরমভাবে বিখ্যাত হয়ে আছেন। উনাদের শাসনকালকে ভারতবর্ষের ইতিহাসের মুসলিম শাসনের স্বর্ণযুগ বলা হয়। উনাদের মধ্যেই অন্যতম হলেন মুঘল সালতানাতের ষষ্ঠ শাসক মালিকুল হিন্দ, সুলতানুল আযীম মুহিউদ্দীন মুহম্মদ আওরঙ্গজেব আলমগীর রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি শুধু একজন শাসকই নয় বরং তিনি ছিলেন একজন বুজুর্গ ওলীআল্লাহ। উনাকে জিন্দাপীর হিসেবেও ইতিহাসে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি ছিলেন বিখ্যাত ওলীআল্লাহ ইমাম মাসুম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ।
তদানীন্ বাকি অংশ পড়ুন...
উসমানীয় সালতানাতের শ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে ইতিহাসে সুপরিচিত সুলতান সুলায়মান আল কানুনী। ইনসাফপূর্ণ শাসনের জন্য বিখ্যাত উনার শাসনকাল। তবে উনার আমলে ইলমের প্রচার প্রসারের ব্যাপকতা ছিলো প্রবল।
সুলতান সুলায়মান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন শিক্ষাক্ষেত্রে। উসমানীয় সালতানাতের শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের দিকে উনার বিশেষ মনোযোগ লক্ষণীয়। কারণ তিনি সালতানাতের উন্নয়নে জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের অবদান সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন ছিলেন এবং এটিকে তিনি মুসলিম শাসনের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে অগ্রাধিকার দেন। তিনি শিক্ষা ও শিক্ষিতদের বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৫৭ সালের ১৮ নভেম্বর, চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডে ব্রিটিশ শোষণের বিরুদ্ধে পূর্ববঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন ৩৪ নম্বর নেটিভ বেঙ্গল পদাতিক বাহিনীর একজন মুসলিম হাবিলদার। চট্টগ্রামের মাটিতে ব্রিটিশ বেনিয়া হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো বিদ্রোহের পতাকা সেদিন উড়িয়েছিলেন হাবিলদার মুহম্মদ রজব আলী খাঁ।
বিদ্রোহের আগে ৪ নম্বর কোম্পানির হাবিলদার পদে উত্তীর্ণ হন এই বীর সিপাহি। কোম্পানির সেনাবাহিনীর ৩৪ নম্বর নেটিভ বেঙ্গল পদাতিক বাহিনীর ১২০ জন হাবিলদার ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে পরহেজগার ও আল্লাহওয়ালা ব্যক বাকি অংশ পড়ুন...
চলতি ২০২৩ সালের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী জাতীয় বা এনসিটিবির পাঠ্যসূচি সাজানো হয়েছে। নতুন অনেক বিষয় সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু নতুন পাঠ্যবইগুলোতে স্থান পেয়েছে ভুল তথ্য ও তত্ত্ব। ফলে ভূল শিক্ষা গ্রহণ করবে দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী।
চলতি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নতুন কারিকুলামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ‘গোত্রবদ্ধ সমাজ থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র’ অধ্যায়ে ৯৮ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি কয়েকটি বিহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস এবং রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে নদীয়া ও গৌড় দখলকারী বখতিয়ার প বাকি অংশ পড়ুন...
দেশটির সরকারি ভাষা ফরাসি। মোট জনসংখ্যা ২৭ কোটি ৪৮ লাখ এক হাজার ৮৬ জন। দেশটির মোট জনসংখ্যার অধেকেরই বেশি মুসলমান। আয়তন তিন লাখ ২২ হাজার ৪৬২ কিমি। আইভরি কোস্টের নামকরণের ব্যাপারে বলা হয়, প্রাচীনকালে আফ্রিকার ব্যবসায়ীরা হাতির দাঁত একত্র করে উপকূলে এসে বিক্রি করত। তা থেকেই ‘আইভরি কোস্ট’ বা ‘হাতির দাঁতের উপকূল’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
আইভরি কোস্টে নানা উপায়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমন হয়। তৎকালীন সময়ে মুসলিম ব্যবসায়ীদের পদচারণ ছিল আফ্রিকার এ অঞ্চলে। ব্যবসা-বাণিজ্যে মুসলিম বণিকদের সদাচার ও সততা দেখে মুগ্ধ হয় স্থানীয়রা। মুস বাকি অংশ পড়ুন...
চলতি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নতুন কারিকুলামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ‘গোত্রবদ্ধ সমাজ থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র’ অধ্যায়ে (পৃষ্ঠা ৯৮) বলা হয়েছে, “১২০৪ সাধারণ অব্দে বাংলার পশ্চিম অংশে আবারো নতুন একটি রাজশক্তির উত্থান হয়। সুদূর তুরস্ক থেকে আগত একজন উচ্চাভিলাষী যোদ্ধা আমাদের বাংলা অঞ্চলের বৃহৎ একটি অংশ দখল করে নেন। তিনি হলেন ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজি।
ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতে, এনসিটিবির ৬ষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের এই তথ্যটি শুদ্ধ নয়। কারণ পাঠ্যবইয়ে বলা হয়েছে, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিল বাকি অংশ পড়ুন...












