ফযীলত ও বুযূর্গী:
হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মক্কা শরীফ বিজয়ের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাজীদের পানি পান করানোর বংশীয় দায়িত্বটি উনাকে প্রদান করেন।
হুনাইনের জিহাদে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একই বাহনে আরোহী ছিলেন। এই জিহাদে তিনি খুবই বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন এবং স্বীয় উচ্চ আওয়াজে যুদ্ধের গতি পাল্টিয়ে দিয়েছিলেন।
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে বাকি অংশ পড়ুন...
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُوْمُ ثَلَاثَةَ اَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ مِنْ اَوَّلِ الشَّهْرِ وَالْـخَمِيْسَ الَّذِيْ يَلِيْهِ ثُـمَّ الْـخَمِيْسَ الَّذِيْ يَلِيْهِ.
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা মুবারক রাখতেন। মাসের প্রথম সপ্তাহে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ, তার পরবর্তী সপ্তাহে ইয়াওমুল খামীস এবং তার পরবর্তী সপ্ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাযির-নাযির এ সম্পর্কে যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّــاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْــرًا
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি শাহিদ অর্থাৎ সাক্ষ্যদাতা, উপস্থিত বা হাযির-নাযির হিসেবে, সুসংবাদ দানকারী এবং সতর্ককারীরূপে।” (পবিত্র সূরা ফাত্হ : আয়াত শরীফ ৮)
আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারকই বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ১৬ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ এবং আরো কয়েকখানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মাধ্যমে। আরো ৭ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সৃষ্টির কারো মতো নন। এ বিষয়গুলো মুখস্থ করা ফরযে আইন।
উম্মতের জন্য ও মুসলমানদের জন্য আফসূস! তারা কিন্তু হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক বুঝতে পারে নাই। নাউযুবিল্লাহ! যার জন্য দেখা যায় সমস্ত কিতাবের মধ্যে, যে কিতাবেই হোক, সর্বশেষে উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বর্ণনা করা হয়েছে। নাউয বাকি অংশ পড়ুন...
১। মহান আল্লাহ পাক উনাকে অর্থাৎ উনার সন্তুষ্টি মুবারক তলব করেন।
২। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনার সন্তুষ্টি মুবারক তলব করেন।
৩। পরকাল অর্থাৎ মহাপবিত্র দীদার মুবারক তলব করেন।
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا
অর্থ: (ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (মানুষদের) মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন এ ব্যাপারে) যারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত। ” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ১১৯)
দাড়ি মু-ন করা আকৃতি-বিকৃতি করার নামান্তর। যা সম্মানিত শরীয়তে হারাম।
বাকি অংশ পড়ুন...
বদরের জিহাদে:
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে। যখন হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি বদরের জিহাদে বন্দী হলেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম! আপনি আপনার নিজের, আপনার ভ্রাতুষ্পুত্র আকিল ও নওফল এবং আপনার বন্ধু-গোত্রের উতবার মুক্তিপণ আদায় করুন, কারণ আপনি বিত্তশীল লোক। ” হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম বললেন, “আয় মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অন্তরে মুসলমান ছিলাম, কিন্তু লোকেরা আমাকে যুদ্ধে নামতে বাকি অংশ পড়ুন...
আর এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’-এ উল্লেখ রয়েছে,
مَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّ كُفْر الْيَهُودِ عِنَادٌ وَجُحُودٌ وَمُبَاهَتَةٌ لِلْحَقِّ وغَمْط لِلنَّاسِ وتَنَقص بِحَمَلَةِ الْعِلْمِ وَلِهَذَا قَتَلُوا كَثِيرًا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى هَمُّوا بِقَتْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرَ مَرَّةٍ وَسَحَرُوهُ وألَّبوا عَلَيْهِ أَشْبَاهَهُمْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
অর্থ: ইহুদীরা ঈমানদার উনাদের সাথে যে চরম শত্রুতা পোষণ করে তার কারণ এই যে, ইহুদীদের কুফরীসমূহ- চরম অবাধ্যতা, একগুঁয়েমী, জেদ, অবিশ্বাস, আস্বীকার, হক্বের ব বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো স্পষ্ট করে বললেন-
إِنَّمَا يُرِيدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
“নিশ্চয়ই যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চান, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। সমস্ত প্রকার নাপাকী দূর করে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করা হয়েছে। ” সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে সব জবাব দিয়ে দিলেন। সুবহান বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَلَا تُقَاتِلُونَ قَوْمًا نَكَثُوا أَيْمَانَهُمْ وَهَمُّوا بِإِخْرَاجِ الرَّسُولِ وَهُمْ بَدَءُوكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ أَتَخْشَوْنَهُمْ فَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَوْهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
অর্থ: আপনারা কি সেই জাতির বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন না, যারা তাদের শপথ ভঙ্গ করেছে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থান মুবারক করার বিষয়ে বিরোধিতা করেছে এবং তিনি যেন সেখান থেকে পবিত্র মদীনা শরীফে সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন এ বিষয়ে তারা ষড়যন্ত্র করেছে? আর এরাই প্রথম বাকি অংশ পড়ুন...












