১৯৩১ সাল। কাশ্মির উপত্যকার শাসক হয়ে আসে কুখ্যাত মুসলিমবিদ্বেষী শাসক হরি সিং। শাসনক্ষমতা পেয়েই সে মুসলমানদের উপর শুরু করে অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন। সেই বছরের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ। কাশ্মীরে পালিত হচ্ছিলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উৎসব পালন করছিলেন মুসলমানরা। ঈদুল ফিতর উনার নামাযের পূর্ব মুহূর্তে হরি সিংয়ের পুলিশের ডিআইজি ঈদের নামাজে খুতবা বন্ধের আদেশ দেয়।
কিন্তু তৎকালিন ‘ইয়ং মুসলিমস এসোসিয়েশন’ দলের নেতা মীর হুসাইন বখশ জুমুয়াহ ও ঈদের নামাযের খুতবা বন্ধের সরকারি নির্দেশের প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিলেন। সারা কাশ্মীরের হা বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান বিশ্বে যে যুদ্ধ জাহাজ শিল্প গড়ে উঠেছে তার মূল রচয়িতা ছিলেন আরব মুসলমানগণ। কিন্তু বিধর্মী ঐতিহাসিক এবং তথ্য-সন্ত্রাসের কারণে মুসলমানদের এসব সমৃদ্ধ ইতিহাস ধামাচাপা পড়ে আছে।
হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিলাফতকাল থেকেই আধুনিক সমরবিদ্যায় চরম সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন মুসলমানগণ। এর মধ্যে অন্যতম হলো নৌযুক্ত। নৌযুদ্ধের সূচনা হয়েছিলো আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতকালে। উনারই সম্মানিত পৃষ্ঠপোষকতায় সাইয়্যিদুনা হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু ত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আছিম ইবনে উমর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত- ঐতিহাসিক উহুদ জিহাদের পর আদল ও কারাহ গোত্রের কতিপয় লোক পবিত্র মদীনা শরীফ আগমন করতঃ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আরজ করলো যে, তাদের গোত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছে। অতএব, কয়েকজন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যাতে তাদের সাথে দেয়া হয় গোত্রের লোকজনকে দ্বীন ইসলাম উনার তালিম তালকীন দেয়ার জন্য।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের সাথে হযরত আছিম রদ্বিয়াল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে সমুদ্র অভিযান, নৌ-যুদ্ধ, নৌ-বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান দখল করে আছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দয়া ইহসান মুবারক করে আরব উনার পবিত্র ভূমিতে তাশরীফ মুবারক নিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলোয় আরববাসীকে আলোকিত করার পর মূলত নৌ-চালনায় মুসলমানগণ দক্ষ হতে থাকেন। ইসলামপূর্ব যুগে আরববাসীরা নৌপথে যাতায়াতে অভ্যস্ত ছিলো না। আরবের হিমিয়ার ও সাবা গোত্রের নিকট কিছু সাধারণ নৌযান ছিলো। তারা এগুলো আভ্যন্তরিন পরিবহনের কাজে ব্যবহার করতো। হিজাজের অ বাকি অংশ পড়ুন...
পৃথিবীব্যাপী নৌপথে মানুষের যাতায়াত এবং বাণিজ্য দীর্ঘকাল ধরে চলমান। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমনের পূর্ব থেকে আরবের মানুষ সমুদ্রপথে বাণিজ্য করত। সম্মানিত হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সময়ে সামুদ্রিক বাণিজ্যের ধারা আরো গতিশীল হয়। সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার পরিধি বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সমুদ্র বাণিজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা উমাইয়া ও আব্বাসীয়দের যুগেও অব্যাহত থাকে।
বাণিজ্যিক এসব কাফেলার মাধ্যমেই ভারত মহাসাগরের উপকূলে, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনসহ বিশ্বের কোনায় কোনায় সম্ম বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশাসনের শীর্ষে বিধর্মী কর্মকর্তারা যে কতবড় সর্বনাশের কারণ হতে যাচ্ছে মুসলমানদের জন্য সেটা আজ এই বঙ্গবাসী মুসলমানেরা কল্পনাও করতে পারছে না। বাস্তব এটাই যে এই বিধর্মীরাই এই পাক ভারত উপমহাদেশে তিলে তিলে মুসলমানদের শোষণ করেছে। অথচ ইতিহাসের শিক্ষা এটাই যে মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহন করে না।
ব্রিটিশ ঐতিহাসিক হান্টার বলেছে- “এ প্রদেশের ঘটনাবলীর সাথেই আমি বিশেষভাবে পরিচিত। তার ফলে আমি যতদূর জানি, তাতে করে ইংরেজ আমলে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখানকার মুসলমান অধিবাসীগণ”। -(W.W Hunter The Indian Mussalmans. pp. 140-141)।
সে সময়ে বাংলা বলতে বাংলা, বিহা বাকি অংশ পড়ুন...
হর্ন অব আফ্রিকা বা আফ্রিকার শিং অঞ্চলে অবস্থিত দেশ জিবুতি। এর দক্ষিণে আছে সোমালিয়া, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ইথিওপিয়া, উত্তরে ইরিত্রিয়া আর পূর্ব দিকে আছে লোহিত সাগর ও ইয়েমেন উপসাগর। অন্য আফ্রিকান দেশের মতো জিবুতির ভূমিও পর্বতসংকুল ও শুষ্ক।
২৩ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট দেশে রয়েছে আটটি পর্বতমালা। তবে আছে `লেক আবি' ও`লেক আসাল নামের দুটি বিখ্যাত লেক। খ্রি: ২৪৭ সালে জিবুতি ম্যাক্রোবিয়ানসদের শাসনের অন্তর্ভূক্ত হয়, যা জিবুতিতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমনের পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
মূলত সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল ম বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আযম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককালে বেশ কয়েকটি জিহাদ সংগঠিত হয়েছিলো। যার মাধ্যমে অত্যাচারী বাইজেন্টাইনদের সমুচিত শায়েস্তা করেন এবং সিরিয়া, জর্ডান, কিন্নিসিরিন, এন্টিওক, সিডন, মিশর প্রভৃতি ভূখ- মুসলমানগণ উনাদের বিজয়ের দ্বারা সমৃদ্ধ হয়।
আজনাদাইনের যুদ্ধে মুসলমানগণ বিজয় লাভ করেন এবং ফিলিস্তিন ও সিরিয়া বিজয়ের পর উন্মুক্ত হয়। তখন আমিরুল মুমিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি মুসলিম সেনাবাহিনী এবং উনার নেতৃত্বভারে থাকা হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ফিলিস্ত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মক্কা শরীফ এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার প্রতি মুসলিম উম্মাহর গভীর আবেগ-অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটি মুসলমান পবিত্র মক্কা শরীফ এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার জিয়ারত মুবারকের আরজু নিয়েই বেড়ে ওঠে। এর প্রধান কারণ হলো, এই সম্মানিত ভূমি সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন, খতামুন নাবিয়্যিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারকে ধন্য। সুবহানাল্লাহ!
পাশাপাশি, পবিত্র এই ভূমিতেই মুসলমানরা পবিত্র হজ্জ্ব পালন করে থাকেন। আর যুগ যুগ ধরে তাই পবিত্র হজ্জ্ব পালন সহজ করার জন বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে সময়ে কিছু বুদ্ধিজীবি নামধারী বুদ্ধি প্রতিবন্ধীরা বলে থাকে ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে এতদ্ব অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছিলো। মূলত তারা কট্টর মুসলিমবিদ্বেষ থেকেই এমনটা বলে থাকে। কারণ ভারতীয় উপমহাদেশের আধুনিক শিক্ষার বিস্তার ঘটেছিলো মূলত মাদরাসা শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই। খোদ ব্রিটিশরাই স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলো যে, তাদের কথিত শিক্ষা ব্যবস্থা মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ধারের কাছেও ছিলো না।
১৭৬৫ সালে বাংলায় ৮০ হাজার মক্তব-মাদরাসা ছিল। এই ৮০ হাজার মক্তব-মাদরাসার জন্য বাংলার চার ভাগের এক ভাগ জমি ল বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশাসনের শীর্ষে বিধর্মী কর্মকর্তারা যে কতবড় সর্বনাশের কারণ হতে যাচ্ছে মুসলমানদের জন্য সেটা আজ এই বঙ্গবাসী মুসলমানেরা কল্পনাও করতে পারছে না। বাস্তব এটাই যে এই বিধর্মীরাই এই পাক ভারত উপমহাদেশে তিলে তিলে মুসলমানদের শোষণ করেছে। অথচ ইতিহাসের শিক্ষা এটাই যে মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহন করে না।
ব্রিটিশ ঐতিহাসিক হান্টার বলেছে- “এ প্রদেশের ঘটনাবলীর সাথেই আমি বিশেষভাবে পরিচিত। তার ফলে আমি যতদূর জানি, তাতে করে ইংরেজ আমলে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখানকার মুসলমান অধিবাসীগণ”। -(ড.ড ঐঁহঃবৎ ঞযব ওহফরধহ গঁংংধষসধহং. ঢ়ঢ়. ১৪০-১৪১)।
সে স বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতের মুসলিম শাসনের মধ্যে বহু সুলতান দিল্লী শাসন করেছেন। উনাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন ন্যায়পরায়নতার দিক থেকে অনেক উচু স্তরের। তাদের মধ্যেই একজন সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন। উনার মূল নাম ছিলো বাহাউদ্দিন। গিয়াসউদ্দিন বলবন ছিলো উনার উপাধী। দিল্লীর ৯ম মামলুক সুলতান ছিলেন তিনি।
সম্মানিত শরীয়ত অনুসারে তিনি উনার শাসনব্যবস্থার স্তর সাজিয়েছিলেন। উনার শাসননীতি শক্তি, সম্মান ও সুবিচারের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। অপরাধীদের প্রতি তিনি অত্যন্ত কঠোর হলেও জনসাধারণদের প্রতি তিনি ছিলেন দয়ালু, উদার ও সুদক্ষ শাসক এবং নিরপেক্ষ বিচারক হিস বাকি অংশ পড়ুন...












