বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উপজাতিদের অপপ্রচারে সহযোগিতা করছে- নরওয়ে ও ডেনমার্কের ‘ডনাক’ প্রকল্প।
জড়িত আছে এদেশীয় কিছু এনজিও ও সুশীল নামধারী দেশদ্রোহীরা। সরকারের উচিত- এ সকল দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
, ২৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৯ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
পাহাড়ে গুম, খুন ও সন্ত্রাস থামানোর লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্তুর সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করে। পার্বত্য চুক্তির কারণ ও আশা আকাঙ্খা ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের চলমান সঙ্কট নিরসন, অস্থিরতা বন্ধ করা, সংঘর্ষ অবসান করে পাহাড়ের শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেওয়া। কিন্তু তার কোনটিরই প্রতিফলন ঘটেনি উপরোক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে। বরং অতিরঞ্জিত সুবিধা ভোগ করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নির্বিঘেœ কাজ করার সুযোগ পেয়েছে বলা যায়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, অবৈধ অস্ত্র পাহাড় থেকে সম্পূর্ণরূপে পরিহার হয়নি।
মূলত উপজাতি সন্ত্রাসী কোনোসময়ই স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি। ১৯৭১ সালে সদ্য দেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবেন্দ্রের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে শান্তিবাহিনী নামধারী অশান্তি বাহিনী গঠন করা হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত, ক্ষতবিক্ষত ও অগোছালো নব্য স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেওয়া হয়েছিল মূলত বাংলাদেশ যাতে পূর্নগঠনের কোনো প্রকার সুযোগ না পায়। ১৯৭৫ সালে উপজাতি সন্ত্রাসীরা স্বাধীন দেশের বনবিভাগের উপর হামলা চালায়। তখন পার্বত্যাঞ্চলে কোনো বাঙালিই ছিলো না। এই হামলার মাধ্যমে তারা স্পষ্টতই জানান দিয়েছিলো যে, তারা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধী।
পার্বত্য চট্টগ্রামের চরম বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা উপজাতি জনগোষ্ঠীর একটি কতিপয় অংশ মেনে নিতে পারেনি। আত্মস্বীকৃত রাজাকার ত্রিদিব তারই জলন্ত উদাহরণ। স্বাধীনতার পূর্বে থেকে তথাকথিত চাকমা পরিবার চায়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম পশ্চিম পাকিস্তানের অংশে পড়–ক। তারা চেয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ভারতের অংশে পড়–ক এবং বান্দরবান বার্মার অংশে পড়ুক। সেজন্যই তারা ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগকালে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলো এবং বান্দরবান অংশে বৌমাং সার্কেল বার্মার পতাকা উত্তোলন করেছিলো।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ সৃষ্টির পর কুখ্যাত দেশদ্রোহী উপজাতি সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাহাড়ে সেনা মোতায়েন করা হয়। সেনা মোতায়েনের পর থেকেই উপজাতি সন্ত্রাসীরা তাদের অপতৎপরতার পথে প্রধান বাধা হিসেবে পায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে। এজন্য বিভিন্ন সময়ে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ পরিচালনা করে। এ পর্যন্ত পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের হামলায় বহু সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। শুধু হামলাই নয়, পাহাড়ে যাতে কোনো সেনা ইউনিট থাকতেই না পারে এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অপপ্রচার চালাচ্ছে উপজাতি সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগী এদেশীয় দালাল শ্রেণী।
সেনাবাহিনী মাঝেমধ্যে যৌথবাহিনী সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা পূর্বক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে। সেনাবাহিনী যখন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে, তখন উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোর আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদাবাজি সহ সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনা করতে বেগ পেতে হয়। সেজন্যেই মূলত উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তথাকথিত গণমাধ্যম, এনজিও, সংস্থা ও মিশনারী সহ এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা জাতিসংঘের নিকট সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনী নেওয়া বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে নানান ষড়যন্ত্র করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ও বাঙালিরা উপজাতিদের ভূমি দখল করে, উপজাতি নারী সম্ভ্রমহরণ করে এবং অপারেশন উত্তোলনের নামে জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন করে! এই ধরনের মিথ্যা-বানোয়াট কাল্পনিক অভিযোগ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনে তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক মাসিক ও বাৎসরিক পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে জঘন্যতম রিপোর্ট তৈরি করা হয়। এসব রিপোর্ট মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ রিপোর্ট গুলো তৈরি করতে সহযোগিতা করে এদেশীয় তথাকথিত সুশীল, বাম ও গণমাধ্যমগুলা। আর এদের সবাইকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগীতা করে ‘ডেনমার্ক ও নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ডনাক) নামের একটি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা।’ প্রতিবেদন গুলো জাতিসংঘের দপ্তরে পৌঁছাছে ভূমিকা রাখে এদেশে নিয়োজিত থাকা পশ্চিমা ও ইউরোপীয় কুটনৈতিক ও জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ডয়েচে ভেলে।’
প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মুক্তির অগ্রদূত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কারণে অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুম করতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তার জন্য মূলত তারা পাহাড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি মেনে নিতে পারছে না। সেজন্যই দেশ-বিদেশ এবং জাতিসংঘে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা- বানোয়াট রিপোর্ট প্রদান করছে। আমরা মনে করি, দেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী, বিচ্ছিনতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীদের এসকল অপপ্রচার ও তথ্যসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার কোনোভাবেই নিরব ভূমিকা পালন করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন সরকারের উচিত হবে, যেহেতু উপজাতি সন্ত্রাসী এবং কুখ্যাত সন্তু শান্তিচুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে পাহাড়ে এখনো সন্ত্রাসের রাজ কায়েম করে রেখেছে সেজন্য অনতিবিলম্বে পাহাড়ে পূর্বের মতো সেনাবাহিনী মোতায়েন করা। পাহাড়ের অসহায় বাঙালিদের নিরাপত্তা এবং সাবলীল জীবনযাপনের স্বার্থে পাহাড়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে সেনাচৌকি স্থাপন করা। আলাদাভাবে পাহাড়ে নজরদারি ও দুর্গম স্থানে অভিযান পরিচালনার জন্য উন্নত সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা, ক্রয় করা।
পরিশেষে সরকারকে মনে রাখতে হবে, এই উপজাতি সন্ত্রাসীরা দেশ স্বাধীনের পর থেকেই বাংলাদেশের বিরোধীতা করে আসছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এসকল দেশবিরোধী অপশক্তিকে দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে। আর এটাই দেশের স্বাধীনতাকামী দেশপ্রেমিক জনতা ক্ষমতাসীন সরকারের কাছ থেকে আশা করে থাকে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে শহীদ করা জায়নবাদী তথা বর্বর ইহুদীরা কাপুরুষতার প্রমাণ দিয়ে অতীত ইতিহাস থেকে একের পর এক গুপ্তহত্যা করে আসছে ইহুদীদের গুপ্তহত্যার অনেক নিন্দা, ধিক্কার এবং প্রচারণা ও প্রতিহতের প্রচেষ্টা দরকার (পর্ব-১)
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফও বেশি বেশি করতে হবে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতা, খুন আর আত্মহত্যা মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ সরকারের উচিত জাতীয়ভাবে দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ ও শিক্ষা প্রচার ও প্রসার করে এই সামাজিক সমস্যাটি দূরিকরণ করা।
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের প্রথম ধনী দেশ। এক উত্তারাঞ্চলের খনিজ উত্তোলন করলেই গোটা দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা বরদাশতযোগ্য নয়।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি?
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রতি বছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক “অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নতুন আশঙ্কা এবং বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমেছে”- এ তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। নচেৎ সাধারণ অসুখেই প্রাণনাশ হতে পারে
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)