যাকাত তো মোটেই নয় রাজধানীর অধিকাংশ ভিক্ষুক ভিক্ষারই উপযুক্ত নয়। এ রমজানেও মৌসুমী ভিক্ষুক বেড়েছে অনেক। যাদের অনেকে ভিক্ষা নেয়ার পরিবর্তে নিজেরাই শরীয়তের দৃষ্টিতে যাকাত দাতা। ভিক্ষুক মাত্রই- ভিক্ষা ও যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত নয়।
, ২২ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০২ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
বগুড়ার মহাস্থানগড়ের দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন (৩২)। স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে রোজার প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় এসেছেন। উদ্দেশ্য মানুষের কাছে সাহায্য চাওয়া। এভাবে রোজার মাসে যে কয় টাকা পাবেন, ঈদের আগে তা নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।
বগুড়ার আল-আমিন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসেছেন। ফার্মগেট এলাকায় সারাদিন ভিক্ষার পর ফুটপাতে রাতে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
আল-আমিন জানান, তিনি এক সন্তানকে নিয়ে একদিকে, আর অন্যদিকে তার স্ত্রী মমতাজ আরেক সন্তান নিয়ে আরেক দিকে ভিক্ষা করছেন।
দুইজন মিলে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার করে জমাতে পারছেন বলে জানান।
ঢাকায় আসার পরামর্শের বিষয়ে আল-আমিন বলেন, 'ঢাকায় গেলে টাকা পাওয়া যায় এলাকায় শুনেছি। রোজার সময় মানুষ যাকাত, ফেতরা, শাড়ি-লুঙ্গি দেয় শুনেছি। তাই এলাকার পরিচিত কয়েকজনের পরামর্শে ঢাকায় এসেছি। '
সরেজমিনে বেশকিছু ভিক্ষুকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইতোমধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে বিপুল সংখ্যক ভিক্ষুক রাজধানীতে এসেছে। এদের মধ্যে পেশাজীবী ভিক্ষুক ও অতিথি ভিক্ষুকের সংখ্যাই বেশি। ঢাকায় বেশ কিছু সিন্ডিকেট দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বল্প আয়ের মানুষদের ভাড়া করে ঢাকায় এনে খ-কালীন ভিক্ষাবৃত্তিতে নামিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আত্মীয় স্বজন নিয়ে ঢাকায় এসে এক মাসের জন্য বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে, মসজিদের সামনে, ব্যাংকপাড়া ও অভিজাত এলাকায় ভিক্ষার কাজে নেমে পড়ছে।
রমজানকে সামনে রেখে রাজধানীতে বাড়ছে মৌসুমি ভিক্ষুকের সংখ্যা। এবারও ঢাকার বাইরে থেকে বিপুল সংখ্যক ভিক্ষুক রাজধানীতে এসেছে। ঈদকে সামনে রেখে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য নগরীতে আসা লোকের সংখ্যা বাড়ছেই।
ঢাকায় নিয়মিত ভিক্ষা করেন এমন কয়েকজন ভিক্ষুক জানান, রমজান এলেই রাজধানীতে থাকা বিভিন্ন স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের আত্মীয়দের নিয়ে আসেন খ-কালীন ভিক্ষাবৃত্তির জন্য। অনেকে রমজানের একমাসের জন্য বাসা ভাড়া নিয়ে বা আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসে রাজধানীতে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে দেন। ঢাকার বাইরে থেকে আসা বেশিরভাগ ভিক্ষুকের লক্ষ্য থাকে অভিজাত এলাকা এবং এর আশপাশের ট্রাফিক সিগন্যালে ভিক্ষা করা। এছাড়া স্থানীয় ছোট বড় মার্কেট ও মসজিদের সামনেও তারা নিয়মিত ভিড় করেন।
এ বিষয়ে লালমাটিয়া এলাকায় নিয়মিত ভিক্ষা করা ইসমেত আরা (৫৪) বলেন, দেশের নানান জায়াগা থেকে ভিক্ষা করতে বহু লোক ঢাকা আসে। বরিশাল, ভোলা, মোমেনশাহী এসব এলাকা থেকে বেশি আসে। স্বামী ঢাকায় রিকশা চালায় গ্রাম থেকে রমজানের সময় স্ত্রীরে নিয়ে আসে ভিক্ষা করাতে। এদের ব্যবসাই এটা। নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় বাসায় থাকে তারা। আবার ভিক্ষা করতে একসাথে আসা কয়েকজন মিলেও ঘর ভাড়া নেয় এক মাসের জন্য।
রমজানে মৌসুমি ভিখারিরা দৈনিক ১৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করে জানিয়ে পান্থপথ-মিরপুর রোডের সিগন্যালে বসা শারীরিক প্রতিবন্ধী মেহেরুন (৪১) বলেন, আমরা দুইটা প্রাইভেট কারের সামনে যাইতে পারলে নতুন আসারা যাইতে পারে দশটার সামনে। পরে আমরা গেলে বলে- কয় জনারে ভিক্ষা দিমু। এরা একাই দিনে হাজার-দুই হাজার টাকা কামায়া নিয়া যায়। আমার তো পায়ে সমস্যা। আর যারা নতুন আহে তাগো শরীর-স্বাস্থ্য ভালো, কোলে ছোট বাচ্চা নিয়া ঘোরে। জ্যাম লাগলেই দৌড়াইয়া সব গাড়িতেই যায়।
শুক্রাবাদ এলাকার আরেক ভিক্ষুক আবসার বলেন, ‘মসজিদগুলাতে রমজান আইলে লোক বাড়ে। এরা তো সারা বছর এইখানে থাকে না। জুমুয়াহবার হইলে ওদের জন্য ঠিক মতো কারও কাছে থেইকা সাহায্য নিতে পারি না। রোজাতে মানুষ কম-বেশি দান-খয়রাত করে। কিন্তু চাওয়ার মানুষ বেশি হইলে তখন সবাইরে ভাগ দিয়া-সেই সারা বছরই যা পাই তাই। আর এরা তলে দিয়া ফাউ এক মাসের কামাই নিয়া যায়। ’
তবে প্রয়োজন না হলে রাস্তায় ভিক্ষা করতে নামেন না জানিয়ে মাসখানেক ধরে পান্থপথ-মিরপুর রোডের সিগন্যালে ভিক্ষা করতে আসা আবদুল আলি (৬৩) বলেন, ‘রমজানের সময় খরচ বাইড়া যায়। তাই মাঝে মাঝে আসি। সব সময় ভিক্ষা করি না। '
রাজধানীতে বর্তমানে তিন ধরনের ভিক্ষুক দেখা যায়। এরমধ্যে রয়েছে সাময়িক সময়ের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় আসা অতিথি ভিক্ষুক। যারা বিশেষ দিবস বা দিনকে টার্গেট করে ভিক্ষার কাজে নামে। এরপর ফিরে যায় নিজ এলাকায় ও পুরোনো পেশায়।
বছরজুড়ে বিভিন্ন গণপরিবহন, অফিসপাড়া, বিভিন্ন মসজিদের সামনে ও বাসা বাড়িতে সুস্থ শরীরের নানা বয়সী নারী-পুরুষ ভিক্ষাবৃত্তি করেন। এদের অনেকেই সুস্থ স্বাভাবিক হলেও বিভিন্ন বাহানা দিয়ে ভিক্ষা করেন তারা। এরা মূলত রাজধানীর পেশাজীবী ভিক্ষুক।
এছাড়াও সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র কর্মহীন ও অসুস্থ অনেকেই সহায়তা চেয়ে ভিক্ষা করে থাকেন। সারাদিন ভিক্ষার অর্থ ও উত্তোলিত খাদ্যসামগ্রী দিয়েই চলে তাদের জীবন জীবিকা।
ঢাকার স্থায়ী ভিক্ষুকদের কাছ থেকে জানা গেছে, শব-ই-বরাত, শব-ই-কদর এবং ঈদে পাড়া মহল্লা ও মসজিদের সামনে অনেক অপরিচিত ভিক্ষুকের আনাগোনা বাড়ে।
উল্লেখ্য, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ২০১০ সালে ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি হাতে নেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। তবে ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর পার হলেও সারাদেশের মাত্র ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তর কিংবা প্রকল্পের তেমন কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি।
সরকার ভিক্ষুক পুনর্বাসনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। তবে যারা দায়িত্বরত আছেন বাস্তবে তাদের কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো না। ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানে এত টাকা ব্যয় করছে সরকার সেই টাকার কাজ কোথায় হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে সরকারের ব্যয় হলেও কাজ হচ্ছে না। ফলে ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে। যদি ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান করা যেত, তাদের পুনর্বাসন বাস্তবায়ন করা যেত তাহলে রাজধানীতে ভিক্ষুক থাকতো না। সমাজে প্রতিটি সেক্টরেই দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণেই ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন শতভাগ বাস্তবায়ন হয় না। ’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বিমানবন্দরে প্রবেশ পথের পূর্ব পাশের চৌরাস্তা, বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ি ও এর আশপাশের এলাকা, হোটেল রেডিসন সংলগ্ন এলাকা, ভি আই পি রোড, বেইলী রোড, হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল রূপসী বাংলা সংলগ্ন এলাকা, রবীন্দ্র সরণি এবং কূটনৈতিক জোন সমূহের এলাকা প্রাথমিকভাবে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেছে সরকার। এ সকল এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নিয়মিত মাইকিং, বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিতরণ এবং বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফ্লাগস্ট্যান্ড মেরামত ও নতুন স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে। তবে অন্যান্য এলাকাগুলোতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের এমন কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে কড়াকড়ি হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। নতুন করে দেশটি সতর্কতা জারি করে বলেছে, যারা ভিক্ষা করবে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী, ভিক্ষা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এ অপরাধ করলে তাকে তিন মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার দিরহাম জরিমানা করার বিধান রয়েছে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় দেড় লাখ টাকার সমান।
আমিরাতের পাবলিক প্রসিকিউশন জোর দিয়ে বলেছে, যে কোনোভাবে ভিক্ষা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আর যাদের ভিক্ষা করার অপরাধে ধরা হবে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
পাবলিক প্রসিকিউশন আরও সতর্কতা দিয়ে বলেছে, যদি স্বাস্থ্যবান কেউ ভিক্ষা করেন, জীবন চালানোর উপায় থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করেন, আহত বা প্রতিবন্ধী সেজে করুণা পাওয়ার চেষ্টা করেন অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষকে সহায়তা করার নাম করে সাহায্য তোলার সময় ধরা পড়েন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হবে-সেটি সত্যিকারের ভিক্ষুকদের যে শাস্তি দেয়া হয় তার চেয়েও কঠিন হবে।
আসন্ন পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়ে কেউ অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা বা ভিক্ষা করলে তাকে ৭ বছর কারাগারে থাকতে হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন।
এছাড়া যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করলে দ-ের পাশাপাশি পাঁচ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল জরিমানাও করা হবে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
শরীয়তে ভিক্ষাবৃত্তিকে জায়েজ করা হয়েছে নিঃস্ব, গরিব, মিসকিন, অসহায়দের কল্যাণার্থে। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে, যারা শারীরিকভাবে সক্ষম ও শক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তিকে নিজেদের জীবন নির্বাহের প্রধান পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে, যা একেবারেই লাঞ্ছনাকর। তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ভিক্ষাবৃত্তি পেশাকে নিরুত্সাহিত করে পবিত্র হাদীছ শরীফে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘কষ্ট করে পিঠে বোঝা বহন করে জীবনযাপন করা ভিক্ষাবৃত্তি থেকে অনেক উত্তম। ’ (বুখারি:১৪৭১)।
অর্থাৎ ভিক্ষাবৃত্তি না করে যেকোনো একটি পেশা অবলম্বন করার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে যাদের ঘরে এক দিন এক রাতের খাবারের ব্যবস্থা আছে, তাদের জন্য অন্যের কাছে ভিক্ষার হাত বাড়ানো অনুচিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ ধরনের লোকদের ওই দিনের জন্য অমুখাপেক্ষীদের কাতারে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ধনী (অমুখাপেক্ষী) হওয়া সত্ত্বেও সম্পদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অন্যের কাছে কিছু চায়, সে অধিক দোজখের আগুন চায়।
অন্য বর্ণনায় আছে, জাহান্নামের জ্বলন্ত অঙ্গার চায়। সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ধনী (বা মুখাপেক্ষী) হওয়ার সীমা কী, যার কারণে অন্যের কাছে কিছু চাওয়া অনুচিত হয়? তিনি বলেন, কারো কাছে এমন সম্পদ থাকা, যা তার সকাল ও সন্ধ্যার প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট। অপর এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তির কাছে এমন পরিমাণ সম্পদ হবে, যা তার রাত-দিন বা দিন-রাতের জন্য যথেষ্ট। (আবু দাউদ, হাদীস : ১৬২৯)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফে অবশ্য আরেক স্তরের অমুখাপেক্ষীরও বর্ণনা পাওয়া যায়, যাদের ব্যাপারে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, কিয়ামতের দিন তাদের চেহারায় খামচানোর বা মারের বা আঘাতের ক্ষতচিহ্ন থাকবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)