দেশে বন্ধ হচ্ছে না ভিক্ষাবৃত্তি, ভিক্ষা পরিণত হয়েছে পেশায়; ভিক্ষা সিন্ডিকেট প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে ৬০০ কোটি টাকা; শরীয়তবিরোধী হওয়ার পাশাপাশি ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে রাষ্ট্রের’ সরকারের উচিত, প্রকৃত দুস্থদের পুনর্বাসন ও সিন্ডিকেট নির্মূলের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূল করা।
, ২৬ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে। একটি অসৎ চক্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিঃস্ব ও অসহায় মানুষকে সংঘবদ্ধ করে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামাচ্ছে। সমাজকল্যাণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীতে ৫০ হাজার ভিক্ষুক রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে এর সংখ্যা ৩ লাখ এবং সারাদেশে ৭ লাখ। রাজধানীর পাড়া-মহল্লার এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে এসব ভিক্ষুক ভিক্ষা করে না। রাস্তা-ঘাটে, মার্কেটে যেখানেই যাওয়া যাক না কেন, ভিক্ষুকরা এসে ঘিরে ধরছে। রাজধানীতে পেশাদার ভিক্ষাবৃত্তিকে কেন্দ্র করে অর্ধশত ভিক্ষুক কল্যাণ সমিতি গড়ে উঠেছে। তারা ভিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করেছে। এসব সমিতির সদস্য হয়ে এবং নিয়মিত চাঁদা দিয়ে পেশাদার ভিক্ষুকরা নগরীর সর্বত্র ভিক্ষাবৃত্তি করে আসছে। এই বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে এলাকাভিত্তিক ভিক্ষুক সিন্ডিকেট এবং লাইনম্যান গড়ে উঠেছে। অথচ ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।
ভিক্ষাবৃত্তির রয়েছে নানা রকমফের, নানা শ্রেণীভেদ। শুধু যে শারীরিক প্রতিবন্ধী, কর্ম-অক্ষম অভাবতাড়িতরাই ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত, তা নয়। অনেকে কাজ করার শারীরিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তিকেই সহজ জীবিকা হিসেবে বেছে নিচ্ছে। আবার অনেকে গ্রামে আর্থিক অবস্থা ভালো থাকা সত্ত্বেও শহরে এসে ভিক্ষা করছে। রাজধানীতে এ ভিক্ষাবৃত্তির আড়ালে চলছে বাণিজ্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিকালাঙ্গ, প্রতিবন্ধী, শিশু কিশোরসহ হতদরিদ্র ও বয়োঃবৃদ্ধ নারী-পুরুষ রাজধানীতে এনে ভিক্ষা করাচ্ছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের সদস্য না হয়ে কেউ ভিক্ষাও করতে পারে না। সিন্ডিকেটের সদস্যরা নবজাতক শিশু ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এমনকি সুস্থ মানুষকেও কৃত্রিম উপায়ে প্রতিবন্ধিত্বের কবলে ফেলে এ বাণিজ্য করছে তারা। ভিক্ষা করে বা ভিক্ষুকদের ব্যবহার করে বাড়ি-গাড়ি করার নজিরও রয়েছে।
প্রায় ৩ লাখ ভিক্ষুক এখন রাজধানীর অলি গলিসহ ব্যস্ততম প্রধান সড়ক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভিক্ষার নামে অসৎ সিন্ডিকেট প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে ৬০০ কোটি টাকা। রাজধানীতে রয়েছে শতাধিক অবৈধ ভিক্ষুক কল্যাণ সমিতি। এসব সমিতি পরিচালনা করে প্রভাবশালী চাঁদাবাজ চক্র। তাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণীর অসৎ সদস্যেরও রয়েছে গোপন আঁতাত। রাজধানীতে ভিক্ষুক কল্যাণ সমিতি নামে সংস্থা আছে কমপক্ষে ২০০টি। এসব সমিতিতে ভিক্ষুকদের প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা জমা দিতে হয়। আর ভিক্ষা শুরুর আগে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। একেকটি চক্রের আওতায় রয়েছে ২ হাজার ভিক্ষুক। রেজিস্ট্রেশনের পর এসব সমিতির সদস্যরাই নির্ধারণ করে দেয় কোন ভিক্ষুক বা কারা কোন এলাকায় ভিক্ষা করবে।
ঢাকা শহরের ব্যস্ততম কিছু সড়ক ও অভিজাত এলাকা ‘ভিক্ষুকমুক্ত’ মর্মে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে লিখিত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হলেও পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, ভিক্ষুকেরা আগের মতো ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত। বিভিন্ন সড়কের ব্যস্ততম মোড়ে দেখা যায়, তারা নির্বিঘেœ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সামনেই ভিক্ষাবৃত্তির চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিজ্ঞমহল মনে করে, ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করার এবং ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময়ে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অন্যদিকে, বাংলাদেশে ২৪০০ এর বেশি এনজিও রয়েছে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে মূল হচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করা। কিন্তু এই এনজিওগুলোও ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অথচ দারিদ্র্য বিমোচনসহ কয়েকটি সামাজিক সমস্যা সমাধানে এনজিওগুলো সরকার থেকে অর্থ পেয়ে আসছে, এর সঠিক ব্যবহার করা হলে ভিক্ষাবৃত্তিসহ সব সামাজিক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই অর্থ এরা ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের পেছনে খরচ না করে এসব অর্থের সিংহভাগ দিয়ে নিজেদের বেতন, ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা, বিদেশ ভ্রমণ এবং স্থাপনা রক্ষার জোগান দেয়। ফলে ভিক্ষা এখন পরিণত হয়েছে পেশাতে। সুস্থ-সবল মানুষেরা অর্থের লোভে ভিক্ষুকে পরিণত হচ্ছে। সামাজিক প্রেক্ষাপট রূগ্ন হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম দেশ। বাংলাদেশের সংবিধানের ২(ক) ধারায় পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে রাষ্ট্রদ্বীন হিসেবে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ‘পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন্নাহ শরীফ’ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবেনা। তাই রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় তথা প্রশাসনে পবিত্র ইসলামি আদর্শের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কোনো রুজিরোজগারের জন্য শ্রমের পরিবর্তে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করে, সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উত্থিত হবে যে, তার চেহারায় এক টুকরো গোশতও থাকবে না। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘পবিত্রতম উপার্জন হলো- মানুষের নিজের হাতে পরিশ্রম এবং প্রত্যেক বিশুদ্ধ ব্যবস্থায় (এর উপার্জন)। ’ অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সরকার সংশ্লিষ্টরা ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে সম্মানিত ইসলামি মূল্যবোধের যথাযথো প্রচারণা চালাচ্ছে না। ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। অথচ ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে সরকারের।
ভিক্ষাবৃত্তি মূলত কোনো পেশা নয়। এটাকে পেশা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ অনুযায়ী ভিক্ষা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধও। সম্মানিত শরীয়তে নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভিক্ষুক ও ভিক্ষাবৃত্তি বৃদ্ধি দেশের আর্থসামাজিক নিরাপত্তার দুর্বলতা প্রকাশ করে। দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করে। এমতাবস্থায় সরকার সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে অভাবের তাড়নায় যারা ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমেছে তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল করে তোলা। প্রথমত, একেবারেই যারা অক্ষম ও বিপন্ন তাদের জন্য ভরণপোষণের ব্যবস্থা করা। ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত কর্মক্ষম লোকদের জন্য কর্মসংস্থান করা।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ঢাকা আর কত মারাত্মক দূষিত হলে ও বসবাসের অযোগ্য হলে এবং জনজীবন বিপর্যস্থ হলে বিকেন্দ্রীকরণ করার কথা উঠবে? কাজ শুরু হবে? সেন্টমার্টিন নিয়ে এত হৈচৈ আর ৩ কোটি লোকের জনপদ ঢাকা নিয়ে রহস্যজনক নীরবতা!
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)