আসন্ন নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ তথা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমেরিকা, রাশিয়া তথা বিদেশীদের সক্রিয় তৎপরতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণহীণতার নেপথ্যে কি?
এ অপতৎপরতার শুরু স্বাধীনতার পর থেকেই জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাওয়া বৈদেশিক প্রভাব ও চাপে পিষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দোষের ভার নিতে হবে দেশের মালিক জনগণকেই
কারণ ক্ষমতালিপ্সুদের কাছে এখন জনস্বার্থের চেয়ে মসনদের মোহই বড়। নাউযুবিল্লাহ! (পর্ব-৬)
, ১৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০১ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
‘বাংলাদেশ শুধু আমাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও দারুণ সহযোগীই নয়, সে দেশে খুব প্রাণবন্ত একটি গণতন্ত্রও রয়েছে। আমরা বাংলাদেশে সেই গণতন্ত্রের কার্যক্রমকে সম্মান করি’, আরও জানায় সে। তবে ভারতের এই ‘আপাত নিস্পৃহতা’র পেছনে যেটাকে সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছিল, তা হল বাংলাদেশের ওই নির্বাচনে বিএনপি-র অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত।
সে বারে বিএনপি তাদের সমমনা আরও কিছু দলকে সঙ্গে নিয়ে ‘ঐক্যজোট’ গঠন করে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আবার ওই একই সময় ভারতে বিজেপি-বিরোধী বেশ কয়েকটি দল নিজেদের মধ্যে জোট গড়ে পরবর্তী নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, যে জোটকে হিন্দিতে বলা হচ্ছিল ‘মহাগঠবন্ধন’। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন তখন বিবিসিকে বলেছিলো, বাংলাদেশের ওই নির্বাচন যেহেতু অনেকটাই অংশগ্রহণমূলক হতে যাচ্ছে তাই ভারতেরও সেটা নিয়ে ‘অত মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজন নে’!
তার মন্তব্য ছিল, “বড় পরিবর্তন বাংলাদেশে যেটা দেখতে পাচ্ছি তা হল ভারতে যেটাকে আমরা 'মহাগঠবন্ধন' বলি, সেই ধাঁচে ওখানেও বিরোধীদের ঐক্যফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করেছে।” “এখন তো আবার যুক্তফ্রন্টও চলে এসেছে। ফলে নির্বাচন সঠিক পথেই আছে মনে হচ্ছে - আর এভাবে যদি সব এগোয় তাহলে তো ২০১৪র তুলনায় সেটা সম্পূর্ণ আলাদা বলেই ধরতে হবে!"
ফলে ওই নির্বাচনের ঠিক আগে আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব তো দূরস্থান, শীর্ষ পর্যায়ের কোনও কূটনীতিবিদ বা কর্মকর্তাই প্রকাশ্যে অন্তত ঢাকা সফর করেনি। যদিও বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের আমন্ত্রণে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের একটি বড় দল সে দেশে গিয়ে (২৮-৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮) পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করেছিল।
নির্বাচনের মাস দেড়েক আগে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছিল, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের নিস্পৃহ ভাব দেখানোর বিষয়টি হয়তো তাদের কৌশলে কোনও পরিবর্তন হতে পারে।” প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করলেও নির্বাচনে ভারতের প্রচ্ছন্ন সমর্থন যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দিকেই ছিল, তা অবশ্য দিল্লিতে কোনও গোপন বিষয় ছিল না।
বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে যায়, যখন ৩০ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বহু জায়গায় ভোটগ্রহণ শুরুর আনেক আগেই মাঝরাতে শাসক দলের পক্ষে ভোট দেয়া হয়ে গেছে বলে জানা যায়, বিবিসি-ও সেই কারচুপির ভিডিও প্রকাশ করে। ভোটগ্রহণের দিনই মাঝপথে এই ‘মধ্যরাতের নির্বাচন’কে বয়কট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ায় বিরোধী দল বিএনপি।
এদিকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর মাঝরাত নাগাদই স্পষ্ট হয়ে যায় আওয়ামী লীগ ও মহাজোট আবার বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসছে। বস্তুত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি-সহ তাদের শরিক দলগুলো সেবার ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টিতেই জয়লাভ করে। নির্বাচনী অনিয়ম নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কিন্তু বিন্দুমাত্র সমালোচনা করা হয়নি। ভারত থেকে যাওয়া যে ‘পর্যবেক্ষক’রা তখন বাংলাদেশে ছিলো, তাদের রিপোর্টেও এই সব কারচুপি বা জালিয়াতির কোনও উল্লেখ ছিল না।
তবে ৩১ ডিসেম্বর সকালে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ফোন আসতে একটু দেরি হচ্ছিল বলে ঢাকায় মৃদু অস্বস্তিও তৈরি হচ্ছিল। অবশেষে বাংলাদেশ সময় বেলা এগারোটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদী ঢাকায় ফোন করে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে অভিনন্দন জানায়। দুজনের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ ধরে অত্যন্ত ‘বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা’ হয়েছে বলেও জানানো হয়। আওয়ামী লীগের নির্ণায়ক জয় ও শেখ হাসিনার ‘দূরদর্শী’ নেতৃত্বে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও মোদী আশা প্রকাশ করে।
বিশ্বনেতাদের মধ্যে মোদীই যেহেতু প্রথম তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছে, সে জন্য শেখ হাসিনাও তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। পরে দিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রতিবেশী, আঞ্চলিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ভারতের ‘নেইবারহুড র্ফাস্ট’ নীতির একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত যে কতটা গুরুত্ব দেয়, প্রধানমন্ত্রী মোদী তা পুনর্ব্যক্ত করেছে।”
তবে তখনও ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের কাছ থেকে কোনও অভিনন্দনবার্তা আসেনি - যে দলটি ও তার নেতৃত্বের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্ক শুধু ঘনিষ্ঠ নয়, বরং পারিবারিকও বটে। আসলে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী তখন বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের তদানীন্তন রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি পার্লামেন্টে কংগ্রেসের নেতা আনন্দ শর্মাকে মোবাইলে ধরে অনুযোগ করে, “প্রধানমন্ত্রীর ফোন অবধি চলে এল, কংগ্রেসের কাছ থেকে কোনও বার্তা পেলাম না!”
আনন্দ শর্মা অনেক কষ্টে তড়িঘড়ি করে রাহুল গান্ধীকে খুঁজে বের করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও বিবৃতি জারি করানোর ব্যবস্থা করালো। ভারতের ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’ও অত:পর দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেয়, “বাংলাদেশে শেখ হাসিনার এই জয় আসলে গণতন্ত্রের জয়”! শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের প্রতি ভারতের সমর্থন যে ‘বাইপার্টিজান’ বা দলমতনির্বিশেষে - সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল! (সূত্র: বিবিসি বাংলা)
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফও বেশি বেশি করতে হবে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতা, খুন আর আত্মহত্যা মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ সরকারের উচিত জাতীয়ভাবে দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ ও শিক্ষা প্রচার ও প্রসার করে এই সামাজিক সমস্যাটি দূরিকরণ করা।
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের প্রথম ধনী দেশ। এক উত্তারাঞ্চলের খনিজ উত্তোলন করলেই গোটা দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা বরদাশতযোগ্য নয়।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি?
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রতি বছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক “অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নতুন আশঙ্কা এবং বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমেছে”- এ তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। নচেৎ সাধারণ অসুখেই প্রাণনাশ হতে পারে
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)