হায়দরাবাদে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ত্রয়োদশ শতকের শেষ দিকে। তখন থেকেই হায়দরাবাদকে কেন্দ্র করে মুসলিম শিল্প-সংস্কৃতির যে বিকাশ ঘটে তা পুরো দাক্ষিণাত্যকে প্রভাবিত করেছিলো। ভারতের ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও হায়দরাবাদ পুরোপুরি স্বাধীনতা বিসর্জন দেয়নি। ব্রিটিশ সরকারের সাথে চুক্তি সাপেক্ষে এটি একটি দেশীয় রাজ্যে পরিণত হয়। ৮২,৬৯৮ বর্গমাইল এলাকা বিস্তৃত এবং বাংলাদেশের তুলনায়ও আয়তনে বড় দেশ হায়দরাবাদ।
শুধু আয়তনে নয়, সম্পদ, সমৃদ্ধি এবং সামর্থ্যরে দিক থেকেও স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঠিক থাকার সকল যোগ্যতাই হ বাকি অংশ পড়ুন...
উগ্র হিন্দু জমি দখলদার সুদ ব্যবসায়ী কৃষ্ণ চন্দ্র ও তার পুত্র মুসলমান কৃষকদের উপরে গুলি বর্ষণ করে নির্বিচারে শহীদ করতো। মুসলমানদের কপালে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে তৃপ্তি ও বিদ্রুপাত্মক হাসি হাসতো মুসলিম মালিকানাধীন জমি দখলদার উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
রক্ষণশীল পত্রিকা হিন্দু রঞ্জিকা ‘র’ এক মন্তব্য প্রকাশে উঠে এসেছে, ‘ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ’
হিন্দু জমি দখলদারদের অত্যাচারে বাংলার অনেক মুসলমান নিজেদের ভিটে-মাটি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ........আর সে সময় হিন্দুরা ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করে ইংরেজকে তোষামোদ করে ব্রিটিশদের বাকি অংশ পড়ুন...
এই প্রসঙ্গে বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ধারা (১৮০০-১৯০০) বইয়ের লেখক বিনয় ঘোষ (বুক ক্লাব প্রথম প্রকাশ বইমেলা ২০০০) ২৭-২৮ পৃষ্ঠায় প্রজাদের পীড়ন করার জন্য ১৮ দফা শাস্তির তালিকা প্রকাশ করে আরও বলে, বর্ণ হিন্দু জমি দখলদাররা ডাকাত লেঠেল ও গুন্ডা পোষে প্রজাদের পীড়ন করার জন্য। অবাধ্য ও বিদ্রোহী প্রজাদের ধান লুট করা, গরু-ছাগল হরণ করা, প্রজাদের পানিমগ্ন করা ও প্রহার করা তাদের প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। গ্রামের হিন্দু জমি দখলদাররা প্রজাদের উপর শুধু শারীরিক অত্যাচার যে কত রকমের করে, কলকাতার মতো শহরের অধিবাসীরা তা ঠিক জানে না বলে তত্ত্ববোধিনী বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
বালাকোট- (با لاكور), পাকিস্তানের অন্তর্গত হাযারা জেলার একটি ক্ষুদ্র শহরের নাম। স্থানটি পূর্ব হতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র ছিলো। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ও শিখদের মধ্যে সংঘটিত একটি যুদ্ধের কারণে বালাকোট ঐতিহাসিক গুরুত্ব লাভ করে।
বালাকোটের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকাসমূহে ফল-ফসলাদি উৎপন্নের বিপুল অংশ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এখনও বালাকোটেই এসে থাকে এবং এই অঞ্চলের অধিবাসীরা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রী এখান থেকেই খরিদ করে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী পবর্তসমূহের বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ইসলামী সভ্যতায় হাসপাতাল বা বিমারিস্তান তৈরি মুসলমানদের অনন্য কীর্তি। স্থায়ী হাসপাতালের পাশাপাশি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণেও মুসলমানরা নজীর সৃষ্টি করেছিলেন।
তবে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকে খন্দকের যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিলো। সেই বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতালের নাম ছিল ‘খিমাতু রুফাইদা’। আজকের পৃথিবীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ও চিকিৎসার ধারণাটি এখান থেকেই মানুষ নিয়েছে।
পরবর্তীতে হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালা বাকি অংশ পড়ুন...
বর্ণ হিন্দু জমি দখলদাররা তাদের কু উদ্দেশ্য হাছিল করার আরও একটি পথ প্রশস্ত করে। প্রজায় প্রজায় বিবাদ হলে হিন্দু জমি দখলদারদের কাছে বিচারের জন্য যেতে হয়। তারা তখন কি করে? তখন তারা বিচারক নাম গ্রহণ করে সর্বোতভাবে অবিচার করে ধর্মাবতার নাম ধারণ করে সম্পূর্ণরূপে অধর্মচারণেই প্রবৃত্ত থাকে।
উৎকোচের তারতম্য অনুসারে তার বিচার ক্রিয়ার তারতম্য হয়...। কোনো কোনো হিন্দু জমি দখলদার ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মোত্তর, দেবতার দেবোত্তর সম্পত্তি পর্যন্ত গ্রাস করতে কুন্ঠিত হয়নি।
বর্ণ হিন্দু কুখ্যাত জমি দখলদার কৃষ্ণদেব আরো অনেক হুকুম জারি করে। এর মধ বাকি অংশ পড়ুন...
কৃষক সম্প্রদায় ধান ও অন্যান্য শস্যাদি উৎপন্নের সাথে সাথে নীলচাষও করতে বাধ্য হতো। এই নীলচাষের প্রচলন এদেশে বহু আগে থেকেই ছিলো। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ভারত থেকে নীল রং সর্বপ্রথম ইউরোপে রপ্তানি হয়। ব্রিটিশরা তাদের আমেরিকান ও পশ্চিম ভারতীয় উপনিবেশগুলিতে নীলচাষের ব্যবস্থা করে। এগুলি তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবার পর বাংলা প্রধান নীল সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়।
১৮০৫ সালে বাংলায় নীলচাষের পরিমাণ ছিলো ৬৪,৮০৩ মণ এবং ১৮৪৩ সালে তার পরিমাণ হয়ে পড়ে দ্বিগুণ। বাংলা, বিহার এবং বিশেষ করে ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ প্রভৃ বাকি অংশ পড়ুন...
নাজমুদ্দিন হাসান আর রাম্মাহ হলেন এমন একজন মুসলমান বিজ্ঞানী যিনি নানাবিধ শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করে ক্রুসেডার এবং তাতারদের বিরুদ্ধে মুসলমান বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন। তিনি ১২২৬ সালে বর্তমান লেবাননের তারাবলিসে জন্মগ্রহণ করেন।
উনার পিতা এবং দাদা যুদ্ধবিদ্যা ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরিতে পারদর্শী ছিলেন। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে তিনিও এই বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। উনার নতুন নতুন আবিষ্কারগুলো মুসলমান বাহিনী ব্যবহার করে তৎকালীন সময়ের অনেক শক্তিশালী বাহিনীকেও লজ্জাজনক পরাজয় প্রদান করেছিলেন।
বিস্ফারক অস্ত্র বা বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমান লাখেরাজদারদের ন্যায্য ভূমির মালিকানা থেকে উচ্ছেদ করার জন্যে নানাবিধ হীনপন্থা অবলম্বন করা হতো এবং ব্রিটিশ কর্মচারীদের মধ্যে এ ব্যাপারে এক বিদ্বেষদুষ্ট মানসিকতা বিরাজ করতো। লাখেরাজদারদের সনদ রেজিষ্ট্রি না করার কারণে বহু লাখেরাজ বাজেয়াপ্ত করা হয়। জেলার কালেক্টরগণ ইচ্ছা করেই সময় মতো সনদ রেজিষ্ট্রি করতে গড়িমসি করতো। তার জন্যে চেষ্টা করেও লাখেরাজদারগণ সনদ রেজিষ্ট্রি করাতে পারতেন না।
চট্টগ্রামে লাখেরাজদারদের কোর্টে হাজির হবার জন্যে কোন নোটিশই দেয়া হতো না। অনেকক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে যে, মামলার ডিক্রী জারী হবার বাকি অংশ পড়ুন...












