প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ সময়। যোগ্য মুসলিম শাসকের অভাবে তুরস্ক এবং পূর্ব ইউরোপে তখন উসমানী সালতানাতকে একেবারেই দুর্বল করে দিয়েছে ব্রিটিশ বাহিনী। আর এদিকে আরবে ব্রিটিশদের দোসর হিসেবে আরবভূমি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছিল আরবের মুনাফিক শাসকরা। বাকি ছিল শুধু পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ভূমি।
ষোড়শ শতকের পর থেকে আরবের পবিত্র ভূমি পবিত্র মক্কা শরীফ এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার খিদমত করছিলেন উসমানীয় সালতানাতের সুলতানরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হেজাজ অঞ্চলের শেষ গভর্নর ছিলেন মুহম্মদ ফখরুদ্দিন পাশা। ইতিহাসে তিনি বি বাকি অংশ পড়ুন...
‘সাবান’, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় সোপ (Soap)। এই শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ স্যাপো (ঝধঢ়ড়) থেকে। এই স্যাপো শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয় খ্রিস্টীয় ৭৭ সালে। আবার পর্তুগিজ ভাষায় স্যাব অথবা স্যাবোনেট নামে একটি শব্দ রয়েছে, যেটির অর্থ তেল বা চর্বি এবং অন্যান্য উপাদানের একটি মিশ্রণ; মূলত ছোট আকারের টুকরা, যা ধোয়া-ধোয়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে, স্যাবো থেকে ব্রিটিশ ইংরেজিতে শব্দটি হয়ে যায় সোপ আর তা থেকে বাংলায় সাবান।
রোগ জীবাণু থেকে বাঁচতে সাবান বা সাবানজাতীয় জিনিসের ব্যবহারের ইতিহাস বেশ পুরনো। পরিচ্ছন্নতার জন বাকি অংশ পড়ুন...
কুরাঈশ কাফিরদের অত্যাচার যখন চরমে, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে আবিসিনিয়ায় হিজরত মুবারক করার অনুমতি প্রদান করেন।
১১ জন পুুরুষ ও ৪ জন মহিলা- এই ১৫ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের একটি কাফেলা আবিসিনিয়ায় প্রথম গমন করেন। এটা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম হিজরত। জেদ্দা থেকে মাথা পিছু তখনকার ৮ আনা ভাড়ায় নৌকা যোগে উনারা আবিসিনিয়ায় পৌঁছেন।
উক্ত দলে বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
বেশ কিছুদিন পূর্বে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিলো যে, আমেরিকায় ৭৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হটডগের উপর জরিপ চালিয়ে সেগুলোর মধ্যে মানুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ ওইসব হটডগে মানুষের গোশত মেশানো হয়েছে।
ইহুদী-খ্রিস্টানদের মানুষের গোশত খাওয়ার এই অভ্যাস নতুন নয়, বরং বহু পুরাতন। উগ্র খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা তাদের কথিত ‘ধর্মযুদ্ধ’-এর সময়ই মুসলমানদের গোশত খেয়ে এর প্রমাণ দিয়েছিলো। ইতিহাসের পাতায় রয়েছে যে, ১০৯৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ই ডিসেম্বর প্রথম ক্রুসেডের সময়ে খ্রিস্টান বাহিনী সিরিয়ার মাআরা শহর দখল করে। ক্রুসেডারদের নেত বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদ মুহম্মদ নাসির উদ্দিন সিপাহসালার রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই মুবারক নামের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্য। সিলেটের হযরত শাহ জালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অন্যতম সঙ্গী ছিলেন তিনি। হযরত শাহ জালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারই ফয়েজ মুবারকে সিলেটের অত্যাচারী শাসক গৌর গোবিন্দকে পরাজিত করেছিলেন তিনি।নসব মুবারক উনার দিক দিয়ে সাইয়্যিদ নাসির উদ্দিন সিপাহসালার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন। তিনি খ্রিস্টাব্দ ১২৫০ সালে পবিত্র মদীনা শরীফে/অন্য সূত্রমতে পবিত্র বাগদাদ বাকি অংশ পড়ুন...
সনটি ছিলো ১৩৪৪ খ্রিষ্টাব্দ। সিলেটের তৎকালীন হিন্দু শাসক গৌর গোবিন্দের রাজ্যের এক মহল্লায় ১৩টি মুসলিম পরিবার বাস করতেন। উনাদেরই একজন ছিলেন শেখ বুরহান উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি হিন্দু জালিম শাসক গৌর গোবিন্দের কারণে গোপনে সম্মানিত ইবাদত-বন্দেগী করতেন। কারণ, সেখানে প্রকাশ্যে মুসলমানদের জন্য সম্মানিত ইবাদত-বন্দেগী করা নিষিদ্ধ ছিলো। কেউই গরু জবেহ ও পবিত্র কুরবানী করতে পারতো না।
শেখ বুরহান উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কোনো আওলাদ ছিলেন না। সন্তানের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করে তিনি নিয়ত করলেন, যদি উনার এ বাকি অংশ পড়ুন...
আর মাত্র কিছুদিন পরেই বিশ্বব্যাপী পালিত হবে পবিত্র কুরবানীর ঈদ। মুসলমানরা এই দিনে পশু কুরবানী করবেন মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জনের জন্য। পাশাপাশি, সম্মানিত শরীয়ত উনার রীতিনীতি পালনের মাধ্যমে এই দিনে মুসলমানগণ খুশি প্রকাশ করে থাকেন। পূর্বের মুসলমান শাসনগুলোতেও পবিত্র কুরবানীর ঈদ বিশেষ রীতিনীতির সাথে পালিত হতো। বিশেষ করে পবিত্র এই দিবস উনার সাথে ঐতিহ্যবাহী উসমানীয় সালতানাতের বিশেষ কিছু তাহযীব জড়িত রয়েছে।
তুরস্কে পবিত্র কুরবানীর ঈদ ‘কুরবান বাইরাম’ নামে পরিচিত। উসমানীয়রা পবিত্র কুরবানীর ঈদ অত্যন্ত জা বাকি অংশ পড়ুন...
মীর্জা আহমদ বেগ ও উনার বাহিনীর মুজাহিদগণ বীরত্বের সাথে শিখদের মুকাবিলা করলেন। শিখদের আক্রমণে মুজাহিদগণ উনাদের একাংশ শাহাদাত লাভ করলেন। এবং অবশিষ্টাংশ কৌশল অবলম্বনের জন্য সরে আসলেন। মেট্টী কোটে স্থাপিত চৌকির মুজাহিদগণকে উক্ত পথ দিয়ে শিখ সৈন্যদের আক্রমণের সংবাদ জানিয়ে দেয়া হলো। উক্ত সংবাদ বালাকোটেও পৌঁছে দেয়া হলো।
সেই স্থানে মীর্জা আহমদ বেগ খানের নেতৃত্বাধীন চৌকি স্থাপিত ছিলো। বর্তমানে স্থানটি ‘শহীদ গলি’ নামে পরিচিত। উক্ত স্থানে এখনও কয়েকজন শহীদের কবর রয়েছে। যা হোক, ইতিমধ্যে বিপুল সংখ্যক শিখ সৈন্য মেট্টী কোটে পৌঁছে বাকি অংশ পড়ুন...












