পল্লীবাংলার ইতিহাস গ্রন্থের লেখক ডাব্লিউ হান্টার খাজনা আদায়ের কঠোরতার কথা উল্লেখ করে। আর সেই কথাই উঠে এসেছে তার পল্লী বাংলার ইতিহাস বইয়ের (দিব্য প্রকাশ সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০০২) ২৫ পৃষ্ঠায়।
হান্টার লেখে, ১৭৬৮ সালে আংশিকভাবে ফসল বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৬৯ সালের প্রথম দিকে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। তবে এই অভাব অনটনের ফলে সরকারের আদায়কৃত খাজনার পরিমাণ হ্রাস পায়নি। স্থানীয় অফিসারদের অভিযোগ-আপত্তি সত্ত্বেও সদর দফতরের কর্তৃপক্ষ জানায় যে, কড়াকড়িভাবে খাজনা আদায় করা হয়েছে।
উনিশ শতকে বাংলাদেশের সংবাদ সাময়িক পত্র গ্রন্থের ১০ম খন্ডের ৭২ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেহেতু এই যুদ্ধের প্রধান ও হেড কমান্ডার। এবং উনার নির্দেশনায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই জিহাদ সংঘটিত হয়েছিলো; তাই বলাই যায় তিনি সম্মানিত ইসলাম উনার ইতিহাসে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। উনার বিছাল শরীফের পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে, উনার মাজার শরীফ কোথায় অবস্থিত। তবে বিভিন্নজনদের মতে, উনার মাজার শরীফ কোথায় তা চিহ্নিত করা নেই। কেউ কেউ উনার মাজার শরীফ এখনো তালাশ করে।
এই কথা বলা অনাবশ্যক যে, প্রথমত এত বছর পর এসে দুই গজ লম্বা ও এক গজ চওড়া একটি স্থানে নির্ভুলভাবে নির্দেশ করতে পারা বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
উনিশ শতকে বাংলাদেশের সংবাদ সাময়িক পত্র গ্রন্থের দশম খন্ডের ৭০ পৃষ্ঠায় মুনতাসীর মামুন কলকাতার সংবাদপত্র অমৃতবাজার পত্রিকা ১ জুলাই ১৮৬৯ সালের উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণ হিন্দু জমি দখলদারদের অত্যাচার নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে লিখেছে, ‘আমাদের দেশের কৃষকের ন্যায় ঘোর পরিশ্রমী জাতি পৃথিবীর মধ্যে দৃষ্ট হবে না। (আর কোথাও দেখা যাবে না).... এইঘোর পরিশ্রমের ফল কি! শোচনীয় দৈন্যতা! কৃষক মাত্রই প্রায় অন্ন ও বস্ত্রহীন, গৃহহীন বললেও অত্যুক্তি হয় না। অধিকাংশেরই পর্ণ কুটিরে বাস করতে হয়, সকলের ঘরে আবার আবশ্যকীয় খড়ও নাই। একটি পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া দ্বিতীয় ব বাকি অংশ পড়ুন...
১৯১০ সালে ডিএসপি শামসুল আলমকে হত্যা করা হয়। বোমাবাজির ঘটনা তো নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। হিন্দু দেবতাদের নামে এসব হত্যাকান্ড উৎসর্গীকৃত হতো। এছাড়া প্রশিক্ষিত যুবক বাহিনী ব্যাপক দস্যুবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ে। হিন্দু ধর্মের পুনর্জাগরণের উদাত্ত আহবান সম্বলিত সাহিত্য ও প্রচার পুস্তিকাসমূহ বিতরণ করা হতো মহোৎসাহে। ‘স্বদেশী’ আন্দোলনের জন্য শপথ গ্রহণ করানো হতো কালী মন্দির প্রাঙ্গণে।
১৯০৮ সালের ৩০ মে কলকাতার ‘যুগ্মান্তর’ পত্রিকা হিন্দুদের এ সকল কর্মকান্ডকে সমর্থন করে চরম উস্কানিমূলক এক নিবন্ধে উল্লেখ করে: “মা জননী পিপাসা বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশাসনের শীর্ষে বিধর্মী কর্মচারী যে কতবড় সর্বনাশের কারণ মুসলমানদের জন্য; সেটা আজ এই বঙ্গবাসী মুসলমানরা কল্পনাও করতে পারছে না। বাস্তবতা এটাই যে বিধর্মী-বিজাতীয়রা এই পাক ভারত উপমহাদেশে তিলে তিলে মুসলমানদের শোষণ করেছে। অথচ ইতিহাসের শিক্ষা এটাই যে মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না।
মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষা তো দূরের কথা, সত্য কথা বলতে কি, ইংরেজ শাসনের পর এক শতাব্দী যাবত, মুসলমান জাতির অস্তিত্বই ছিলো প্রকৃতপক্ষে বিপন্ন। যেখানে তাদের শুধু বেঁচে থাকার প্রশ্ন।
প্রমাণিত হয়েছে যে, ইহুদীবাদী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলার হি বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত তারিক বিন জিয়াদ রহমতুল্লাহি আলাইহি অত্যাচারী খৃস্টান শাসক রডারিককে পরাজিত করে আইবেরীয় উপদ্বীপে (স্পেন ও পর্তুগাল) মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। মুসলিম ঐতিহাসিকরা মুসলিম স্পেনকে আন্দালুসিয়া বা আল-আন্দালুস নামে অভিহিত করে থাকেন।
মুসলিম শাসনামলে স্পেন হয়ে ওঠে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রাণকেন্দ্র। সভ্যতা-সংস্কৃতির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয় সে সময়; বরং স্পেন হয়ে ওঠে সমগ্র ইউরোপের জন্য সভ্যতার বাতিঘর। ‘দ্য মুরস ইন স্পেন’ গ্রন্থে লেখা হয়েছে, ‘মুরদের শাসনামলে স্পেনে শিল্পকলা, সাহিত্য ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে উন্নতি সাধিত হয়েছিলো ইউরোপ বাকি অংশ পড়ুন...
বলা হয়ে থাকে, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদ-’। কথাটি কাফির-মুশরিকরা যতোটা বুঝতে পারে, মুসলমানরা তার কিয়দংশও বুঝতে পারে না। যে কারণে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের মুসলমানদের মেরুদা-স্বরূপ যে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা, তাকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। এর ফলেই ব্রিটিশরা ১৯০ বছর তাদের শাসন জারি রাখতে পেরেছিলো এবং এখন পর্যন্ত মুসলমানদের মনমগজ থেকে ব্রিটিশদের গোলামী যায়নি তাদের শিক্ষাব্যবস্থা জারি থাকার কারণে।
ভারতবর্ষে মুসলমানদের শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলো দু’জন, খ্রিস্টান মিশনারী মেকলে এবং কথিত ‘রাজা’ রামমোহন রায়। ১৮৩৫ খ্রিস বাকি অংশ পড়ুন...
গতানুগতিক পাঠ্যপুস্তক ও ইতিহাস গ্রন্থগুলোতে ইতিহাস শিক্ষা দেয়া হয় শাসকদের রাজত্বের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী। যেমন শাসক বাবরের পর হুমায়ূন, হুমায়ূনের পর আকবর, আকবরের পর জাহাঙ্গীর এভাবেই ইতিহাসের গ্রন্থগুলো রচিত হয়। কোনো একটি যুগের ইতিহাস রচনা করা হয় ঐ যুগের শাসককে কেন্দ্র করে। কিন্তু মুসলমান শিক্ষার্থীদের ইতিহাস শিক্ষা এরূপ হওয়া উচিত নয়।
মুসলমান শিক্ষার্থীদের ইতিহাস শিক্ষা হওয়া উচিত- ওলীআল্লাহ উনাদের সিলসিলার ধারাবাহিকতা অনুযায়ী। উদাহরণস্বরূপ ইতিহাস শিক্ষা হতে হবে এভাবে, সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা ছাহেব র বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে বালাকোটে শুধু একটি জিয়ারতগাহ ছিলো। উক্ত জিয়ারতগাহ হচ্ছে, বালা পীরের মাজার। বালা পীরের মাজার কুনহার নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। ইহা বালাকোট হতে দেখা যায়। বালাকোটের যুদ্ধের পর সেখানে কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থান ও কয়েকটি জিয়ারতগাহ রয়েছে। নিম্নে তা বর্ণনা করা হলো-
(১) মসজিদেই বালা- বা মসজিদেই কেল্লা:
উক্ত মসজিদ মূল বালাকোটের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। যুদ্ধের পূর্বে উক্ত মসজিদে হযরত শাহ ইসমাঈল শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং অন্যান্য মুজাহিদ ছলাত আদায় করতেন। যুদ্ধের দিন বাকি অংশ পড়ুন...












