“১৩১৮ ফসলি সনে লেখক আনন্দনাথ তার ‘বারভূঁইয়া’ গ্রন্থে লিখেছে- ‘আকবর বাদশাহর রাজত্বকালে মুশরিক-বিধর্মী সম্প্রদায় বাদশাহর কাছে জ্ঞাপন করে, আমাদের ধর্মকর্ম সম্পর্কীয় অনুষ্ঠানে হিজরী সন ব্যবহার করতে ইচ্ছা করি না। আপনি আমাদের জন্য পৃথক সন নির্দিষ্ট করে দিন। আকবর মুশরিক-বিধর্মী প্রজার মনোরঞ্জনার্থে হিজরী সন থেকে দশ-এগারো বছর কমিয়ে এলাহি সন নামে একটি সনের প্রচলন করে। যা আমাদের বঙ্গদেশের সন বলে চলে আসছে। ’
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সব খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ ক বাকি অংশ পড়ুন...
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গোটা মুসলমান সমাজকে নিষ্পেষিত ও নির্মূল করার নীতি গ্রহণ করেছিলো ইংরেজ নৌদস্যুরা। মুসলিম আমলে সকল প্রকার সরকারী চাকরীতে সিংহভাগ ছিল মুসলমানদের। ইংরেজ এদেশের মালিক মোখতার হওয়ার পর ধীরে ধীরে মুসলমানগণ সকল বিভাগের চাকরী থেকে বিতাড়িত হতে লাগলেন। শেষে সরকারের বিঘোষিত নীতিই এই হয়ে দাঁড়ালো যে, কোনও বিভাগে চাকরী খালি হলেই বিজ্ঞাপনে এ কথার বিশেষভাবে উল্লেখ থাকতো যে মুসলমান ব্যতীত অন্য কেউ প্রার্থী হতে পারে। ইংরেজ সরকার বাজেয়াপ্ত আইন পাশ করে মুসলমান বাদশাহগণ কর্তৃক প্রদত্ত সকলপ্রকার জায়গীর, আয়মা, লাখেরাজ, আলত বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে একশ্রেণীর দ্বীন ইসলামবিদ্বেষী জাহেলরা সম্মানিত মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে উদ্দেশ্য করে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, যারা সম্মানিত শরঈ ইলম হাছীলের জন্য পড়ালেখা করছে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
মূলত এরা এই প্রপাগান্ডা চালানোর মধ্য দিয়ে মুসলমানদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে এই বিশ্বাসই ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে যে, সম্মানিত শরঈ ইলম হাছীল করতে গেলে রিযিকের সঙ্কটে পড়তে হবে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
কিন্তু এই পাপিষ্ঠ জাহেলরা জানেনা, যারা হাক্বীকীভাবে ইলম হাছীল করার উদ বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৯০ খ্রি: সন। উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাসনকাল। সে সময় ঘরে বাইরে শত্রু বিরাজমান। গাদ্দারদের ষড়যন্ত্রে উসমানীয় শাসন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন মুহূর্তেই শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। উসমানীয় শাসনের ভিত্তি মজবুত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তিনি।
এমনই এক সঙ্কটাপন্ন মুহূর্তে খবর এলো, ফরাসি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চলচ্চিত্র নির্মাতা কুলাঙ্গার হেনরি বর্নিয়ার মুসলমানদের সম্মানিত ঈমান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান মুবারকে অবম বাকি অংশ পড়ুন...
মামলুক সালতানাতের সময় মাদরাসা কার্যক্রমের সিংহভাগই ছিলো শরীয়াহকেন্দ্রীক। সহযোগী হিসেবে নাহু, সরফ, লোগাহ ইত্যাদিও পড়ানো হতো। যেমন কেউ যদি তাফসির বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে চায়, তাকে অবশ্যই আরবি ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করতে হবে। নাহু সরফ বুঝতে হবে। অন্যান্য বিষয়েও পারঙ্গম হতে হবে। এসব ইলম ছাড়া তাফসীর বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য তাফসীরের সহযোগী হিসেবে এসব বিষয় ছাত্রদের পড়ানো হতো। ইলমে শরীয়ার অন্যান্য বিষয়গুলোর জন্যও এসব সহযোগী ইলমের সমান প্রয়োজন পড়তো। সেজন্য উলুমে শরিয়ার পাশাপাশি এ বিষয়গুলোও ছাত্রদের শেখানো হতো।
তখন ইলম বাকি অংশ পড়ুন...
সে সময়ের রমাদ্বান শরীফে ইলদিজ প্রাসাদের ইফতার আয়োজনের কথা প্রায় তিন মহাদেশ পেরিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ এগারো মাস লোকমুখে লেগেই থাকতো ইলদিজে আয়োজিত সুলতান হামিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রমাদ্বান শরীফ মাস উপলক্ষে জমজমাট আয়োজনের কথা।
কত আনন্দে মাসজুড়ে লোকেরা রাজপ্রাসাদে সমাগম হতো! রজবুল হারাম শরীফ মাস পেরোতেই শা’বান শরীফের ঘ্রাণে রমাদ্বান শরীফ ভেসে আসতো। যেন রমাদ্বান নামক একটি বিশেষ চাঁদ ধীরে ধীরে আকাশে গম্বুজের ছাদ এঁকে ফেলতো।
প্রাসাদকর্মীরা সারাবছর অধীর আগ্রহে রমাদ্বান শরীফের জন্য অপেক্ষা করতো। সুলতান হামিদ রহমতুল্লাহি বাকি অংশ পড়ুন...
রহমত, বরকত, সাকীনা এবং মাগফিরাতের মাস পবিত্র রমাদ্বান শরীফ। ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি ইতিহাসের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি, তবে মুসলিম উম্মাহর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস। এই পবিত্র মাসেই এমন অনেক বিজয় অভিযান সম্পন্ন হয়েছে যা মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসের গতিধারাকে পরিবর্তিত করেছে।
মহাপবিত্র বদর জিহাদ
সম্মানিত ২য় হিজরী শরীফ উনার ১৭ই রমাদ্বান শরীফ পবিত্র মদীনা শরীফ উনার দক্ষিণ-পশ্চিমে বদর প্রান্তরে পবিত্র বদর জিহাদ সংঘঠিত হয়। সম্মানিত জিহাদ মুবারকে মুসলমান উনাদের সংখ্যা ছিলেন ৩১৩ জন। বিপরী বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে লাখো কোটি ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। আবার পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস ঘিরে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে প্রচলিত রয়েছে অত্যন্ত ইতমিনানী বিভিন্ন তর্জ-ত্বরীকা। বিশেষ করে মুসলিম সালতানাতগুলোতে সে সময় বিভিন্ন নিয়ম প্রচলিত ছিলো। আজকের পর্বে আমরা জানবো পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস ঘিরে উসমানীয় সালতানাতে কি কি রীতির প্রচলন ছিলো।
উসমানীয় সালতানাতে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের আগমন বিশেষ উৎসবমুখর বাকি অংশ পড়ুন...
আপনারা জানেন কি? একসময় বাঙ্গালাহ সালতানাত অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে মুসলমান মুদ্রা প্রচলিত ছিলো। মুসলমান শাসন ব্যবস্থায় শাসকের নামে মুদ্রা প্রচলন সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। ১২০৫ খ্রি: গৌড় বিজয়ের স্মরণে সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সুলতান মুহম্মদ বিন সামের নামে গৌড় থেকে মুদ্রা জারি করেন।
এটিই ছিল বাংলায় জারি করা প্রথম মুসলমান মুদ্রা। গৌড় বিজয়ের সময় থেকে বাংলায় স্বাধীন সালতানাত প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত প্রায় ১৩০ বছর বাংলা দিল্লির সুলতানদের অধীন একটি প্রদেশ হি বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমান দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে মুসলমানরা নিদারুণ নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যে অতিবাহিত করছে। কোটি কোটি মুসলমানকে নির্মমভাবে শহীদ করা হচ্ছে জুলুমবাজ আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতায়। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারেন, পূর্বের সেই স্বর্ণালী যুগে ফিরে যেতে না পারেন এজন্য অর্থ ও শ্রম দিয়ে সর্বাত্মকভাবে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বাস্তবায়ন করছে তারা। মুসলমান বিশ্বের কতিপয় মুসলমান নামধারী শাসককেও ইদানিং দেখা যায়, আমেরিকার প্রশংসা এবং লেজুরবৃত্তিতে লম্ফঝম্ফ করতে। অথচ আ বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলায় মোগল শাসন কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো, তার প্রামাণ্য ইতিহাস পাওয়া যায় ‘বাহারিস্তান-এ-গায়বী’ নামক কিতাবে। এই কিতাবটি হচ্ছে মোগল সেনাপতি মির্জা নাথানের দিনলিপি বা ডায়েরী। প্যারিসের মিউজিয়ামে যদুনাথ সরকার আকস্মিকভাবে এই কিতাবটি খুঁজে পায়, পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসী বিভাগ থেকে ‘বাহারিস্তান-এ-গায়বী’র ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে তৎকালীন ব্রিটিশ আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর রমেশ মজুমদার (আর.সি. মজুমদার) তার ‘জীবনের স্মৃতিদীপে’ নামক আত্মজীবনীর ৭২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে- “যদুনাথ সরকার প্য বাকি অংশ পড়ুন...












