সময়টা তখন মুঘল সালতানাতের। শাসন ক্ষমতায় বাদশাহ মুহিউদ্দিন মুহম্মদ আওরঙ্গজেব আলমগীর রহমতুল্লাহি আলাইহি। সে সময় হঠাৎ করেই ভারতের কাশিমবাজার ও মাদ্রাজের অবস্থা দুর্নীতি ও অবৈধ ব্যবসার কারণে খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছিলো। এই দুই জেলা একপ্রকার মুঘলদের হাত থেকে বের হয়েই যাচ্ছিলো।
আওরঙ্গজেব আলমগীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গোয়েন্দা মারফত জানতে পারলেন যে, এগুলো ইংরেজদের কাজ। উনার পিতা বাদশাহ শাহজাহান ইংরেজদের ৩০০০ টাকা শুল্কের বিনিময়ে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই পরিস্থিতি ঘোলাটে করছিলো ইংরেজরা। বাকি অংশ পড়ুন...
জীবন এবং কৃষিকাজের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান হলো পানি। যে অঞ্চলে এর ব্যবস্থপনা যত উন্নত হবে, সেখানকার কৃষি ও জীবনযাত্রায়ও এর সুফল পরিলক্ষিত হবে। তাই মুসলমান আবিষ্কারকরা এই অঙ্গনেও ব্যাপক গবেষণা চালিয়েছেন।
মুসলমানরা সেচব্যবস্থা প্রযুক্তির ক্রমোন্নতিতে অনেক কাজ করেছে। একাদশ শতাব্দীর পারস্য গণিতবিদ এবং প্রকৌশলী মুহম্মদ আল-কারাজি ‘গুপ্ত পানির উৎস’ খোঁজা নিয়েও কথা বলেছিলেন। তিনি এ সময় পানির উৎস খোঁজার কৌশল, পানি আহরণের কৌশল এবং এসব কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে উবে যাওয়া র বাকি অংশ পড়ুন...
ইতিহাসে মোঙ্গল ঝড় বলতে একটি শব্দ রয়েছে। এই মোঙ্গলরা সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। ঐতিহাসিক নগরী বাগদাদ ধ্বংস করে লাখো মুসলমানের রক্ত প্রবাহিত করেছিলো। আবার ইতিহাসের পট পরিবর্তন হয়ে এই মোঙ্গলদের মাঝেই মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত হিদায়েত উনার নূর মুবারক ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এই মোঙ্গলদের অনেক নেতাই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খিদমত করে ইতিহাসে স্বরণীয় হয়ে আছেন। মোঙ্গলদের নিয়ে ইতিহাসে অনেক ঘটনাই বর্ণিত রয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
কমোরোস ভারত মহাসাগরের একটি ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র। মাদাগাস্কার, মায়োতি, তানজানিয়া, মোজাম্বিক, সেশেলের সঙ্গে সমুদ্রসীমা রয়েছে দেশটির। মোরোনি কমোরোসের রাজধানী ও সর্ববৃহৎ শহর।
২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী এক হাজার ৮৬১ বর্গকিলোমিটারের ছোট দেশটির জনসংখ্যা আট লাখ ৫০ হাজার ৬৮৮ জন। তাদের ৯৮ শতাংশই মুসলিম। কমোরিয়ান, ফ্রেঞ্চ ও আরবি কমোরোসের রাষ্ট্রীয় ভাষা।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক সুত্রমতে, কমোরোসে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমন মূলত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময়েই।
কমোরোসের দুই ব্যক্তি মুহম্ম বাকি অংশ পড়ুন...
সময়টা তখন ১৪৯১ সাল। গ্রানাডার মুসলিম শাসনের সূর্য অস্তমিত প্রায়। দুর্বল এবং অযোগ্য মুসলিম শাসক থাকার সুযোগে তৃতীয়বারের মতো গ্রানাডা অবরোধ করেছে ক্যাস্টোলার শাসক পঞ্চম ফার্ডিন্যান্ড। এবার শেষবারের মতো অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে নামলেন গ্রানাডার মুসলিমরা। গ্রানাডার মুসিলম যুবকরা সিদ্ধান্ত নিলেন শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তারা খ্রিষ্টানবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবেন।
এই যুবকদের নেতৃত্বে ছিলেন মুসা বিন আবী গাসসান নামক এক যুবক। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা দিলেন, খ্রিষ্টান শাসক জেনে রাখুক! আরবদের জন্মই হয়েছে বর্ষা নিক্ষেপ ও ঘোড়ায় আরো বাকি অংশ পড়ুন...
খলিফাতাবাদে' হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ অবস্থিত। বর্তমান বাগেরহাটই হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রাজধানী হাভেলী- খলিফাতাবাদ। খলিফাতাবাদ অতিতে ছয় কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ ভৈরব নদীর তীর ঘেঁষে পূর্বদিকে অবস্থিত হাভেলী থেকে পশ্চিমে ঘোড়া দিঘী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সে সময়ে নির্মিত প্রায় সব ইমারতের অবশিষ্টাংশ খলিফাতাবাদের পুরাতন সড়কের আশেপাশেই নির্মিত এবং ভৈরব নদীর কাছেই অবস্থিত ছিল। জনশ্রুতি অনুসারে হযরত খাঁন জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৩৬০টি দীঘি খনন ও ৩৬০টি মসজিদ নির্মাণ ক বাকি অংশ পড়ুন...
পৃথিবীব্যাপী নৌপথে মানুষের যাতায়াত এবং বাণিজ্য সুদীর্ঘকাল ধরে চলমান। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমনের পূর্ব থেকে আরবের মানুষ সমুদ্রপথে বাণিজ্য করত। সম্মানিত হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সময়ে সামুদ্রিক বাণিজ্যের ধারা আরো গতিশীল হয়। সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার পরিধি বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সমুদ্র বাণিজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা উমাইয়া ও আব্বাসীয়দের যুগেও অব্যাহত থাকে।
বাণিজ্যিক এসব কাফেলার মাধ্যমেই ভারত মহাসাগরের উপকূলে, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনসহ বিশ্বের কোনায় কোনায় বাকি অংশ পড়ুন...
বাহরাম সাক্কা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ একটি প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন। ভারতের বর্ধমান জেলায় (পশ্চিম বাংলায়) অবস্থিত এবং এর যে স্থানে সূফী বাহরাম সাক্কা রহমতুল্লাহি আলাইহি সমাহিত আছেন সে স্থানটিকে উনার নামানুসারে পীর বাহরাম বলা হয়। হযরত বাহরাম সাক্কা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিভিন্নভাবে মানুষের কাছে পরিচিত। যেমন পীর, দরবেশ এবং হাজী সাহেব বলে অভিহিত। কিন্তু বর্ধমান এলাকায় তিনি পীর বাহরাম বা বাহরাম সাক্কা রহমতুল্লাহি আলাইহি নামেই বেশি পরিচিত। উনার মাজার শরীফ এক গম্বুজবিশিষ্ট। মাজার দক্ষিণ দিকে সম্মুখে একটি প্রবে বাকি অংশ পড়ুন...
নিরাপত্তা বিভাগ ইসলামী সালতানাতের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হিসেবে গণ্য করা হয়। নিরাপত্তা প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব হলো- সকল পর্যায়ে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা। আর এ কাজের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ হবেন এমন সুশৃঙ্খল বাহিনী, যারা ব্যক্তি ও সমাজের যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
মুসলিম সালতানাতগুলোর বেশিরভাগ অঞ্চলেই নিরাপত্তা প্রধানের উপস্থিতি ছিলো। অঞ্চলভেদে উনাদের ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হতো। আফ্রিকায় নিরাপত্তা প্রধানকে বলা হতো হাকিম। মামলুক সালাতানাতের শাসনামলে বলা হতো ওয়ালি। আর মিশরে এই পদটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। সে বাকি অংশ পড়ুন...
মিশরে এক সময় ছিলো উবাইদি শাসন। এই শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলো উবাইদুল্লাহ মাহদী। সে ছিলো কট্টর শিয়া। তার সম্পর্কে ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, উবাইদুল্লাহ বাতেনি উবাইদিয়াদের প্রথম শাসক। তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিবর্তন করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ! উবাইদিদের শাসনকালে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের উপর নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যা চালানো হয়। তারা বিকৃত আক্বীদা প্রচার করতো।
সে সময় মিশরে বাস করতেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলেম এবং বুজুর্গ হযরত মুহম্মদ বিন আহমদ বিন সাহল রমালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি ২৭ হিজরী শরীফে কাতিবে ওহী হযরত মু’আবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার তত্ত্বাবধানে এবং বিশিষ্ট সেনাপতি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে কাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাধ্যমে সুবিশাল নৌবাহিনী গঠন করার পর মুসলমানরা যখন নৌশক্তিতে বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধ এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেন, তখন সাগরবক্ষে প্রবল প্রতাপ ও প্রতিপত্তির সাথে একের পর এক বিজয়াভিযান পরিচালনা করতে লাগলেন। তামাম দুনিয়ার সাগর মহাসাগরে মুসলিম রণতরী দৃশ্যমান হতে থাকলো। পরবর্তীতে উমাইয়া এবং আব্বাসীয়দের ও পর বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের সুদীর্ঘ সময়ের একটি বড় অংশ মুঘল সালতানাতের। মুঘল সালতানাতের ব্যপ্তি ছিলো পুরো ভারতবর্ষ তো অবশ্যই পাশাপাশি আফগানিস্তান পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ছিলো। সুবিশাল এই সালতানাতের বিস্তৃতির পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছে সেনাবাহিনী। যা ইতিহাসে মুঘল সেনাবাহিনী হিসেবে পরিচিত।
মুঘল সেনাবাহিনীর এমন কিছু ইউনিট ছিলো যা সালতানাতের বিস্তৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। মুঘল সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী শাখা ছিলো আর্টিলারি বা গোলন্দাজ বাহিনী। মুঘলসেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলোতে অগ্রবর্তী বাহিনীর বাকি অংশ পড়ুন...












