ঢাকায় প্রাচীনকাল থেকে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মসজিদ। এ জন্যই ঢাকা মসজিদের নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর প্রতিটি মসজিদের রয়েছে নানা ইতিহাস। অনেক ইতিহাস আবার হারিয়ে গেছে কালের পরিক্রমায়। কিন্তু মসজিদগুলো আজো দাঁড়িয়ে স্বমহিমায়। খান মুহম্মদ মৃধা মসজিদ ঢাকার প্রাচীন একটি মসজিদ। পুরান ঢাকার লালবাগে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। খান মুহম্মদ মৃধা মসজিদ তার একটি। তবে মসজিদটির এই নাম খুব কম মানুষই জানেন। এমনকি এলাকারও অনেকেই জানেন না। তবে স্থানীয়রা এটিকে দোতলা মসজিদ হিসেবেই চিনেন।
মসজিদটির অবস্থান পুরান ঢাকার আতশখানায়। লাল বাকি অংশ পড়ুন...
৫) সুকোতো সাম্রাজ্য:
বিখ্যাত স্কলার ও যোদ্ধা উসমান থান ফোদিও কর্তৃক ১৮০৪ সালে এই রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সাম্রাজ্যটি নাইজেরিয়া, নাইজার, বুর্কিনা ফাসো, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র জুড়ে বিস্তৃত ছিলো।
তবে এই সময়েই এই অঞ্চলজুড়ে আবির্ভাব ঘটে ইউরোপীয় বণিক ও যোদ্ধাদের। তারা ধীরে ধীরে গ্রাস করতে থাকে সুকোতো সাম্রাজ্যকে। ১৯০৩ সালে ব্রিটিশ হাতে পুরোপুরি পতন হয় এই শেষ সাব সাহারা অঞ্চলের সালতানাতটি।
উপরে পশ্চিম আফ্রিকা তথা সাহিলের শুধুমাত্র ৫ টি সমৃদ্ধশালী ও ঐতিহ্যবাহী সাম্রাজ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এখানে আ বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের ইতিহাস শুধু পরাক্রমশালীতারই নয় বরং এর পাশাপাশি- আত্মশুদ্ধি (সম্মানিত তাছাউফ), ইনসাফ, চারিত্রিক মহান গুণাবলিগুলোও বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মহাজাগরণে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রেখেছে। তবে এ বিষয়গুলো ইতিহাসে খুব কমই জায়গা পেয়েছে। রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার দয়া-দান, ইহসান মুবারকে আমরা কোশেশ করবো ইতিহাসের মুসলিম ব্যক্তিত্বদের সেই বিষয়গুলো তুলে ধরতে। ইনশাআল্লাহ!
আজকের পর্বে আমরা বিখ্যাত মুসলিম সিপাহসালার আল মালিকুল আদিল নুরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নববী ম বাকি অংশ পড়ুন...
৪) কানেম বোর্নো সাম্রাজ্য:
বর্তমানে চাদ, ক্যামেরুন, নাইজার, নাইজেরিয়া ও সুদান জুড়ে বিস্তৃত ছিলো কানেম বোর্নো সাম্রাজ্য। কানেম নামক জায়গাটি বর্তমান পশ্চিম আফ্রিকার চাদ নামক দেশের উত্তরে অবস্থিত। প্রখ্যাত মুসলিম মনীষী মুহম্মদ মানি দ্বারা এই অঞ্চলে ইসলামের বিস্তার ঘটে।
উম্মে জিলানিই কানেম রাজ্যের প্রথম শাসক যিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ১০৮৫ সাল থেকে ১০৯৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি খুব ধর্মপ্রাণ শাসক ছিলেন। হজ্জব্রত পালনের জন্য মক্কা শরীফের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও যাত্রার মাঝপথে মিশরে এসে তিনি ইন্তেকাল করেন।
অবশ্য উ বাকি অংশ পড়ুন...
বিখ্যাত আন্দালুসিয়ান ঐতিহাসিক আল বাকরি আরো বলেন, সেখানকার রাজা মুসলিম না হলেও তার অনেক মন্ত্রী ও পরিষদবর্গ মুসলিম ছিলো। ফলে এই সাম্রাজ্যের সাথে আরবদের একটা যোগাযোগ ছিলো। যার ফলে আরব বণিক এবং এই সাম্রাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য বহুল পরিমাণে সম্পাদিত হতো।
ঘানা সাম্রাজ্যের সিজিলমাসা শহর থেকে মুসলিম বণিকরা দুইদিকের রুটে বাণিজ্য করতো।
একটা রুট ছিলো: সিজিলমাসা-টেগহাসা-আওডাগাস্ট।
আরেকটি রুট হলো: সিজিলমাসা-তওয়াত-গাও-টিম্বাকটু।
ঘানা সাম্রাজ্য নিয়ে সর্বপ্রথম লিখেন মুসলিম ঐতিহাসিক আল খাওয়ারিজমি। উনার মতে, মুসলিম বণিকরা এই সমস্ত শহরে বাকি অংশ পড়ুন...
উসমানীয় সালতানাতে ৩৬ জন সুলত্বানের মধ্যে সবচেয়ে পরহেযগার, তাক্বওয়াবান ও মজবুত ঈমানের অধিকারী ছিলেন সুলত্বান দ্বিতীয় মুরাদ। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি উসমানীয় সুলতান হন।
সুলত্বান মুরাদ যখন ক্ষমতায় আসেন তখন উসমানীয় রাজধানীখ্যাত ইস্তাম্বুলে মুসলমানদের পাশাপাশি ইহুদী, খৃস্টানরাও জিযিয়া করের বিনিময়ে বসবাস করতো। সে সময় উসমানীয় ভূখন্ডে খৃস্টান মিশনারীগুলোর অপতৎপরতা ক্রমাগত বেড়েই চলেছিলো। সুলত্বান মুরাদ উনার সুদক্ষ গোয়েন্দা-বাহিনীর মাধ্যমে মিশনারীদের সকল অপতৎপরতার খবর পাচ্ছিলেন। তাই তিনি মিশনারীদের শায়েস্তা করতে উসমানীয় অ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে রোমানরা নিজেদের যুদ্ধশক্তি এবং সেনাবল নিয়ে অনেক অহংকার প্রদর্শন করতো। তৎকালীন বাইজেন্টাইন শাসক তাদের কথিত দক্ষ ৬০ হাজার সেনাকে পাঠানো হয়েছিলো মুসলমানদের উপর হামলা করার জন্য।
বর্তমান গাযা উপত্যকার গুভরিনের নিকটে মরুভূমির তপ্ত রোদে এই যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিলো। অসম এই যুদ্ধ পাল্টে দিয়েছিলো বিশ্ব ইতিহাসের গতিপথ। শুরু হয়েছিলো এক স্বর্ণালী সামরিক যাত্রার।
রোমানদের এই হামলা প্রতিহত করার জন্য গাযার ওই প্রান্তরে সে সময় মাত্র ৮ হাজার মুসলিম বাহিনী নিয়ে অপে বাকি অংশ পড়ুন...
সুলতান মুহম্মদ আল ফাতিহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন তুনতুনিয়া বা আজকের ইস্তানবুল বিজয় করেন তখন তিনি হাজিয়া সোফিয়া নিজের ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে খ্রিষ্টানদের থেকে ক্রয় করে সেটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। এরপর থেকেই সেটি মসজিদ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এরপর তুরস্কে যখন বাম নাস্তিকদের প্রভাব শুরু হলো তখন হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদ থেকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয় এবং সর্বশেষ তুরস্কের ক্ষমতায় রজব তাইয়্যেব এরদোগান আসার পর হাজিয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হয়।
আর এ নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো ব্যাপক লাফালাফি করেছে। অথচ বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামে আযম আবু হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি দূত মারাফত খবর পাঠালেন যে তিনি আগামীকাল যোহরের সময় আসবেন। পরদিন যোহরের নামাযের সময় হারুনুর রশীদ, তার সভাসদ ও সেই নাস্তিক অপেক্ষা করতে লাগলো।
কিন্তু যোহরের সময় তো দুরের কথা আছর শেষ হয়ে গেল তিনি মাগরীবের নামাযের সময় আসলেন। নাস্তিকটা উনার কাছে এত দেরিতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, আমি দজলা নদীর ওপারে বাস করি। আমি শাসকের অনুরোধ পেয়ে নদীতে এসে দেখি কোন নৌকা নেই। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোন নৌকা পেলাম না। সহসা আমি দেখলাম একটি গাছ আপনা-আপনি উপড়ে পড়লো এবং সেটি চেরাই হয়ে নিজ থেকেই তক্তায় পর বাকি অংশ পড়ুন...
তখন স্পেনে মুসলিম শাসন চলছে। আল আন্দালুসের শাসনভার তখন আমীর আব্দুর রহমানের হাতে। আল আন্দালুসে তখন অনেক আরব সম্পদশালী মুসলিম ব্যবসায়ীও বসবাস করতেন। সে সময় কর্ডোভার একটি গোত্রের সর্দার ছিলেন এক আরব সম্পদশালী মুসলমান। উনার বিপুল ধনসম্পদ ও জমিজমা ছিল। তবে তিনি অত্যন্ত পরহেযগার ও আল্লাহওয়ালা ছিলেন।
একদিন তিনি নিজ বাগানে পায়চারী করে বেড়াচ্ছেন। এই সময় জনৈক স্পেনীয় যুবক আকস্মিকভাবে উনার বাগানে ঢুকলো এবং উনার পায়ে পড়ে জীবনের নিরাপত্তা চাইলো। উনি তাকে টেনে তুললেন এবং কারণ জানতে চাইলেন।
যুবক বললো, পথিমধ্যে এক যুবকের সাথে আমার বাকি অংশ পড়ুন...












