সময় কি আছে বর্তমান মুসলিম দেশের শাসকদের জন্য, তারা চিন্তা করবে কি তাদের অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্য কেমন ছিল, তারা শিক্ষা নেবে কি কেমন বীরত্বপূর্ণ ছিল মুসলমানদের অতীত শৌর্য, কি ন্যায়নিষ্ঠ ছিলেন মুসলিম জাতির পূর্বপুরুষ উনারা? আমরা যদি একবার চোখ বুলাই তাহলে দেখতে পাবো অপরাজেয় সামরিক শক্তি, ইনসাফপূর্ণ হুকুমতব্যবস্থা, সর্বোচ্চ ইসলামী আদর্শ, ৬টি মৌলিক অধিকারের অপরিমেয় একচ্ছত্র ভিত্তিস্থাপন ইত্যাদি। তেমনি একজন মহান শাসক ছিলেন খলীফায়ে ছালিছ, আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
আমিরুল মু’মিন বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলার সুলতানদের মধ্যে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ। অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম স্বাধীন সুলতান ছিলেন তিনি। ইলিয়াস শাহ এর জন্ম পূর্ব পারস্যের জস্তানের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তিনি ১৩৪২ সালে সোনারগাঁও বিজয়ের পর লখনৈতির সুলতান হন। উনার প্রতিষ্ঠিত ইলিয়াস শাহী বংশ ১৫২ বছর মুসলিম সালতানাত পরিচালনা করেছেন। চলুন এবার তাহলে উনার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে আসা যাক-
* উপমহাদেশের একমাত্র হাজ্বী শাসক হলেন সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তাই উনার নামের পূর্বে সবসময় ‘হাজ্বী’ শব্দটি যুক্ত ছিলো। বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামী ইতিহাসের একটি বৃহৎ অংশ অধিকার করে আছে সামরিক বিভাগ। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনা মুবারক থেকেই সামরিক খাতে অসামান্য পারদর্শিতা এবং সফলতা দেখিয়েছেন মুসলমানরা।
৬৭২ হিজরীর বিভিন্ন ঘটনাবলি থেকে বোঝা যায়, যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলমানরা সপ্তম শতাব্দি থেকেই কামানের সাথে পরিচিত। তখন থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে বারুদ ধেকে উৎসারিত বোমার ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিল মুসলিম বাহিনী।
মামলুক সালতানাতের শাসনামলেও প্রচুর পরিমাণে কামানের ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়। উনারা নানা শক্তির, নানা বৈশিষ্ট্যের কামান আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। এর মধ্যে কিছ বাকি অংশ পড়ুন...
আমেরিকা আবিষ্কারকের নাম হিসেবে প্রচার করা হয় কলম্বাসের নাম। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতœতত্তবিদরা খুজেঁ পেয়েছে চমকপ্রদ তথ্য।
হিজরীর প্রথম শতকে অর্থাৎ আজ থেকে তেরশ বছর আগে আরবীয় মুসলমানরা আমেরিকার মাটিতে শুধু পা-ই রাখেননি বরং উনারা সেখানে দীর্ঘ সময় শাসনও করেছেন। আমেরিকায় বিভিন্ন আরবীয় ঐতিহ্য মন্ডিত নির্দশন পাওয়া গেছে।
যেমন, নাওদা অঞ্চলের পূর্বাঞ্চলে উপকূলীয় এলাকা ওয়ালকরে একটা পাথরে আরবী ভাষায় লেখা আছে-
مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
“মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ”
নাওদাতে ১৮ ইঞ্চি বাকি অংশ পড়ুন...
উসমানীয় সালতানাতের নৌ সেনাপতি খাজা খাইরুদ্দিন বারবারোসা ইতিহাসে স্বরণীয় একজন মুসলিম সামরিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে সফল একজন নৌ এডমিরাল। তিনি ও উনার নৌবাহিনী সম্মিলিত খৃষ্টানদের নৌশক্তিকে পরাজিত করেছিলেন অসংখ্যবার। ১৫৩২ সালে কথিত পোপ পলের আহ্বানে খৃষ্টান নৌ-বাহিনীর একটি লীগ গঠিত হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল উসমানীয়দের পরাজিত করে সমুদ্রে নিজেদের একক প্রভাব বিস্তার করা। কিন্তু তাদের এ আশা শেষ করে দেন এডমিরাল খায়রুদ্দিন বারবারোসা। উনার নির্দেশনায় তুর্কী নৌ-বাহিনী ভুমধ্যসাগরে ইউরোপীয় বন্দরে ও জাহাজে হামলা চ বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসারে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মুবারক অবদান অনস্বীকার্য। সম্মানিত আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে আগত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ঐকান্তিক নিষ্ঠার ফলে বাংলাদেশে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার ব্যাপকতা লাভ করে। উনাদের সম্মানিত ছোহবত মুবারক এবং ইনসাফপূর্ণ আচরণে মুগ্ধ হয়ে এ অঞ্চলের বিধর্মীরা দলে দলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ছায়াতলে আসতে শুরু করে।
বাংলায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলার মুশরিক জমিদাররা যেসব কর গরীব প্রজাদের কাছ থেকে আদায় করতো তা ছিলো অবিশ্বাস্য। ভার্চুয়ালী সাধারণ মানুষ ছিল জমিদারদের দাস। স্বপন বসু তার “গণ অসন্তোষ ও উনিশ শতকের বাঙালী সমাজ“ বইতে তার কিছু নমুনা উল্লেখ করেছে। যেমন-
১. গরুর গাড়ি করে মাল পাঠালে ধুলো উড়তো, তাই গাড়ির মালিককে যে কর দিতে হত তার নাম ‘ধুলট’।
২. প্রজা নিজেদের জায়গায় গাছ লাগালেও তাকে একটি কর দিতে হত, তার নাম ‘চৌথ’।
৩. গরীব প্রজারা আখের গুড় তৈরী করলে যে কর লাগত তা ‘ইক্ষুগাছ কর’।
৪. কোন প্রজার গরু মোষ মরে গেলে ভাগাড়ে সেই মৃত পশু ফেলার পর যে কর লাগত তা হল ‘ভাগাড়ে কর’।
৫. ন বাকি অংশ পড়ুন...
খোদায়ী আযাব-গযবের কারণে ইহুদীরা কখনই কোনো ভূখন্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেনি। যার কারণে এরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ইহুদীরা স্থানীয় ভাষায় কথা বলা ও স্থানীয় রীতিনীতিতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। তবে যে দেশেই বা ভূখন্ডে এরা বসবাস করতো সেই ভূখন্ডের মানুষদের প্রতি এদের কোনো আন্তরিকতা ছিলো না। এদের মূল লক্ষ্যই ছিলো কিভাবে অধিক সম্পদ উপার্জন করা যায়। তাই বিভিন্ন দেশের বিপদের সময় এরা কখনোই সেই দেশের পক্ষে হয়ে কাজ করতো না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই দেশের বিপক্ষে অবস্থান নিতো। তাই বিভিন্ন দেশ থেকে বারবার এদের বিতাড়িত করা হ বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলায় স্বাধীন সুলতানী আমলে (১৩৩৮-১৫৩৮ খৃ.) গিয়াসউদ্দীন আযমশাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রাজত্বকালে ‘গণেশ’ নামে এক বিশ্বাসঘাতকের উত্থান ঘটেছিল। এই ‘গণেশ’ নামক বিধর্মীটি প্রথমে মুসলিম শাসকদের অনুগত সেজে রাজকর্মচারী হয়েছিল, এরপর একে একে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হযরত গিয়াসউদ্দীন আযমশাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও উনার আওলাদগণকে শহীদ করে ক্ষমতা দখল করে।
ক্ষমতা দখলের পর সে বাংলার মুসলিম দরবেশ ও ওলীআল্লাহগণ উনাদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো শুরু করে। তখন চিশতীয়া তরীক্বা উনার এক বুযূর্গ হযরত নূর কুতুবে আলম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জৌ বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৯০ খ্রি: সন। উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাসনকাল। সে সময় ঘরে বাইরে শত্রু বিরাজমান। গাদ্দারদের ষড়যন্ত্রে উসমানীয় শাসন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন মুহূর্তেই শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। উসমানীয় শাসনের ভিত্তি মজবুত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তিনি।
এমনই এক সঙ্কটাপন্ন মুহূর্তে খবর এলো, ফরাসি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চলচ্চিত্র নির্মাতা কুলাঙ্গার হেনরি বর্নিয়ার মুসলমানদের সম্মানিত ঈমান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান মুবারকে অবম বাকি অংশ পড়ুন...












