সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মদের বিরুদ্ধে দিয়েছে অসংখ্য সতর্কবাণী ও নির্দেশনা। অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে দেয়া হবে মদের লাইসেন্স!
মদ-জুয়ার প্রসার মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অসন্তুষ্টির কারণ। যার পরিণতি হতে পারে খোদায়ী গযব। নাউযুবিল্লাহ!
, ০৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৪ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
বিধিমালা অনুযায়ী, মদ কেনাবেচা, পান, পরিবহনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স, পারমিট ও পাস নিতে হবে। কোথাও কমপক্ষে ১০০ জন মদের পারমিটধারী থাকলে ওই এলাকায় অ্যালকোহল বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে। আর ২০০ জন হলে দেওয়া হবে বারের লাইসেন্স। ২১ বছরের কম বয়সের ব্যক্তি মদপানের অনুমতি পাবে না। বিধিমালায় ‘অন শপ’ এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যে স্থান থেকে বিদেশি নাগরিক বা পারমিটধারী দেশীয় নাগরিক বিলাতি মদ বা বিদেশি মদ বা অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় কিনে ওই স্থানে বসে পান করতে পারে। রেল, সড়ক, নৌ ও আকাশপথের যে কোনো একটি বা একাধিক পথে অ্যালংকোহল বহন বা পরিবহন করা যাবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে মদের লাইসেন্স প্রদানের পর বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদ করা হয়েছে। কেউবা স্বাস্থ্যগত ক্ষতি তুলে ধরছে আবার কেউবা দেশের ভেতর মাদকের বিস্তার বেড়ে যাবে ইত্যাদি বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশ বিেেশ্বর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। বাংলাদেশের সংবিধানে দ্বীন ইসলাম উনাকে রাষ্ট্রদ্বীন হিসেবে বিধিবদ্ধ রয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসহ বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতিতে নিজেদের সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পক্ষের সরকার হিসেবে দাবী করেছে। প্রচার-প্রসার করেছে। সেই প্রেক্ষিতে মদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যগত ক্ষতিসহ বাহি্যৃক ক্ষতির পাশাপাশি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে মদকে কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিভিন্ন জায়গায় মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মদ নামক এই ঘৃণ্য বস্তুটির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে হুশিয়ারী এবং সাবধানবাণী করেছে-
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
* ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (পবিত্র সূরা মায়েদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯০)।
* ‘শয়তান তো মদ ও জুয়ার দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার স্বরণ এবং নামাযে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?’ (পবিত্র সূরা মায়েদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯১)
পবিত্র হাদীছ শরীফ
* পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘তোমরা মদ পান করো না। কারণ তা সকল অপকর্ম ও অঘটনের চাবিকাঠি। ’
* পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘প্রত্যেক নেশাকর বস্তুই মদ বা মদ জাতীয়। আর প্রত্যেক নেশাকর বস্তুই হারাম। ’
* পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, প্রত্যেক নেশাকর বস্তুই হারাম এবং যে বস্তুটির বেশি পরিমাণ নেশাকর তার সামান্যটুকুও হারাম”।
* হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ংালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মদ সংশ্লিষ্ট দশজনের প্রতি লা’নত করেছেন। (১) যে মদ তৈরি করে (২) যে মদ তৈরির ফরমায়েশ দেয় (৩) যে মদ পান করে (৪) যে মদ বহন করে (৫) যার জন্য মদ বহন করা হয় (৬) যে মদ পান করায় (৭) যে মদ বিক্রি করে (৮) যে এর মূল্য ভোগ করে (৯) যে মদ ক্রয় করে (১০) যার জন্য মদ ক্রয় করা হয়।
* পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘অভ্যস্ত মাদকসেবী মূর্তিপূজক সমতুল্য। ’
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘অভ্যস্ত মাদকসেবী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ’
* পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘মদ পান করা আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কাঠের খুটিকে ইবাদত করা একই কথা। কারণ দুইটিই একই অপরাধ। ’
* পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি মদজাতীয় দ্রব্য পান করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার ৪০ দিনের নামায কবুল করবেন না। যদি এ অবস্থায় মারা যায় তাহলে সে জাহান্নামে যাবে। যদি তওবা করে তাহলে আল্লাহ পাক তিনি তার তওবা কবুল করবেন। লোকটি যদি চতুর্থবার মদ পান করে তাহলে আল্লাহ পাক তিনি তাকে কিয়ামতের দিন রাদাগাতুল খাবাল বা আগুনের তাপে জাহান্নামীদের শরীর থেকে গলে পড়া রক্ত ও পুজমিশ্রিত গরম তরল পদার্থ পান করাবেন। নাউযুবিল্লাহ!
মূলত; পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে অপকারিতাসহ বাহি্যৃক এবং আখিরাতসহ সর্ব জায়গায় মদ কিভাবে একজন ব্যক্তিকে ধ্বংস করবে তার বিস্তারিত সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে মদের লাইসেন্স প্রদানের আগে শত সহস্র সাবধানবানী উনাদের দিকে দৃষ্টি দেয়া হলো না। নাউযুবিল্লাহ!
অতীতে বহুবার মদপান এবং অবাধ্যতার কারণে বিভিন্ন ভূখন্ডে মহান আল্লাহ পাক উনার গযব নাযিল হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও যখন লাইসেন্সের মাধ্যমে মহল্লায় মহল্লায় মদের দোকান তৈরী হবে, জায়গায় জায়গায় মানুষ মদ খেয়ে মাতাল হয়ে পড়ে থাকবে তখন স্বাভাবিকভাবে জাহেলী যুগের আচরণে অভ্যন্ত হবে দেশের মানুষ। যা আযাব-গযব আসার অন্যতম কারণে। নাউযুবিল্লাহ!
আমরা মনে করি, দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সরকারের উচিত, পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে মদের লাইসেন্স তো অবশ্যই নয় পাশাপাশি দেশের যে মহলটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম রাষ্ট্রে মদের অবাধ প্রসারের সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়, জনগনকে মাদকসেবী বানাতে চায়, মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করতে চায় তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
এদেশে যারা পহেলা বৈশাখের নামে বাঙ্গালীয়ানার হুজ্জোতে মেতে উঠে তারাই আবার ইংরেজী থার্টি ফার্স্ট নাইটের অশ্লীলতায় মজে থাকে। পহেলা বৈশাখের বাঙ্গালীয়ানা এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের খ্রীষ্টিয়ানা কোনটাই ৯৮ ভাগ মুসলমানের এদেশে চলতে পারে না। পশ্চিমা বিজাতীয় খ্রিষ্টানদের অপসংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই বিজাতীয় সংস্কৃতি সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী তথা দেশের যুবসমাজের চরিত্র বিধ্বংসী।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সুন্দরবন ধ্বংসে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে ক্রমেই ছোট হচ্ছে সুন্দরবন, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য আমাদের পরম প্রয়োজনীয় সুন্দরবন, এই সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)