ইহুদীরা মুসলমানদের দেশের পরিবেশ নষ্ট এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ও বিষাক্ত খাদ্য উৎপাদনের ষড়যন্ত্রে সক্রিয়। ইহুদী চক্রান্তে জাতিসংঘ এদেশে মহা ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ব্যাপকভাবে বনায়ন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানগণ ইহুদী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বড়ই বেখবর।
, ০২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
উল্লেখ্য, ক্ষতিকর বিদেশী গাছের প্রজাতি (ওহাধংরাব অষরবহ ঞৎবব ঝঢ়বপরবং-ওঅঞঝ) যা স্থানীয় গাছসমূহের স্বাভাবিক জীবনধারনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এরা খুব দ্রুত বাড়ে ও ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় উদ্ভিদের স্বাভাবিক জীবনধারনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসব পরিবেশ ঘাতক গাছ ও দুরভিসন্ধি জনিত কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মানুষের কাছে সাধারণ গাছ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশে মূলত অস্ট্রেলিয়ান দুটি প্রজাতি ইউক্যালিপটাস ও একাসিয়া (আকাশমনি) ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইহুদী চক্রান্তে টঘউচ-এর মাধ্যমে এই বিদেশী প্রজাতির গাছ ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের দেশে আসে। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ফান্ড উপজেলা পর্যায়ের সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসব গাছ নিয়ে আসে। এর মধ্যে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি ইহুদী চক্রান্তে এদেশে ব্যাপক প্রচলনের জন্য এই দুটি গাছ অনেকের কাছে এখন স্থানীয় গাছ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
অথচ যে অস্ট্রেলিয়া থেকে ইউক্যালিপটাস গাছ আনা হয়েছে। ইউক্যালিপটাস গাছ সে অস্ট্রেলিয়ায় পশুখাদ্য হিসেবে চাষ হয়। তবে সেখানে গাছ বড় হতে দেয়া হয় না; কচি অবস্থায়ই গবাদি পশু দিয়ে খাওয়ানো হয়।
অথচ পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিদেশী ইউক্যালিপটাস গাছের সংখ্যা বাড়ছে দেশের সব জেলায়। গত কয়েক বছরে সামাজিক বনায়ন থেকে শুরু করে মহাসড়কের দুই পাশে, জেলা সড়ক, বসতবাড়ি, নদী, খাল, ক্ষেতের আলসহ সর্বত্র ইউক্যালিপটাসে ছেয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে ইউক্যালিপটাস গাছের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পাখিদের আশ্রয়স্থল কমে যাওয়া ও খাদ্যাভাব দেখা দিচ্ছে। আশ্রয় এবং খাদ্য হারাচ্ছে পাখিসহ অন্য বন্যপ্রাণী।
একটি পূর্ণবয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ ২৪ ঘণ্টায় ভূগর্ভ হতে প্রায় ৯০ লিটার পানি শোষণ করে। মাটিকে নিরস ও শুষ্ক করে ফেলে। এলাকার ইউক্যালিপটাস গাছগুলো প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৫০ কোটি লিটার পানি শোষণ করছে ভূগর্ভ থেকে। সাধারণত গাছ নাইট্রোজেন গ্রহণ করে আর অক্সিজেন সরবরাহ করে পরিবেশ নির্মল ও প্রাণীকূলের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করে। অথচ ইউক্যালিপটাস গাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং নাইট্রোজেন নির্গমন করে। ফলে এ গাছের শাখায় পাখি বসতে পারে না। এমনকি যে বসতবাড়িতে অধিক পরিমাণে ইউক্যালিপটাস গাছ আছে সেসব বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যে ফলের বাগানে এ গাছের সংখ্যা বেশি সেখানে ফল কম ধরতে পারে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এর আগ্রাসী ভূমিকা কম নয়।
বাংলাদেশের বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া এবং পাহাড়ি অঞ্চলের অনেক জায়গা এখন বিদেশি গাছের বনে পরিণত হয়েছে। এমনকি রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুরের শালবন এবং বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার অনেক প্রাকৃতিক বনাঞ্চল খুব দ্রুত ইউক্যালিপটাস ও একাসিয়ার বনে পরিণত হয়েছে।
এক জরিপে দেখা গেছে, শুধুমাত্র বৃহত্তর রংপুরেই বিদেশি প্রজাতির এসব ঘাতক গাছ লাগানো হয়েছে এক বিলিয়নের বেশি। সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচার করা হয়েছিল যে, এসব বিদেশি গাছ খুব দ্রুত বাড়ে। ফলে একদিকে এরা যেমন জ্বালানী ঘাটতি দূর করতে সক্ষম, অন্যদিকে এসব গাছের কাঠ ঘরবাড়ি নির্মাণের উপযোগী। ফসলের জমিতে, পাহাড়ের ঢালে, বাড়ির আশেপাশে এবং বড় রাস্তার দু’পাশে ব্যাপকভাবে এসব বিদেশি গাছ লাগানো হয়েছে। এখন এসব গাছ স্থানীয় অন্যান্য গাছের উপর এবং জীববৈচিত্রের উপর মারাতœক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
সরকারের নিস্ক্রিয়তা এবং জনগণের অসচেতনতার কারণে ইউক্যালিপটাস, পাইন, আকাশমনির মত্যে বিদেশি প্রজাতির ঘাতক গাছের সংখ্যা উল্লেখ্যযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমাদের স্থানীয় গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র ও প্রকৃতি আজ বিপন্ন। তাই অচিরেই এসব বিদেশি গাছের বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে এবং দেশের জীববৈচিত্রকে রক্ষা করতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)