এক বুযূর্গ ব্যক্তি, মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী, বুযূর্গ ছিলেন। সেই দেশের যে বাদশাহ ছিলো, সে উক্ত বুযূর্গ বা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীর মুরীদ ছিলো। তিনি নছীহত করতেন, তা’লীম দিতেন। বাদশাহও প্রায় সময় তার পীর সাহেব অর্থাৎ সেই ওলীআল্লাহ বা বুযূর্গ ব্যক্তির খানকা শরীফে আসতো। এসে নছীহত হাছিল করে তা’লীম নিয়ে যেতো। একদিন সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, বুযূর্গ ব্যক্তি তিনি নছীহত করলেন যে, মানুষের অন্তরের মধ্যে দুনিয়ার মুহব্বত বেশী হয়ে গিয়েছে। মানুষ দুনিয়াতে গরক (মশগুল) থাকার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে গাফিল হয়ে গিয়েছে। তবে ক বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই মুসলমানদেরকে আক্বীদা শুদ্ধ করতে হবে, কেননা এটাও কাফির-মুশরিকদের একটা ষড়যন্ত্র। যে মুসলমানদেরকে ছোঁয়াচে বিশ্বাস করিয়ে ঈমানহারা করা। মূলত, শরীয়তের দৃষ্টিতে ছোঁয়াচে রোগের কোন অস্তিত্ব নেই। ছোঁয়াচে রোগ বিশ্বাস করা জায়িয নেই। বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি, বেদী, ভাগ্য নির্ধারণকারী তীর এসবগুলোই শয়তানের কাজ। অতএব, এগুলো থেকে তোমরা বিরত থাকো। অবশ্যই তোমরা সফলতা লাভ করবে। (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ
অর্থ: তোমরা মূর্তিসমূহের খারাবী, অপবিত্রতা, নাপাকী, নিষিদ্ধতা বা শাস্তি থেকে বেঁচে থাকো। বাকি অংশ পড়ুন...
শাহাদাত বরণ:
একাদশ হিজরীতে সংঘটিত ইয়ামামার জিহাদে বীরত্বের সঙ্গে জিহাদ করে হযরত আব্বাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শাহাদাতের সৌভাগ্য লাভ করেন। তখন উনার বয়স মুবারক হয়েছিলো মাত্র ৪৫ বছর। উনার কোন পরবর্তী বংশধর ছিলো না।
মুহম্মদ বিন উমর বর্ণনা করেন, হযরত আবদির রহমান বিন আবী সাঈদ খুদরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তিনি উনার পিতা থেকে শুনেছেন; তিনি বলেন, আমি হযরত ‘আব্বাদ বিন বিশর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলতে শুনেছি, হে আবু সাঈদ! আমি আজ রাত্রে (স্বপ্নে) দেখলাম, আসমান আমার জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে, অতঃপর ইহা খন্ড খন্ড হয়ে আমার উপর পত বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাত কখন আদায় করবেন :
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, কোন মালিকে নিছাব বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই অগ্রীম যাকাত আদায় করতে পারবেন।
কোন মালিকে নিছাব অগ্রীম যাকাত আদায়ের কারণে যদি কোন অভাবী লোক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সম্পদশালী হয়ে যায় তাহলেও এই অগ্রীম যাকাত আদায় জায়িয এবং যাকাতদাতার যাকাত আদায় হয়ে যাবে। তবে অগ্রীম যাকাত আদায় করা জরুরী নয়। পূর্ণ এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে মালিকে নিছাবের ইন্তিকাল হলে উক্ত মালিকে নিছাবের যাকাত মওকুফ হয়ে যায়। উশর ও খনিজ সম্পদের অগ্রীম যাকাত আদায় করা সম্ভ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُوْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّهَا كَانَتْ قَدْ اِتَّخَذْتُ عَلٰى سَهْوَةٍ لَّهَا سِتْرًا فِيْهِ تَمَاثِيْلُ فَهَتَكَهُ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে অপর একটি বর্ণনা মুবারক-এ এসেছে যে, একবার তিনি পবিত্র হুজরা শরীফ উনার জানালা মুবারকে একটি পর্দা মুবারক ঝুলিয়েছিলেন, যাতে প্রাণীর ছবি ছিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পর্দাটিকে ছিঁড়ে ফেললেন। (মি বাকি অংশ পড়ুন...
প্রয়োজনে আপনি আপনার পিতা-মাতা উনাদের সাথে আলোচনা মুবারক করে জবাব দিবেন। তিনি বললেন ঠিক আছে, কি বিষয়। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক তিলাওয়াত করে শুনালেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি শুনে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলেছেন, আমি যেন আমার পিতা-মাতা উনাদেরকে জিজ্ঞেস করে জবাব দেই। আপনি আমাকে মহব্বত মুবারক করেন। আসলে আমার পিতা-মাতা উনাদে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَلَا وَرَبِّكَ لَا یُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ یُحَكِّمُوكَ فِیمَا شَجَرَ بَیۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا یَجِدُوا۟ فِیۤ أَنفُسِهِمۡ حَرَجࣰا مِّمَّا قَضَیۡتَ وَیُسَلِّمُوا۟ تَسۡلِیمࣰا.
অর্থ: আপনার মহান রব তায়ালা উনার কসম! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান্দার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের সকল বিষয়ে আপনাকে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে। অতঃপর আপনার ফায়সালা মুবারক সম্পর্কে তাদের মনে কোন দ্বিধা/ সংশয় থাকে না এবং পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করে তা মেনে নেয়। (সূরা নিসা শরীফ: আয়াত শরীফ: ৬৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صَلَّـى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه
অর্থ: আমরা যখন মদীনা শরীফ উনার মধ্যে আগমন করতাম, তখন তাড়াতাড়ি করে নিজেদের সওয়ারী থেকে নেমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মাগফিরাত মুবারকে (পবিত্র হাত মুবারকে) এবং নূরুদ দারাজাত মুবারকে (পবিত্র ক্বদম মুবারকে) বুছা দিতাম। সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুছ ছাহাবাহ্, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, শরহুস সুন্নাহ্, শু‘আবুল ঈমান, বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
আনছারী ছাহাবী, পিতা বিশর বিন ওয়াকাশ বিন যুগ্বা, উপনাম আবু বিশ্র, মদীনা শরীফের প্রখ্যাত বনু আবদুল আশহাল গোত্রের লোক।
দ্বীন ইসলাম গ্রহণ:
হযরত ‘আব্বাদ বিন বিশর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত মুছয়াব ইবনে উমায়ের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হাতে মদীনা শরীফে সম্মানিত ইসলাম গ্রহণ করেন। বলা হয় যে, তিনি হযরত সা’দ ইবনে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত উসাইদ ইবনে হুদ্বাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হ বাকি অংশ পড়ুন...
এখন সেই বিষয়টি-ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দু‘আ করো-
اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ
অর্থ: “আয় বারে ইলাহী! আমাদেরকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম অর্থাৎ সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।” (পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ: ৫)
যে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম অর্থাৎ সরল সঠিক পথ কোনটি? সে প্রসঙ্গে পরবর্তী পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْـعَمْتَ عَلَيْهِمْ
অর্থ: “উনাদের পথ যাদেরকে আপনি নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন।” (পবিত্র সূ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ.
আমার পরে মহিলা ফিতনা (পরীক্ষা) পুরুষদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
মূলত, বেপর্দার কারণেই মহিলারা আজ মান, সম্মান, ইজ্জত হারাচ্ছে ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে নিত্য-নতুন ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা। নাউযুবিল্লাহ!
বাকি অংশ পড়ুন...












