আখাছ্ছুল খাছ আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুত্বাহ্হার, মুত্বহহির, আস সাফফাহ, ইমামুল উমাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সেটাই বলে দেয়া হচ্ছে, তোমরা সাবধান থাকো। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ব্যাপারে চু-চেরা কীল-কাল করবে না। উনাদের সম্পর্কে চু-চেরা কীল-কাল করলে জাহান্নাম ওয়াজিব হবে। উনাদের সম্পর্কে যারা চু-চেরা কীল-কাল করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে, উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنْ تُقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعِفْهُ لَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ شَكُورٌ حَلِيمٌ
অর্থ: “তোমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে উত্তম ঋণ দাও তথা উনার পথে দান- ছদক্বা করো, খয়রাত করো তা হলে তিনি তোমাদেরকে তা বহু গুণে বাড়িয়ে দিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। সুবহানাল্লাহ! মূলত খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহা গুণগ্রাহী ও অত্যন্ত সহনশীল”। (পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭)
বাকি অংশ পড়ুন...
বিছাল শরীফ:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হিজরী ৪৩ সনে (৬৬৩ খৃ:) হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খিলাফত আমলে পবিত্র মদীনা শরীফে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
উনার আওলাদ:
উনার দুইজন পুত্র ছিলেন। উনাদের নাম হযরত ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনাদের উভয়ের বিলাদত শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী হায়াত মুবারক অবস্থায়। হযরত ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বয়সে বড়। উনার বিলাদত শরীফের পর বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِّ عِنْدَ اللَّهِ الَّذِينَ كَفَرُوا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সৃষ্টির সচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী হচ্ছে যারা কাফির।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা আনফাল : আয়াত শরীফ ৫৫)
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা। তারা যালিম, ধোঁকাবাজ, মিথ্যাবাদী, লা’নতপ্রাপ্ত, গযবপ্রাপ্ত এবং চির জাহান্নামী। তাদের অনুসরণ করা, তাদের জন্য কল্যাণের দোয়া করা, তাদের প্রশংসা করা এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা প্রত্যেকটাই কাট্টা কুফরী ও চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। অনুরূপভাবে তাদের বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ سَعِيدِ بْنِ أَبِى الْحَسَنِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَقَالَ إِنِّى رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ فَأَفْتِنِى فِيهَا. فَقَالَ لَهُ اُدْنُ مِنِّى. فَدَنَا مِنْهُ ثُمَّ قَالَ اُدْنُ مِنِّى. فَدَنَا حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ أُنَبِّئُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِى جَهَنَّمَ. وَقَالَ إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لاَ نَفْسَ لَهُ.
অর্থ: হযরত সাঈদ রদ্বিয় বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে পবিত্রা বললেও ভুল হবে। উনারা হলেন পবিত্রতা দানকারিণী। সুবহানাল্লাহ! উনারা যদি পবিত্রতা দানকারিণী হয়ে থাকেন তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্রতা কত বেমেছাল তা বলার অপেক্ষায় রাখে না। সুবহানাল্লাহ! অতএব যারা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে চু-চেরা কীল-কাল করবে, উনাদেরকে কোন প্রকার দোষারোপ করবে তাদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। তাদের জন্য সম্মানিত শরীয়ত উনার শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضَرَتْ عُمَرُو بْنِ شُعَيْبِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَده اَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لاَتَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلا بِالنَّصَارٰى.
অর্থ: “হযরত উমর বিন শুয়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা হতে উনার পিতা উনার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমাদের ভিন্ন অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। কাজেই আপনারা ইয়াহুদী এবং নাছারাদের সা বাকি অংশ পড়ুন...
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আমল মুবারক:
যেমন বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا لَا يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِسَلَامٍ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পূর্বে ৪ রাকায়াত নামায পড়তেন। মাঝে পৃথক হতেন না অর্থাৎ এক সালামে ৪ রাকায়াত পড়তেন।” সুবহানাল্লাহ! (শরহু মা‘য়ানিইল আছার ১/৩৩৫, ত্বহাবী শরীফ)
হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وروى حَضْرَتْ ا বাকি অংশ পড়ুন...
(১) অল্প বয়সে ইনতিকাল হবে।
(২) মূর্খ সমাজে বসবাস হবে।
(৩) কোনো আমীরের তাবেদার হবে।
বাকি অংশ পড়ুন...
জিহাদে অংশগ্রহণ:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সর্বপ্রথম খন্দকের জিহাদে অংশ গ্রহণ করেন। খন্দকের জিহাদের পরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সকল জিহাদেই তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত আমলে বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ ও জাবিয়া বিজয়ে তিনি অন্যতম অংশীদার ছিলেন। তিনি নিহাওয়ান্দ বিজয়েও অংশগ্রহণ করেছিলেন। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
ইমামুল আউওয়াল, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার খিল বাকি অংশ পড়ুন...
ঢিলা-কুলখ ব্যবহার করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক। কারণ এ ব্যাপারে উদাসীনতার ফলে শরীর ও কাপড় নাপাক থেকে যায় এবং ওজু ও নামাযও বাতিল হয়ে যায়।
শুকনা মাটির টুকরা, পাথর, নতুন বা পুরাতন কাপড়ের টুকরা, তুলা ইত্যাদি দ্বারা কুলুখ নেয়া জায়িয আছে। হাড়, শুকনা চামড়া, কয়লা ইত্যাদি কুলুখরূপে ব্যবহার করা মাকরূহ। কোন খাদ্যদ্রব্য দ্বারা কুলুখ নেয়া নিষিদ্ধ, হারাম।
পুরুষের ছোট ইস্তিঞ্জা একেবারেই সম্পূর্ণ নির্গত হয় না। খানিকটা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় ইস্তিঞ্জা বন্ধ হওয়া মাত্রই অপেক্ষা না করে পানি ব্যবহার করে উঠে গেলে বাকি অংশ পড়ুন...












