মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফে অনেক স্থানে বলেছেন-
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে।’
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ
এবং ‘তারা ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে।’ প্রথমে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈমানের কথা বলেছেন। আমলের কথা বলেননি। যেহেতু ঈমান ব্যতীত আমলগুলো আমলে ছালেহ হয়না। সেটা ভালো কাজ হতে পারে কিন্তু আমলে ছালেহ বলতে যা বুঝানো হয়েছে সেটা হয়না। এইজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু প্রত্যেক মানুষকে যমীনে পাঠানোর সময়ই নির্দিষ্ট সময় ও সম্পদ বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিছীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন সম্মানিত তাবেঈনে কিরাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার সৌভাগ্য তিনি হাছিল করেছেন। এমনকি তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফও বর্ণনা করেছেন।
সর্বজনমান্য, স্বীকৃত, গ্রহণযোগ্য ও বিখ্যাত ইমাম, মুজতাহিদ এবং আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা উনাদের স্ব স্ব কিতাবে তা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা মুজাদালাহ শরীফের ২২ নম্বর আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
“যে কওম বা সম্প্রদায় মহান আল্লাহ পাক উনার ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখেন সে কওম কখনো ঐসব লোকদেরকে মুহব্বত করেন না, তাদের সাথে সম্পর্ক রাখেন না, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, বিরোধিতা করে, মানহানি করার কোশেশ করে। যদিও বিরোধিতাকারীরা ঈমানদারগণের বাপ-দাদা, সন্তান-সন্তুতি, ভাই-ভাতিজা, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী বা যে কোন আত্মীয় স্বজনই হোক না কেন। বরং উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাক্বীক্বী ঈমানদার বান্দাগণের আমলের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন-
وامرهم شورى بينهم.
অর্থাৎ উনাদের (মু’মিনদের) সকল কাজ-কর্ম পারস্পরিক পরামর্শক্রমে সম্পন্ন হয়।” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৮)
মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার জমিনে উনার মনোনীত খলীফা বা প্রতিনিধি পাঠানোর পূর্বে এ বিষয়টি নিয়ে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে পরামর্শ করতঃ মানব জাতিকে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য জানিয়ে দিয়েছেন। সাথে সাথে পরামর্শের কাইফিয়ত (ধরণ) কিরূপ হওয়া উচিত তারও শিক্ষা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ম বাকি অংশ পড়ুন...
এক কোটিরও বেশি বিধর্মী যে মহান ব্যক্তিত্ব উনার হাত মুবারক-এ হাত রেখে পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করেন, তিনিই হচ্ছেন সুলত্বানুল হিন্দ, সুলত্বানুল মাশায়িখ, সুমহান চিশতীয়া তরীক্বা উনার ইমাম ও প্রতিষ্ঠাতা, সপ্তম হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ হযরত খাজা হাবীবুল্লাহ চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ছিলেন হক্কানী-রব্বানী ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি পবিত্র সুন্নত উনার পরিপূর্ণ ও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুসরণ করতেন। এজন্য উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার কপাল মুবারক-এ কুদরতীভাবে লিখে দেয়া হয়, ‘হাযা হাবীবুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা জুমুয়াবার রাতকে হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পরিভাষায় ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ বলা হয়। এ মহান রাত মুবারকেই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকে কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক নেন। এ সম্মানিত রাতের মহিমা ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে মাযহাব চতুষ্ঠয়ের অন্যতম হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “এ রাত মুবারক উনার মর্যাদ বাকি অংশ পড়ুন...
ইহুদী-নাছারাদের সূক্ষ্ম চক্রান্তে সামান্য সিলেবাসভিত্তিক পড়ালেখার মাধ্যমে পরিচালিত বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ধর্মীয় অঙ্গনের নাম হচ্ছে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। এই মাদরাসার সর্বোচ্চ সার্টিফিকেট অর্জনকারীদেরকে বলা হয় ‘মাওলানা’। শতকরা ১০০ ভাগ কথিত ‘মাওলানা’রাই জানে না ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ কি? (প্রকৃতপক্ষে এরা মাওলানা নয়; এরা হলো মালানা)। তারা জানে না- ওই পবিত্র রাত্রি উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী কি?
তাহলে যারা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ জীবনে স্পর্শ করেনি, এমন সাধ বাকি অংশ পড়ুন...
(১)
رَغَائِبُ (রগায়িব) শব্দ মুবারকটি رغيب উনার বহুবচন। যার অর্থ কাঙ্খিত বিষয়, প্রচুর দান। (মিছবাহুল লুগাত-২৯৮)
পারিভাষিক বা ব্যবহারিক অর্থে- আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে মুবারক রাত্রিতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পবিত্র নূর মুবারক হিসেবে কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন সেই মুবারক রাতকে ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ বলা হয়।
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন (ওলীআল্লাহ) উনাদের সঙ্গী হও, ছোহবত ইখতিয়ার করো।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ সমস্ত লোকের ছোহবত লাযিম করে নাও যারা সকাল-সন্ধ্যা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য যিকির আযকারে মশগুল। দুনিয়ার মোহে পড়ে, দুনিয়ার ধোঁকায় পড়ে তোমরা উনাদের থেকে দূরে সরে যেও না। (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)
সম্মানিত আয়াত শরীফদ্বয় থেকে জানা গেল যে, প্রত্যেক ঈমানদারগণ উনাদের জন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَللهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهٖ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَلٰكِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ لَا يَعْلَمُوْنَ
অর্থ: আর মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যই সমস্ত ইজ্জত-সম্মান এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য এবং মু’মিন মুসলমানদের জন্য। কিন্তু মুনাফিকরা এ সম্পর্কে মোটেও অবগত বা অবহিত নয়। (পবিত্র সূরা মুনাফিকূন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
মূলত সৃষ্টিরাজির মধ্যে সবচাইতে ইজ্জত-সম্মানের অধিকারী হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্ বাকি অংশ পড়ুন...
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা চীশতীয়া তরীক্বার আদি পীর ও মুর্শিদ হযরত খাজা ইসহাক শামী চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত পৌঁছেছে।
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা উছমান হারুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত হাজী শরীফ জিন্দানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন মওদুদ চ বাকি অংশ পড়ুন...
কামিল শায়েখ উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয। মা’রিফাত-মুহব্বত প্রাপ্তির পথে একজন অভিজ্ঞ লোকের অতীব প্রয়োজন। এ পথের অভিজ্ঞ লোকের তত্ত্বাবধান ব্যতীত কখনই কামিয়াবীর আশা করা যায় না। বরং অনেকাংশে উল্টো ফল হয়। গোমরাহীতে নিমজ্জিত হয়ে ইহকাল-পরকাল উভয়কালই বরবাদ হয়ে যেতে পারে।
সুলত্বানুল আউলিয়া কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অনেক পূর্বেই বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে তিনি কামিল শায়েখ উনার তালাশে অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষা সহ্য করেছিলেন।
এ পথের একটি ঘটনা যা সবার জন্যই ইবরত নছীহতপূ বাকি অংশ পড়ুন...












