মায়ের কোলে হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি
কিতাবে বর্ণিত আছে-
اَلْوَلِىُّ وَلِيًّا وَلَوْ كَانَ صَبِيًّا
অর্থ: “ওলীআল্লাহগণ শিশুকাল থেকেই ওলীআল্লাহ।”
অর্থাৎ এমন কতিপয় ওলীআল্লাহ আছেন যাঁরা পূর্ব থেকে মনোনীত। রোযে আজল থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে তরবীয়ত দিয়ে থাকেন। নি¤œবর্ণিত পবিত্র আয়াত শরীফখানা সেদিকেই দালালত (নির্দেশ) করছে।
اَللهُ يَجْتَبِيْ إِلَيْهِ مَنْ يَّشَاءُ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা উনাকে মনোনীত করেন।” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩)
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
ذٰلِكَ فَضْلُ اللهِ يُؤْتِيْهِ مَنْ يَّش বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক নর এবং নারীর জন্য তার আক্বীদা অর্থাৎ ই’তিক্বাদ বা বিশ্বাস, সেটা কি প্রকার হতে হবে, কি কি বিশ্বাস করতে হবে, যে বিশ্বাসটা না থাকার কারণে একজন মানুষ ঈমানদার না হয়ে ঈমানহারা হয়ে যায়, সেই আক্বাইদ বা বিশ্বাসসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফে এবং আখিরী রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খাতামুন্ নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফে এ বিষয় উল্লেখ করেছেন, আলোচনা করেছেন। কাজেই, কালামুল্লাহ শরীফ থেকে এবং হাদীছ শরীফ থেকে সে বিষ বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়াতো তাদের (মু’মিনদের) জন্য নয়। মানুষ মনে করে থাকে, কাফেরদের কেন এত বিলাসিতা দেয়া হলো, অনেক সম্পত্তি-সম্পদ কেন দেয়া হলো, এত মালিক কেন করে দেয়া হলো? তার কি কারণ রয়েছে? হাক্বীক্বত তাদের তো
اَلدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ
যেহেতু দুনিয়াই কাফিরদের বেহেশত, বালাখানা। এরপরে তারা কঠিন শাস্তিতে গ্রেফতার হয়ে যাবে। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে দুনিয়ায় কিছু বিলাসিতা দিয়েছেন। কিন্তু ঈমানদার যারা, উনারা কাফির হয়ে যেতে পারেন, সেই আশঙ্কায় মহান আল্লাহ পাক তিনি বেশি সম্পদ দেননি, তবে কিছু দিয়েছেন। হাক্বীক্বত মুসলমান উনাদেরকে মহ বাকি অংশ পড়ুন...
মুরীদ হওয়ার পরে কোনো প্রকার চু-চেরা, কিলকাল অর্থাৎ কোনো বিষয়ে কি, কেন বলতে পারবে না। বিনা প্রশ্নে সব বিষয় মেনে নিতে হবে। তবে হ্যাঁ, কোনো বিষয় বুঝে না আসলে আদবের সাথে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবে।
এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে, একবার এক ব্যক্তি বিশিষ্ট ওলী হযরত আবূ বকর শিবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার জন্য আসলো। এসে বললো, হুযূর! আমাকে বাইয়াত করে মুরীদ করে নিন।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী তাকে বললেন, বাবা! বাইয়াত হওয়ার বিষয়টি অনেক কঠিন। তুমি কি ছূফী উনাদের চাকচিক্যময় কথা শুনে বাইয়াত হতে এসেছো? যদি এ উদ্দেশ্যে এসে থাক তাহলে ফেরত চলে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-
انَّمَا يَخْشَى اللّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاء
মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাদের মধ্যে যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন উনারাই হলেন আলিম।
হযরত আবু হামযাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যে মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি রয়েছে সেটা বেমেছাল। কাজেই যাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন উনারাই হচ্ছেন আলিম। আর যাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি নেই, মহান আল্লাহ পাক উনাকে যারা ভয় করে না এরা কখনই আলিমের অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা যতই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষা করুক না কেন এর বাকি অংশ পড়ুন...
সবক করতঃ সালিকের কি হাছিল হলো অথবা না হলো সেদিকে দৃষ্টিপাত না করা উচিত। কেননা ইহা গইরুল্লাহ এবং সবকের হাল উপলব্ধি বা সবকের বিষয়ে অধিক জ্ঞান হাছিলের জন্য অন্য কারো দ্বারস্থ না হওয়া উচিত।
এখানে একটি বিষয় বুঝে নিতে হবে, যে মুরীদ বা সালিক নিজ শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ওসীলায় ফানা-বাক্বা মর্তবা পর্যন্ত উপনীত, যার ইলহাম এমন প্রশস্ত ও উন্মুক্ত যে, উনার মুর্শিদ ক্বিবলা তিনিও এটা অনুমোদন করেন ও উনার পূর্ণতার সাক্ষ্যদান করেন, শুধুমাত্র তিনিই নিজ ইলহাম অনুযায়ী আমল করতে পারবেন, যদিও তা উনার শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ইলহাম মুবারক বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে উল্লেখ করা হয়, সপ্তম হিজরী শতকের বিশিষ্ট বুযূর্গ, প্রখ্যাত আরবী কবি ও সাহিত্যিক, ইমাম আবু আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে সাঈদ আল বুছীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতার কারণে তিনি শয্যাসায়ী হয়ে পড়েন। উনার শরীরের কয়েকটি অঙ্গ অবশ হয়ে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে রুজু হন। অসুস্থ অবস্থাতেই দীর্ঘ একখানা না’ত শরীফ রচনা করেন। যার নামকরণ করেন ‘আল ক্বাওয়াক্বিবুদ র্দুরিয়্যাহ ফী মাদ্হি খইরিল বারিয়্যাহ’। না’ত শরীফ রচনার পর এক রাত্রে নূ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَطَاءِ الْخُرَاسَانِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَصَافَحُوْا يَذْهَبِ الْغِلُّ وَتَهَادَوْا تَحَابُّوْا وَتَذْهَبِ الشَّحْنَاءُ
অর্থ: হযরত আতা খুরাসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পরস্পর মুছাফাহা করো। এতে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়, মনের কালি দূর হয়। একে অন্যকে হাদিয়া দাও। এতে মহব্বত গভীর হয় এবং হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভূত হয়।” (মুয়াত্তা মা বাকি অংশ পড়ুন...
টুপির ফতওয়া সম্পর্কিত কতিপয় বিষয়ের সংশয় নিরসন:
কেউ কেউ “ফতওয়ায়ে রশীদিয়ার” বরাত দিয়ে বলে থাকে যে, সব ধরনের গোল টুপিই পরিধান করা জায়েয।” আবার কেউ কেউ “ফতওয়ায়ে মাহমুদীয়ার বরাত দিয়ে বলে থাকে যে, গোল টুপি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়। কারণ গোল টুপি “সুনানে হুদা” অর্থাৎ দ্বীনী আমলের অর্ন্তভুক্ত নয়। সুতরাং টুপি একটি পরিধান করলেই চলে।
তাদের উক্ত বক্তব্যের জবাবে বলতে হয় যে, ফতওয়ায়ে রশীদিয়ার বক্তব্য দ্বারা কস্মিনকালেও সব ধরনের গোল টুপি জায়েয প্রমাণিত হয় না। কারণ টুপি সম্পর্কে “ফতওয়ায়ে রশীদিয়া- ৫৮৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে-
سوال - گول ٹوپی اوڑھنا ک বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্তম বাকি অংশ পড়ুন...












