হাদীছ শরীফে যেটা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা হচ্ছে, সালাম দিতে হবে, অনুমতি প্রার্থনা করতে হবে, এরপর প্রবেশ করতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন-
لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ
তোমাদের নিজস্ব ব্যতীত অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী, পরিচিত-অপরিচিত লোকদের বাড়ীতে যখন যাবে তখন আগে সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে নিবে। হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي أُمَامَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِاللهِ مَنْ بَدَأَ بِالسَّلَامِ
“হযরত আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বাকি অংশ পড়ুন...
অনুরূপভাবে সূরা ত্ব-হা শরীফ উনার ১২১নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শেষাংশে
وعصى ادم ربه فغوى
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তরজমা বর্ণনায় অনেকে বলে থাকে যে, হযরত আবুল বাশার আলাইহিস সালাম তিনি উনার পালনকর্তার আদেশ লঙ্ঘন করলেন, ফলে তিনি পথভ্রান্ত হয়ে গেলেন। নাউযুবিল্লাহ!
এ তরজমা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রথম নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ হওয়ার কারণে প্রকাশ্য কুফরী। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা হচ্ছে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা পবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। উনারা পবিত্র ওহী ম বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনকাল ছিলো সমকালীন পৃথিবীর সর্বাধিক আলোচিত পবিত্র ই’জায শরীফ।
পবিত্র ই’জায শরীফ উনার সূচনা থেকেই দু’দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে সমুদয় আরববাসী। উনাদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন পবিত্র, স্বচ্ছ ও অনাবিল চিন্তার অধিকারী উনারা প্রথম সাক্ষাতেই বিষয়টি গভীর বিবেচনায় নেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ছীরত-ছুরত মুবারকসমূহ উনাদেরকে হক্ব গ্রহণে আন্দোলিত করে।
তবে এ সবকিছু জেনেশুনেও অনেকে চরম সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতো। বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত উলামায়ে কিরামগণ লিখেছেন যে, “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার সময় পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আসমান ঘোর অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল, ফলে দিনের বেলা তারকারাজি দৃষ্টিগোচর হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর আসমান কালো থেকে লাল বর্ণে পরিণত হয়েছিল এবং আকাশ থেকে রক্ত বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিল। সাতদিন পর্যন্ত এ রক্ত বৃষ্টি বর্ষণ অব্যাহত ছিল। সমস্ত ঘর-বাড়ির দেয়াল রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল এবং যেসব কাপড়ের উপর রক্ত পতিত হয়েছিল, সেসব কাপড় ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হওয়ার পরও সেই রক্তের লালিমা যায়নি। বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা অনুমতি না নিবে এবং সালাম না করবে। ’
সালাম দিলেই এর সাথেই অনুমতি চাওয়া হয় এবং যেটা আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلسَّلاَمُ قَبْلَ الْكَلاَمِ
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সালাম সমস্ত কথার পূর্বে। কেউ যদি বলে, বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ওয়াছিলা ইবনে আসক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি আছহাবে ছুফফা উনাদের অন্যতম ব্যক্তি ছিলাম। আমার সাথী উনারা আমাকে বললেন, আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গিয়ে আমাদের ক্ষুধার কথা জানান। আমি গিয়ে একথা উনাকে বললাম। তিনি শুনে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনার নিকট খাবার কিছু আছে কি? তিনি বললেন, কয়েকটি রুটি আছে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তা নিয়ে আসুন। তা আনা হলে একটি খাঞ্চায় রেখে বাকি অংশ পড়ুন...
ঠিক অনুরূপ বলা হয়েছে আরেকটা হাদীছ শরীফে। এখানে ‘মুসলিম’ শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে।
হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ بِالْمَعْرُوفِ
يُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَتْبَعُ جَنَازَتَهُ إِذَا مَاتَ وَيُحِبُّ لَهُ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
হযরত ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এক মুসলমানের প্রতি বাকি অংশ পড়ুন...
১. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম বংশধারা, ইমামত ও বিলায়াত মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
২. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম মাজার শরীফ উনার গম্বুজ মুবারক-এর নিচে যারা যে দোয়াই করবেন তার সকল দোয়াই নির্ঘাত কবুল হবে। সুবহানাল্লাহ!
৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দলীল অনুযায়ী হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্বপ্ন মুবারকও যেখানে পবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত সেখানে উনাদের জাগ্রত অবস্থার বিষয়গুলো কি পবিত্র ওহী মুবারক উনার বাইরে ছিলো? কখনই নয়। যদি তাই হয় তাহলে পবিত্র ওহী মুবারক উনার ফায়সালাকৃত বিষয়ের জন্য উনাদেরকে দোষারোপ করা কি করে শুদ্ধ হতে পারে?
কাজেই, উনাদের সাথে যদি ভুল বা গুনাহর বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয় তাহলে একইসাথে এটাও সম্পৃক্ত হয়ে যায় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনিই পবিত্র ওহী মুবারক নাযিলে ভুল করেছেন এবং তিনিই উনাদেরকে গুনাহ ক বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার এক মুরীদকে নছীহত করে চিঠি লিখলেন। সেই চিঠি মুবারকে অনেক নছীহত মুবারক করে শেষে লিখেছেন, জেনে রাখো, যতক্ষণ পর্যন্ত দশটি বস্তু নিজের প্রতি ফরয করে না নিবে ততক্ষণ পর্যন্ত কারো পরহেজগারী পূর্ণতা লাভ করবে না।
(১) গীবত হতে স্বীয় জিহ্বাকে রক্ষা করা।
(২) অন্যের প্রতি অন্যায় অসৎ ধারণা করা হতে বিরত থাকা।
(৩) কারো প্রতি তিরস্কার না করা।
(৪) হারাম বস্তু হতে চোখকে হিফাযত করা।
(৫) সত্য কথা বলা।
(৬) নিজের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহসমূহের পরিচয় লাভ করা। যাতে আত্মগরিমা না আসতে পারে।
(৭) বাকি অংশ পড়ুন...












