পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَالَتْ حَضْرَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِينَ الثَّالِثَةُ الصِّدِيْقَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ: كُنْتُ أَدْخُلُ بَيْتِي الَّذِي فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنِّي وَاضِعٌ ثَوْبِي وَأَقُولُ: إِنَّمَا هُوَ زَوْجِي وَأَبِي، فَلَمَّا دُفِنَ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَعَهُمْ فَوَاللَّهِ مَا دَخَلْتُ إِلاَّ وَأَنَا مَشْدُودَةٌ عَلَيَّ ثِيَابِي حَيَاءً مِّنْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার হুজরা শরীফে প্রবেশ করতে পর্দার প্রস্তুতি নিতাম না, যেহেতু সেখানে শুধু নূরে মুজাসস বাকি অংশ পড়ুন...
যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
اَلسَّعْىُ مِنَّا وَالْاِتْمَامُ مِنَ اللهِ
“চেষ্টা বান্দা করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি পুরা করে দিবেন। ” সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদাররা! ধৈর্যধারণ করো, ধৈর্যশীল হয়ে যাও, নেক কাজে লেগে থাক, মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। অবশ্যই তোমরা কামিয়াবী হাছিল করবে। ”
اِصْبِرُوا وَصَا বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র তাওয়াল্লুদ শরীফ উনার ব্যাখ্যামূলক বাংলা অনুবাদ:
“মশহূর তথা অধিক প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে, যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম খিদমত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থানকাল মুবারক ছয় মাস পূর্ণ হলো, তখন উনার সম্মানিত আব্বাজান হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মদীনা মুনাওওয়ারা শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। যখন তিনি নাজ্জারিয়া গোত্রের বনী আদী বংশে উনার মামাগণ উনাদের বা বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ.
আমার পরে মহিলা ফিতনা (পরীক্ষা) পুরুষদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
মূলত, বেপর্দার কারণেই মহিলারা আজ মান, সম্মান, ইজ্জত হারাচ্ছে ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে নিত্য-নতুন ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা। নাউযুবিল্লাহ!
বাকি অংশ পড়ুন...
এটা হচ্ছে সেই আয়াত শরীফ যেটা আগেই বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ
“তোমরা যদি পরহেয্গারী ইখতিয়ার করে থাকো। ”
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ
“এমনকি কথা বলার সময় নরম সূরে বলো না। ”
فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ
যাদের অন্তরে রোগ রয়েছে, গালিজ রয়েছে তাদের অন্তরে ওয়াস্ওয়াসার সৃষ্টি হবে এবং পবিত্রতা নষ্ট হবে, আমল নষ্ট হবে, আখলাক নষ্ট হবে, ফিৎনার সৃষ্টি হবে; এবং ফিৎনার কারণ হবে।
কাজেই অন্তরের পবিত্রতার জন্য হুবহু যা আদেশ এবং নির্দেশ রয়েছে পর্দা সম্পর্কে সেটা পালন বাকি অংশ পড়ুন...
৪. পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহগ্রন্থ থেকে দলীল:
হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وفي الحديث دليل على جواز تقبيل الأرجل
অর্থ: আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ক্বদমবুছী জায়িয হওয়ার দলীল রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (লুম‘আত ৮/৫১, আওনুল মা’বূদ ১৪/১৩৬)
হাশিয়ায়ে সিন্দীর ২য় খ-ের ৩৯৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-
جَوَازُ تَقْبِيلِ الرِّجْلَيْنِ
অর্থ: দুই পা বুছা দেয়া তথা ক্বদমবুছী করা জায়িয। ’
৫. ফিক্বাহের কিতাব থেকে দলীল:
আল্লামা ইমাম বদরুদ্দীন আইনী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- বাকি অংশ পড়ুন...
সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি আয়াত শরীফগুলো আদেশ এবং নির্দেশ হিসেবে নাযিল করেছেন; এবং এখানেও সেই একই কথা বলেছেন-
ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
এটা হচ্ছে তোমাদের এবং ঐ সমস্ত মহিলা যাদের সাথে তোমাদের জরুরতে লেনদেন করতে হবে তাদের অন্তরের পবিত্রতার কারণ। এর খিলাফ যদি করা হয় তাহলে অন্তরের মধ্যে গালিজ প্রবেশ করে যেতে পারে। যা পূর্বে বলা হয়েছে।
কাজেই পর্দা রক্ষা করা মেয়েদের জন্য যেমন ফরয করা হয়েছে ঠিক পুরুষদের জন্যও ফরয। পুরুষদের জন্য পর্দা ফরয। কারণ তার দায়িত্ব হচ্ছে, তার অধীনস্থ মহিলাদের পর্দা করানো। আরেকটা দায়িত্ব হচ্ছে, স বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلٰى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থ: তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম অমান্য করবে (তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়)। যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবে নিক্ষিপ্ত হবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...












