যখন সে ব্যক্তি বারবার বলতে লাগলেন ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি তো আমার মা’র সঙ্গে একই ঘরে থাকি, আমি তো উনার খাদিম, উনাকে দেখাশুনা করে থাকি ইত্যাদি ইত্যাদি; এরপরও কি অনুমতি নিব?
তখন আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন-
أَتُحِبُّ أَنْ تَرَاهَا عُرْيَانَةً ؟
আপনি কি পছন্দ করেন আপনার মাকে বস্ত্রহীন অবস্থায় দেখবেন?’
قَالَ: لاَ،
সে ব্যক্তি বললেন যে, ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘আমি তো সেটা পছন্দ করি না। ’
قَالَ: فَاسْتَأْذِ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, ‘খিলাফতের সময় সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সিরিয়ায় যে অভিযান প্রেরণ করেন তাতে হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত শুরাহবীল ইবনে হাসানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আমীর নিযুক্ত করেন। মুজাহিদ বাহিনীকে রওয়ানা করার পূর্বে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি যে নছীহত মুবারক করেন তা বিশ্বের সমর ইতিহাসে একেবারেই বিরল।
তিনি সেই অবিস্মরণীয় নছীহত মুবারক-এ বলেন, “হে মুসলিম মুজাহিদ বাহিনী! আমি আপনাদেরকে ন বাকি অংশ পড়ুন...
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হযরত নূরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কাল-বিলম্ব না করে কয়েকজন লোকসহ কাঙ্খিত লোকদ্বয়কে দাওয়াতের অনুরোধের জন্য নিজেই তাদের বাসস্থানে উপস্থিত হলেন। তারপর তিনি নম্র কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কে এবং কোথা থেকে এসেছো? তোমরা দাওয়াতে শরীক হলে না কেন?’ তারা নিজেদেরকে গোপন করে বললো, ‘আমরা মুসাফির, দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে আছি। আমরা কারো দাওয়াত গ্রহণ করি না। মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি নির্ভরশীল। আমরা সবসময় ইবাদত, রিয়াজত-মাশাক্কাত ও পরকালের চিন্তা-ফিকিরে ব্যস্ত আছি। পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত আর নফল নামায আদ বাকি অংশ পড়ুন...
আবূ জাহিলের পরিণতি:
আবূ জাহল (ابو جهل) এটি তার উপাধি। মূল নাম আমর ইবনে হিশাম। জাহেলি যুগে কাফেররা তাকে উপাধি দিয়েছিলো আবুল হাকাম الحكم) (ابو অর্থাৎ জ্ঞানের পিতা। সে ছিলো গভীর জ্ঞানের অধিকারী কিন্তু ঈমান থেকে বিমুখতা, হক্ব বা সত্য গ্রহণে অস্বীকার করার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তার উপাধি দেন আবূ জাহল অর্থাৎ মূর্খের পিতা হিসেবে। ইতিহাসে সে এই উপাধিতেই পরিচিত।
পবিত্র মক্কা শরীফের কাফিরদের মধ্যে এই লোকটাই ছিলো সম্মানিত ইসলাম ও মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুশমন। সকলের দুশমনি এক পাল্লায় বাকি অংশ পড়ুন...
সেটাই হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বলা হলো। উনি দলীল তলব করলেন। এর অর্থ এটা নয় যে, হযরত আবু মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সঠিক হাদীছ শরীফ বলেননি বরং উনি সঠিক হাদীছ শরীফ-ই বলেছেন তবে হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি আর একজন সাক্ষী তলব করলেন, এই হেতু মুহাদ্দিছীন-ই-কিরামগণ বলেন, যাতে পরবর্তীতে কোন লোক আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে কোন ঝুটা-মিথ্যা কথা না বলতে পারে, সেজন্য তিনি দলীল তলব করলেন।
কাজেই অনুমতি নিয়েই প্রবেশ করতে হবে। বিনা অনুমতিতে প্ বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَلَا تُقَاتِلُونَ قَوْمًا نَكَثُوا أَيْمَانَهُمْ وَهَمُّوا بِإِخْرَاجِ الرَّسُولِ وَهُمْ بَدَءُوكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ أَتَخْشَوْنَهُمْ فَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَوْهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
অর্থ: আপনারা কি সেই জাতির বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন না, যারা তাদের শপথ ভঙ্গ করেছে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থান মুবারক করার বিষয়ে বিরোধিতা করেছে এবং তিনি যেন সেখান থেকে পবিত্র মদীনা শরীফে সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন এ বিষয়ে তারা ষড়যন্ত্র করেছে? আর এরাই প্রথম বাকি অংশ পড়ুন...
আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে জেরুজালেম তথা বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ ইহুদিদের হাত থেকে মুক্ত করেন মুসলিম সেনাপতি বিশিষ্ট ছাহাবী, হযরত আবূ উবায়দাহ ইবনুল জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। সেখানকার ইহুদি সম্প্রদায়ের জানা ছিলো যে, আসমানী কিতাবে বর্ণিত ছিল আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতগণ বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ জয় করবেন। এমনকি সেই সময় যিনি সম্মানিত খলীফ থাকবেন, তিনি কি অবস্থায় আগমন করবেন সেটাও সেখানে বর্ণনা করা ছিল বাকি অংশ পড়ুন...
শায়েখ আল্লামা হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে শিহাব ইবনে ইঊসুফ আল বাযযাযী আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ: ৮২৭ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল ফাতাওয়াউল বাযযাযিয়্যাহ আউইল জামিউল ওয়াজীয’ উনার মধ্যে বলেন-
اِذَا سَبَّ الرَّسُوْلَ عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ اَوْ وَاحِدًا مِّنَ الْاَنْۢبِيَاءِ عَلَيْهِمُ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ فَاِنَّهٗ يُـقْتَلُ حَدًّا وَّلَا تَوْبَةًلَهٗ اَصْلًا سَوَاءٌ بَـعْدَ الْقُدْرَةِ عَلَيْهِ وَالشَّهَادَةِ اَوْ جَاءَ تَائِـبًا مِّنْ قِـبَلِ نَـفْسِهٖ كَالزِّنْدِيْقِ لِاَنَّهٗ حَدٌّ وَّجَبَ فَلَا يَسْقُطُ بِالتَّـوْبَةِ كَسَائِرِ حُقُوْقِ الْاٰدَمِيِّـيْـنَ وَكَحَدِّ الْقَذْفِ لَا يَسْق বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আবুল বাশার আলাইহিস সালাম তিনি গেলেন অতঃপর সালাম দিলেন।
উনারা জাওয়াবে বললেন-
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ
একটা শব্দ বাড়িয়ে উনারা বললেন। সেজন্য আদম সন্তানের জন্য এই নিয়ম মহান আল্লাহ পাক তিনি করে দিলেন।
আর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও করে দিলেন, সালাম দিবে-
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
ইচ্ছা করলে আরো বাড়িয়ে বলতে পারে-
وَبَرَكَاتُهٗ وَمَغْفِرَتُهٗ
আরো অনেক বাড়িয়ে বলতে পারে। সালাম দিবে এবং তার জাওয়াবও দিবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটাই ফায়সালা করে দিলেন যে, গৃহবাসীর কাছে গিয়ে সালাম দিবে, সে তার জাওয়া বাকি অংশ পড়ুন...












