মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা কাহাফ’ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تُطِعْ مَنْ اَغْفَلْنَا قَلْبَهٗ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ اَمْرُهٗ فُرُطًا
অর্থ: তোমরা ঐ ব্যক্তিকে অনুসরণ করো না যার ক্বল্ব্ আমার যিকির থেকে গাফিল। সে নফসের পায়রবী করে আর তার কাজগুলো সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ।
অর্থাৎ যারা শরীয়তের খিলাফ কাজ করে তথা টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, হারাম কাজ করে তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন।
বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়ারমুক জিহাদের প্রান্তর। বিজয়ীর বেশে মুসলমানগণ। কাফেরদের কচুকাটা করে বিজয়ের উচ্ছ্বাস মুসলমানদের মাঝে। কিন্তু এরই মাঝে জিহাদের প্রান্তরে মারাত্মকভাবে আহত মুসলমানগণ পানির জন্য পিপাসার্ত। মুজাহিদগণ আহত মুসলিমদের মাঝে পানি বিতরণ করছেন। আহতদের অনেকেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি পানি নিয়ে এগুচ্ছিলেন আহতদের উদ্দেশ্যে। কিছুদূর এগিয়ে দেখতে পেলেন আহত হযরত হারিছ ইবনে হিশাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে। যখন উনাকে পানি দেওয়া হলো, হযরত ইকরামা রদ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের
আলোকে দুয়া বা মুনাজাত শরীফ উনার গুরুত্ব
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
যেমন এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي اَسْتَجِبْ لَكُمْ اِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ.
অর্থ : “তোমাদের মহান রব তায়ালা তিনি বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে (দুয়ায়) সাড়া দিব। নিশ্চয়ই যারা আমার ইবাদতে অহঙ্কার করে, তারা অতি সত্ত্বর লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে দাখিল (প্রবেশ) হবে। ” (পবিত্র সূরা মু’মিন শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ : ৬০)
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَاد বাকি অংশ পড়ুন...
অনেক লোক বলে থাকে বা অনেকে চিন্তা-ফিকিরও করে থাকে, ঘর-বাড়িতে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হোক। এমন কোন লোক নেই মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনে, যে চায় না তার বাড়িতে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হোক। যদি কেউ চায় তার বাড়িতে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হোক সবসময়, সেটাই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলে দিয়েছেন, সে যেন প্রবেশ করতে এবং বের হতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হয়। তাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করবেন।
আর একটা হাদীছ শরীফে হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র শান মুবারকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের শব্দ চয়ন ছিলো আশ্চর্যজনক। উনারা যে সর্বদিক থেকেই সবচেয়ে বেশি মহাব্বত মুবারক করতেন এবং সর্বোচ্চ আদব রক্ষা করতেন তার বাস্তব নমুনা ফুটে উঠেছে নিম্নোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ উনার মাঝে।
عَنْ حَضْرَتْ قَـيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ قَالَ وُلِدْتُ اَنَا وَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفِيْلِ وَسَاَلَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَيْهِ السَ বাকি অংশ পড়ুন...
اِذَا سَبَّ الرَّسُوْلَ عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ اَوْ وَاحِدًا مِّنَ الْاَنْۢبِيَاءِ عَلَيْهِمُ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ فَاِنَّهٗ يُـقْتَلُ حَدًّا وَّلَا تَـوْبَةَ لَهٗ اَصْلًا سَوَاءٌ بَـعْدَ الْقُدْرَةِ عَلَيْهِ وَالشَّهَادَةِ اَوْ جَاءَ تَائِـبًا مِّنْ قِـبَلِ نَـفْسِهٖ كَالزِّنْدِيْقِ لِاَنَّهٗ حَدٌّ وَّجَبَ فَلَا يَسْقُطُ بِالتَّـوْبَةِ كَسَائِرِ حُقُوْقِ الْاٰدَمِيِّـيْـنَ وَكَحَدِّ الْقَذْفِ لَا يَسْقُطُ بِالتَّـوْبَةِ
অর্থ: যখন কোনো ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অথবা অন্য সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে যে কোনো একজন নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে গাল-মন্দ করবে বাকি অংশ পড়ুন...
৫. ফিক্বাহের কিতাব থেকে দলীল:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
হযরত শায়েখ আবিদ সিন্দী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
تمام روايات سے ثابت هوا كه علماء ومشاءخ اور ديني شرف ركهنے والے حضرات كي دست بوسي بلكه قدم بوسي نيز پيشاني وغيره پر بوسه دينا سنت اور تعامل صحابه وتابعين سے بلا كسي نكير كے ثابت هے
অর্থ : পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সকল বর্ণনা মুবারক দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, আলিম-উলামা, পীর-মাশায়িখ এবং দ্বীনদার ব্যক্তি উনাদের সম্মানিত দস্তবুছী এবং সম্মানিত ক্বদমবুছী মুবারক (পা চুম্বন), এমনকি কপালে অন্যান্য জায়গায় দেয়াও সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্ব বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, অনুমতি নিবে সালাম দিয়ে। প্রথমে সালাম দিবে এরপর অনুমতি নিবে। এর মধ্যে যেন ত্রুটি না হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
فَإِذَا دَخَلْتُمْ بُيُوتًا
“যখন তোমরা কোন ঘরে প্রবেশ করবে,
فَسَلِّمُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ
“এমনকি যখন নিজের ঘরে প্রবেশ করবে তখনও নিজ গৃহবাসীদেরকে সালাম দিয়ে প্রবেশ করো। ”
তাহলে কি হবে? একে তো সালাম দেয়া হলো, দ্বিতীয়তঃ অনুমতি নেয়া হলো, আর মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক পালন করা হলো, সুন্নত মুবারক পালন করা হলো, পর্দার সহায়ক হলো, গুণাহ্ বাকি অংশ পড়ুন...
(১) যারা বিশুদ্ধ ঈমান আনবে।
(২) যারা হাক্বীক্বী তাক্বওয়া হাছিল করবে।
(৩) যারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শনসমূহকে সত্যারোপ করে।
বাকি অংশ পড়ুন...
আজ থেকে ১০০ বছর আগেও পবিত্র মক্কা শরীফ-মদীনা শরীফের ইমাম-খতীবগণ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত জওক শওকের সাথে পালন করতেন এবং কেউ তার বিরুদ্ধে বললে তাকে মুনাফিক, কাফির বলে ফতওয়া দিতেন।
শুধু তাই নয়, আজ থেকে ১০০ বছর আগে দেওবন্দীদের কেন্দ্রীয় আলিমগণও পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন এবং এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাওয়ার কারণ বলে ফতওয়া দিয়েছেন। এসব দুর্লভ দলিলসমূহ একত্রে একটি বইতে পাওয়া যায়। বইটির না বাকি অংশ পড়ুন...












