* পবিত্র তারাবীহ নামায দশ সালামে বিশ রাকায়াত পড়া সুন্নত। পুরুষ-মহিলা প্রত্যেকের জন্যেই এ পবিত্র নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
* বিশ রাকায়াত হতে এক রাকায়াতও যদি কম পড়ে, তাহলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা তরক করার কারণে ওয়াজিব তরকের গুনাহে গুনাহগার হবে।
* পবিত্র তারাবীহ নামায জামায়াতে পড়া- তা খতম তারাবীহ হোক বা সূরা তারাবীহ হোক, উভয়টিই আলাদাভাবে সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া।
* খতম তারাবীহ পড়িয়ে বা পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে এবং অন্যান্য পবিত্র দ্বীনি কাজের বিনিময়ে উজরত (পারিশ্রমিক) গ্রহণ করা জায়িয।
* পবিত্র সাহরী ও পবিত্র ইফতার: পবিত্র সাহরীত বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র রোযা ফরয হওয়ার শর্তাবলী
পবিত্র রোযা ফরয হওয়ার জন্য নি¤œবর্ণিত শর্তগুলো থাকা আবশ্যক-
১. মুসলমান হওয়া।
২. বালিগ হওয়া।
৩. জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া।
৪. সুস্থ হওয়া।
৫. মুক্বীম হওয়া। অর্থাৎ মুসাফির না হওয়া। কেননা মুসাফিরের জন্য পবিত্র রোযা রাখার বাধ্যবাধকতা থাকেনা। তবে মুক্বীম হওয়ার পর অবশ্যই তা ক্বাযা আদায় করতে হবে।
যাদের উপর রোযা ফরয নয়
১. মুসাফিরের জন্য পবিত্র রোযা আদায় করা ফরয নয়। তবে আদায় করাই উত্তম। যদি মুসাফির অবস্থায় আদায় না করে তবে মুক্বীম হওয়ার পর অবশ্যই ক্বাযা আদায় করতে হবে।
২. অসুস্থ ব্যক্তির উপর প বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত যাকাত শব্দের অর্থ
সম্মানিত যাকাত শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ : زَكٰوةٌ ‘যাকাত’ শব্দের একটি আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বরকত বা বৃদ্ধি। যেহেতু সম্মানিত যাকাত আদায়ের ফলে যাকাতদাতার মাল বাস্তবে কমে না; বরং বৃদ্ধি পায়, বরকত হয়। আর ‘যাকাত’ শব্দের অন্য আরেকটি আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধি। যেহেতু সম্মানিত যাকাত আদায়ের ফলে সম্পদ হারাম হওয়া থেকে পবিত্র হয় এবং জিসমানী ও রূহানী মুহলিকাত বা কলুষতা হতে পবিত্রতা লাভ হয়।
সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الْاَصْلِيَةُ اَلْـحَوَائِجُ) বা মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর অতির বাকি অংশ পড়ুন...
২৩১
নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ
উনারা হচ্ছেন আমার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম।
طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে পবিত্র করেছেন নবুওওয়াতের বৃক্ষ,
وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ
রিসালতের মূল। মানুষতো এগুলির অর্থ বুঝে না।
وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ
সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের খিদমত, গোলামী।
وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ
রহমতের ঘর।
وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ
ইলমের খনি। সব কিছু থেকে উনারা পবিত্র। সুবহানাল বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি সুন্নত মুবারক হলো খাবারের সময় দস্তরখানা ব্যবহার করা। দস্তরখানা চামড়ার এবং হালকা খয়েরী রংয়ের হওয়া সুন্নত।
যে ব্যক্তি খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানায় এক লোকমা খাবার খাবে, তার প্রতিটি লোকমার প্রতিদানে তাকে ১০০টি করে ছওয়াব দেয়া হবে। (হাদীছ শরীফ)
তাই খাবারের সময় সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করে রহমত বরকত হাছিল করতে সুন্নতী দস্তরখানা ব্যবহার করুন। সুন্নতী দস্তরখানা সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্ বাকি অংশ পড়ুন...
বিবাহের দ্বারা রিযিক বৃদ্ধি পায়
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি রিযামন্দী হাছিল তথা স্বীয় চরিত্রকে পুত-পবিত্র রাখার নিমিত্তে যারা বিবাহ করেন, সেই বিবাহের দ্বারা তাদের রিযিক বৃদ্ধি পায়। সুবহানাল্লাহ!
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা তিনি বর্ণনা করেন-
جَاءَ رَجُلٌ اِلَـى النَّبِـيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْكُوْ اِلَيْهِ الْفَاقَةَ، فَأَمَرَهٗ اَنْ يَّتَزَوَّجَ
অর্থ: একদা এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র রোযা উনার প্রকারভেদ
পবিত্র রোযা মোট ছয় প্রকার। যথা- ১.ফরয, ২. ওয়াজিব, ৩. সুন্নত, ৪. মুস্তাহাব, ৫. মাকরূহ, ৬. হারাম।
ফরয রোযা :
* পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার ২৯ দিন অথবা ৩০ দিনের রোযা হচ্ছে ফরয রোযা।
ওয়াজিব রোযা :
* মানত-এর রোযা।
* নফল রোযা উনার ক্বাযা, যা শুরু করার পর ফাসিদ (ভঙ্গ) হয়ে গিয়েছিলো।
* বিভিন্ন কাফফারার রোযা।
সুন্নত রোযা :
* পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম (১০ই মুহররমুল হারাম শরীফ) উপলক্ষে দুটি রোযা রাখা। অর্থাৎ ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখে রোযা রাখা।
* প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখা।
* পহেলা রজব উনার দিনে রোযা রাখা।
* পব বাকি অংশ পড়ুন...
২৩০ পর্ব:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়ে গেছে, মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে কেউ যদি হাজরে আসওয়াদ আর রুকনে ইয়ামানির মধ্যে সারা বছর পরে থাকে সিজদা দিয়ে, সে জাহান্নামী। নাউযুবিল্লাহ! ফায়সালাটা কি হলো?
تَائِبَاتٍ
তওবাকারী। তওবার চুড়ান্ত মাক্বামের মালিক উনারা। উনাদের নিছবত মুবারক হাছিল করতে পারলে আস্তে আস্তে সে তওবাকারী হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের মুহব্বত, নিছবত, কুরবত মুবারক না হাছিল করা পর্যন্ত কোন দিন সে তওবাকারী হতে পারবে না। তার তওব বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বদীম। তিনি নতুন কোন কিছু শুরু করেন না। তবে কখনো কখনো উনার কোন কোন বিশেষ শান মুবারক প্রকাশ পায়। অনুরূপভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও কোন কোন বিশেষ শান মুবারক কখনো কখনো প্রকাশ পায়। আর এই বিশেষ শান মুবারক প্রকাশের আখাছছুল খাছ পাত্র মুবারক হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
মহাপবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
সম্মানিত যাকাত যাদেরকে দেয়া যাবে না
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, বিরাট পর্বতমালা যার অস্তিত্ব শত শত মাইল দূর হতে দেখা যায়। কিন্তু ঈমান অত্যন্ত সূক্ষ্ম, যার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। কিভাবে যে একজন ঈমানদার ব্যক্তি বেঈমান হয়ে যায় তা বোঝা কঠিন। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে কাদিয়ানীরা। তারা সব মানে কিন্তু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘খ¦তামুন নাবিয়্যীন’ অর্থাৎ শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করে না। নাঊযুবিল্লাহ! ১ টি শব্দ ‘খ¦তাম’ যার অর্থ ‘শেষ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যে
মু’মিন-মুসলমানের করণীয় বিষয়াবলী
মহিমান্বিত মাসসমূহের মধ্যে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ অন্যতম। এ পবিত্র মাস উনার মধ্যে ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অন্যান্য মাসের চেয়ে বহুগুণ বেশি। এ মাস উনার মধ্যে বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দেগী করে তাক্বওয়া হাছিলের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেজামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিল করাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য।
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যে ইবাদতের ফযীলত বাকি অংশ পড়ুন...
২২৯ পর্ব:
لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ
আমাদের সাথে কারো কোন তুলনা চলবে না। তাহলে এখানে তুলনা আসে কেন। কেন কাফিরেরা যা বললো সংশয়, ফিতনা করলো, কেন এ কথা আসলো এখানে। এরাতো অনেক অপবাদ দিয়ে থাকে যেমন তা’খীরের বিষয়টা। উনারা দুনিয়ার সম্পদ তলব করেছেন? নাউযুবিল্লাহ! একজন নেককার পুরুষ হোক মহিলা হোক আল্লাহ ওয়ালী হয়ে থাকলে সে কিন্তু দুনিয়া তালাশ করে না। তাহলে উনারা কি করে তালাশ করলেন। নাউযুবিল্লাহ! সাধারণ আক্বল-বুদ্ধিও থাকা উচিত ছিল মানুষের। তাহলে এই লোকগুলি কি করবে। এই যে সারাদিন এতো লাঞ্ছনা গঞ্জনা কেন? এই জন্যেতো। বেয়াদবীর জন্যে লাঞ্ছনা গঞ্জনা, বাকি অংশ পড়ুন...












