মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পরিচিতি ও মর্যাদা মুবারক
, ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত মুজাদ্দিদ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের আগমনের ধারাবাহিকতায় বর্তমান পঞ্চদশ শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ হলেন মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اللهُ اَعْلَمُ حَيْثُ يَـجْعَلُ رِسَالَتَهُ ۗ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি সমধিক জ্ঞাত তিনি উনার রিসালাত মুবারক কোথায় বা কাকে দিবেন। ” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২৪)
অর্থাৎ রিসালাত, নুবুওওয়াত ও মুজাদ্দিদিয়াত এ নিয়ামতসমূহ মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতেই ফায়সালা বা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فِيْمَا اَعْلَمُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَاِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَبْعَثُ لِـهٰذِهِ الْاُمَّةِ عَلـٰى رَأْسِ كُلّ ماِئَةِ سَنَةٍ مَنْ يـُّجَدّدُ لـَهَا دِيْنَهَا.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সর্বাধিক অবগত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক জাল্লা শানুহূ তিনি প্রতি একশ বছরের মাথায় এ উম্মতের হিদায়েতের জন্য দ্বীন ইসলাম উনার তাজদীদকারী ওলীআল্লাহ অর্থাৎ মুজাদ্দিদ প্রেরণ করেন। ”(আবূ দাঊদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
স্মরণীয় যে, যিনি যামানার মুজাদ্দিদ হন তিনি উনার যামানার কেন্দ্রীয় ও সার্বিকভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল হয়ে থাকেন। সহজ ভাষায় যামানার যিনি মুজাদ্দিদ তিনি উনার যামানার শ্রেষ্ঠতম ওলীআল্লাহ। হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম হওয়ার ধারা অব্যাহত থাকলে যামানার মুজাদ্দিদগণ উনারাই হতেন উক্ত নিয়ামত মুবারকের সমধিক হক্বদার। বিশেষ করে সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি কেবল যামানার মুজাদ্দিদই নন; বরং তিনি হচ্ছেন মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম। বিষয়টি এমন যেমন সমস্ত ফক্বীহ ও ইমাম উনাদের মধ্যে ইমামকুল শিরমণি হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অবস্থান তেমনি সমস্ত মুজাদ্দিদ উনাদের মধ্যে মুজাদ্দিদকুল শিরমণি হলেন হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অধিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, তিনি আগত-অনাগত সমস্ত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এবং সমস্ত হযরত মুজাদ্দিদীনে কিরাম উনাদের জামি’। অপরদিকে তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ও নূরানী বংশধর তথা আওলাদ আলাইহিস সালাম।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদ হওয়ার বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে খাছভাবে মনোনীত। এটা এমন এক সম্মানিত বিষয়; যাকে সম্মান করা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরয-ওয়াজিব। কেননা এ সম্মান কুল মাখলুক্বাতের নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُل لَّا اَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبٰـى ۗ
অর্থ: হে আমার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। (বস্তুতঃ উম্মতের পক্ষে প্রতিদান দেয়াও সম্ভব নয় তাই প্রতিদান চাওয়ারও প্রশ্ন উঠেনা। আর উম্মতের জন্য যেহেতু নাজাত ও কামিয়াবী লাভের বিষয় রয়েছে) কাজেই তারা যেনো আমার ঘনিষ্টজন অর্থাৎ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত ও সম্মান করে। (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
احبوا اهل بيتى لـحبى
অর্থ :“আমার মুহব্বত হাছিল করার জন্য আমার আহলু বাইত শরীফ বা আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তোমরা মুহব্বত করো। ”(তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, আমার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতীর ন্যায়। উক্ত কিশতীতে যারা আরোহন করেছিলেন শুধুমাত্র উনারাই পরিত্রাণ পেয়েছিলেন। আর যারা কিশতীতে আরোহন করেনি তারা ধবংস হয়ে গেছে। তদ্রƒপ হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে যারা মুহব্বত ও সম্মান করবে কেবল তারাই পরকালে নাজাত ও কামিয়াবী লাভ করবেন আর যারা উনাদের বিরোধিতা করবে তারা পরকালে কঠিন আযাব-গযবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
তাই বিশ্ববরেণ্য আলিম রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসিরীন, ফখরুল ফুক্বাহা, বাহরুল উলম, কুতুবুল আলম হযরত মাওলানা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী (পীর ছাহিব ক্বিবলা যাত্রাবাড়ী) রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার প্রধান খলীফা মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদে রসূল ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বলেন, যে ব্যক্তি উনার বিরোধিতা করবে, উনার সাথে বেয়াদবী করবে তার ঈমান নষ্ট হয়ে বেঈমান অবস্থায় মারা যাওয়া ছাড়া কোন পথ নেই। নাঊযুবিল্লাহ!
সাধারণভাবেই মহান আল্লাহ পাক উনার যারা সত্যিকার ওলী উনাদের যারা বিরোধিতাকারী তাদের বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি জিহাদ ঘোষণা করেন। যেমন হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
من عاد لى وليا فقد اذنته بالـحرب
অর্থ :“যে ব্যক্তি আমার কোন ওলী উনার সাথে শত্রুতা পোষণ করে তার বিরুদ্ধে আমি জিহাদ ঘোষণা করি। ”(বুখারী শরীফ)
সাধারণ ওলীআল্লাহ উনাদের সাথে শত্রুতা বা বিরোধিতা করলে যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের সাথে জিহাদ ঘোষণা করেন তাহলে সুলত্বানুল আউলিয়া, সাইয়্যিদুল আউলিয়া এবং লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ উনাদের বিরোধিতা করলে পরিণাম ফল কত কঠিন হবে তা সহজেই অনুধাবন করা যায়।
হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা, বুযুর্গী-সম্মান অপরিসীম। সাধারণ মানুষের চিন্তা ভাবনার অনেক উর্র্ধ্বে। কেননা পবিত্র হাদীছ-এ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ان اوليائى تـحت قبائى لايعرفهم غيرى الا اوليائى
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ আমার কুদরতি জুব্বা মুবারক উনার নীচে অবস্থান করেন। আমি এবং আমার ওলীগণ ব্যতিত উনাদেরকে কেউই চিনেনা। ”(রাহাতুল মুহিব্বীন)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের হাক্বীক্বী মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনিই সম্যকরূপে অবগত এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি যাদেরকে উনাদের সম্পর্কে অবহিত করান তিনি ততটুকুই জানেন। এছাড়া অন্য সকলেই উনাদের মযার্দা-মর্তবা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে বেখবর, অনবহিত থাকে।
যার কারণে সাধারণের বোধগম্যের জন্য উনাদের মর্যাদা-মর্তবা অনুযায়ী উনাদের লক্বব বা উপাধি মুবারক প্রকাশ করা হয়; তবে লক্বব মুবারকের দ্বারাই যে উনাদের চূড়ান্ত বা যথার্থ মাক্বাম বা মর্যাদা বুঝা বা অনুধাবন করা যাবে তা নয়; বরং সুন্নত মুবারক হিসেবে লক্বব মুবারক উনার ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। যার কারণে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদে রসূল ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অগণিত লক্বব মুবারকসমূহের মধ্যে সামান্য সংখ্যক লক্বব মুবারক এখানে উল্লেখ করা হলো।
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সুলত্বানুল আওলিয়া, মাখযানুল মা’রিফাহ, খযীনাতুর রহমাহ, মুঈনুল মিল্লাহ, লিসানুল উম্মাহ, তাজুল মুফাসসিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, ছাহিবুল ইলহাম, রসূলে নুমা, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ‘আরিফীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, কুতুবুল ‘আলম, আল গওছুল আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুশ শরী‘য়াহ ওয়াত তরীক্বাহ, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী ওয়াল হানাফী ওয়াল ক্বাদিরী ওয়াল চীশতী ওয়ান নকশবন্দী ওয়াল মুজাদ্দিদী ওয়াল মুহম্মদী ওয়াল উম্মিয়্যী রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা।
উল্লেখ্য, লক্বব মুবারকের ক্ষেত্রে গওছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড় পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তিনি গউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে যামান, কতুবুল আলম, সুলত্বানুল আরিফীন সম্পর্কে জনৈক প্রশ্নকারীর উত্তরে তাকে বলেছিলেন, হে ব্যক্তি! তুমি কি আমার সম্পর্কে আর কিছুই শোননি বা জাননা? তুমি যা শুনেছো বা জেনেছো তার চেয়ে বহু উর্ধ্বে আমার মাক্বাম বা মর্যাদা। সুবহানাল্লাহ!
ঠিক যামানার মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদ আ’যম, আওলাদে রসূল ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই।
তারপরও সাধারণের উপলব্ধির জন্য বলতে হয় যে, বর্তমান যামানায় আসমানের নীচে যমীনের উপরে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিলায়েতের উজ্জ্বল রশ্নি মুবারক মাশরিক থেকে মাগরিব, শিমাল থেকে জুনূব পর্যন্ত বিস্তৃত। যমীনে, মরুভূমিতে, পর্বতের গুহায়, জঙ্গলে, শহরে-বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে যত কুতুব, আবদাল, আওতাদ, নাজীব-নুজাবা, নাকীব-নুকাবা রয়েছেন সকলেই উনার উসীলায় ফয়েজপ্রাপ্ত।
তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নায়িব বা স্থলাভিষিক্ত হিসেবে যমীনে দ্বীনি খিদমতের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে উনার দামান মুবারক স্পর্শ করা এবং উনার তরীক্বায় দাখিল হওয়া সৌভাগ্যের কারণ। কেননা তিনি হচ্ছেন বর্তমান শতাব্দীর লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল এবং মুজাদ্দিদ আ’যম আলাইহিস সালাম। শত্রু-মিত্র নির্বিশেষ সকলেই উনার বিলায়েতের ছত্রছায়ায় বসবাস করছে। এমনকি তাদের খাদ্য পানিয় উনারই উছীলাতেই মিলছে। এটা কেউ বিশ্বাস করুক অথবা নাই করুক তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে খোশখবরী প্রাপ্ত। শুধু তাই নয়, উনার বিলায়েত মুবারক এবং উনার খিলাফত মুবারকও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই হাল যামানায় উনার থেকে বিমুখ হওয়া এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করার অর্থই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার গযবে ও লা’নতে পতিত হওয়ার কারণ এবং ঈমান বরবাদী হওয়ার লক্ষণ।
কারো যদি অন্তর চক্ষু খোলা থাকে তবে সে যেনো দেখে নেয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দরবারে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদে রসূল ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কত মর্যাদা-মর্তবা রয়েছে।
উনার সম্পর্কে এই অধমের কিঞ্চিত জানার সুযোগ হয়েছে তাই উনার সম্পর্কে আমি সঠিক আক্বীদা পোষণ করি এবং উনার প্রতি বিশুদ্ধ ও খালিছ মুহব্বত রাখি, উনার বহু ওয়াজ মাহফিলে আমি অংশগ্রহণ করেছি। নিকটে ও দূরে থেকে উনাকে দেখেছি এমনকি উনার সুন্নতি মসজিদে এবং খানকা শরীফে উনার মুরিদানদের মজলিসেও অংশগ্রহণ করেছি। উনার প্রতিটি মজলিস আমার কাছে মনে হয়েছে রহমতে খাছ ও রূহানী ফায়েজে ভরপুর। উনার ইলমি বয়ান ও হাক্বীক্বতের বর্ণনা মুবারক শ্রবণ করে কখনো কখনো আমার অন্তরে উদয় হয়েছে, সম্ভবত আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা বুঝি এভাবেই বয়ান মুবারক করতেন। উনার বেমেছাল বুযুর্গী ও সুন্নত মুবারক উনার দৃঢ় পাবন্দী প্রমাণ করে যে, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এ যামানার উম্মতের প্রতি রহমত স্বরূপ। উনার পবিত্র দর্শন মুবারক ও ছোহবত মুবারক মানুষের জন্য কিমিয়া সদৃশ। কাজেই হাল যামানার সকলের জন্য দ্বিধা-দ্বন্ধ ভুলে গিয়ে স্বীয় অস্তিত্ব বিলীন করে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদে রসূল ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তরীক্বায় দাখিল হয়ে স্বীয় পরকাল ও আখিরাতের পাথেয় সংগ্রহ করা উচিত।
-আল্লামা মুফতী আহমদ আবূ খুবাইব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)