(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার উপরোক্ত তিনখানা পবিত্র আয়াত শরীফ ও উনাদের ব্যাখ্যামূলক আলোচনা দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, সঙ্গীত বা গান-বাজনা, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি করা ও শোনা সম্পূর্ণ হারাম ও কবীরা গুনাহ। গান-বাজনা ও বাদ্য-যন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফও বর্ণিত রয়েছে, যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عمر رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلّ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حضرت أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ تعالى عَنْهُ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَحَقُّ بِحُسْنِ صَحَابَتِي قَالَ رَسُول اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمُّكَ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ أُمُّكَ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ أُمُّكَ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ثُمَّ أَبُوكَ. وَفِى رِوَايَةِ اخرى أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أَبَاكَ ثُمَّ أَدْنَاكَ أَدْنَاكَ.
হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন ছাহাবী আসলেন। এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
ক্বাযায়ে উমরী
যে ক্বাযা নামায উনার কথা নিশ্চিত জানা নেই অর্থাৎ বালেগ অবস্থায় নামায ক্বাযা ও নষ্ট হয়েছে কি না এ সন্দেহ দূর করার জন্য যে নামায আদায় করা হয় তাকে উমরী ক্বাযা বলে। যা যথাশীঘ্র আদায় করা অপরিহার্য। নফল নামায আদায় করার চেয়ে উমরী ক্বাযা আদায় করা শ্রেয় যদিও তা নফলের পর্যায়ভুক্ত হয়ে যায়, ফরয ও ওয়াজিব থাকেনা। ক্বাযা নামায ঘরে আদায় করা উত্তম।
উল্লেখ্য যে, উমরী ক্বাযা নফলের নিয়তে পড়া হয়না বরং তা ফরয বা ওয়াজিব আদায়ের নিয়তেই পড়তে হয়।
উমরী ক্বাযার ক্ষেত্রে মাগরিব ও বিতির নামায তিন রাকা‘আতের স্থলে চার রাক‘আত পড়তে হয়। কারণ উমরী ক বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইবনে জারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আবুছ ছহাবাইল বিকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে و من الناس من يشترى لـهو الـحديث ليضل عن سبيل الله এ পবিত্র আয়াত শরীফ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত অন্য মা’বুদ বা উপাস্য নেই। উনার শপথ করে বলছি, (لـهو الـحديث) ‘লাহওয়াল হাদীছ’ শব্দ মুবারক উনার অর্থ হচ্ছে সঙ্গীত বা গান-বাজনা। তিনি তিনবার এরূপ বলেছেন।
অনুরূপ হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়া বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর উনার আমলসমূহ
পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর-এ সুন্নত-নফল অনেক আমলই করা যায়। তবে বিশেষভাবে কয়েকটি আমল করা উচিত। তা হলো:
১. পবিত্র শবে ক্বদর বা লাইলাতুল ক্বদর উনার নিয়তে ৪/৬/৮/১২ রাকাআত নামায পড়া।
২. পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করা।
৩. পবিত্র ছলাতুত তাসবীহ উনার নামায আদায় করা।
৪. যিকির-আযকার করা।
৫. পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা
৬. পবিত্র তাহাজ্জুদ উনার নামায পড়া।
৭. বেশি বেশি তওবা ইস্তিগফার এবং মুনাজাত করা, মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে রোনাজারি-কান্নাকাটি করা।
৮. পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করত দুআ-মুনাজাত করা। বাকি অংশ পড়ুন...
وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ
এবং তোমার হাতগুলি বিছিয়ে দাও। দায়ার হাত বিছায় কি করে। অর্থাৎ তুমি অত্যন্ত আদবের সাথে, শরাফতের সাথে, মুহব্বতের সাথে, দয়ার সাথে, ইহসানের সাথে তোমার যত সাধ্য সামর্থ আছে পুরাটা দিয়ে তুমি খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দাও। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এবং তোমার জন্য ফরযে আইন হচ্ছে,
وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرً.
তুমি দোয়া কর প্রতি ওয়াক্তে ওয়াক্তে, প্রতি সময় দোয়া করবে। কি দোয়া করবে? যে হে বারী ইলাহী! দয়া করুন আমার পিতা-মাতাকে যেমন উনারা আমার প্রতি ছোটবেলায় দয়া করেছেন, বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান মাসসহ যে কোন সময়ই পবিত্র তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে আদায় করা বিদয়াত
পবিত্র তারাবীহ্, ছলাতুল ইস্তিস্কা ও ছলাতুল কুসূফ, এই তিন প্রকার নামায ব্যতীত কোন সুন্নত বা নফল নামাযই জামায়াতে আদায় করা জায়িয নেই। বরং ফক্বীহ্গণের মতে তা মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়িয়াহ্। তাই তাহাজ্জুদ নামায পবিত্র রমাদ্বান মাস উনার মধ্যে হোক অথবা অন্য যে কোন মাসেই হোক না কেন জামায়াতে আদায় করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়িয়াহ্।
ই’তিকাফ উনার ফযীলত
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যে ব্যক্তি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার শ বাকি অংশ পড়ুন...
ছদাক্বাতুল ফিতর শব্দের অর্থ
ছদাক্বাতুল ফিতর (صَدَقَةُ الْفِطْرِ) আরবী শব্দ। এখানে صدقة শব্দের অর্থ দান করা। আর الفطر শব্দের অর্থ ভঙ্গ করা। সুতরাং ছদাক্বাতুল ফিতরের সম্মিলিত অর্থ হল ভঙ্গ করার দান। যাকে যাকাতুল ফিতর বলেও উল্লেখ করা হয়।
পারিভাষিক অর্থে দীর্ঘ একমাস রোযার রাখার পর পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার দিন মালিকে নিছাবের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ২ জনের জন্যে এক ছা’ আটা বা তার মূল্য পরিমাণ যে সম্পদ গরীবকে প্রদান করা হয় তাকে ছদাক্বাতুল ফিতর বলে।
ছদাক্বাতুল ফিতর কে দিবেন
ছদাক্বাতুল ফিতর প্রদান করা ধনীদের জন্যে ওয়াজিব। দ্বিতীয় হিজরীর শা’বান মা বাকি অংশ পড়ুন...
এক প্রসঙ্গে আমি আলোচনা করতেছিলাম,
فَلَمَّا قَضَىٰ زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا لِكَيْ لَا يَكُونَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ حَرَجٌ
এখানে পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ মুবারক হচ্ছে সহজ সরল। হযরত যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে উনার যে নিসবতুল আযিম শরীফ সম্পন্ন হয়েছিল তিনি সেটা থেকে মুক্ত হয়ে গেলেন, জুদা হয়ে গেলেন। ফয়সালা করে নিলেন। এরপর যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন,
زَوَّجْنَاكَهَا
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক বাকি অংশ পড়ুন...
২
সম্মানিত যাকাত কখন আদায় করবেন
হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الـحوائج الاصلية) বা মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর নিছাব পরিমাণ সম্পদ যদি নিজ মালিকানায় পূর্ণ ১ বছর থাকে তাহলে যাকাত আদায় করতে হবে।
হাওল (الْـحَوْلُ) : সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় মালিকে নিছাবের হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الـحوائج الاصلية) বা মৌলিক চাহিদার অতিরিক্ত মাল-সম্পদ বা অর্থ-সম্পদ পূর্ণ ১ বছর নিজ মালিকানায় থাকাকে হাওল (الْـحَوْلُ) বলে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ اُمِّ الْمـُؤْمِنِيْنَ حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامَ قَالَتْ لَيْسَ فِى مَالٍ زَكٰوةٌ حَتّٰى يَـحُوْلَ عَلَيْهِ الْـحَوْلُ.
অর্থ : “ হযরত উ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
১২
রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনসুলিন, স্যালাইন, ইনহেলার ইত্যাদি নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হবে
কেউ কেউ রমযান মাস আসলেই পেপার-পত্রিকায় ও প্রচার মাধ্যমে প্রচার করে থাকে যে, “রোযারত অবস্থায় ইনজেকশন এমনকি স্যালাইন ইনজেকশন নিলেও রোযা ভঙ্গ হয়না।” নাঊযুবিল্লাহ!
মূলত তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণই ভুল, জিহালতপূর্ণ এবং কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কেননা, তারা তাদের উক্ত বক্তব্যের স্বপক্ষে নির্ভরযোগ্য একটি দলীলও পেশ করতে পারবেনা। পক্ষান্তরে রোযারত অবস্থায় যে কোন প্রকার ইনজেকশন নিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এ ফতওয়াটিই ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য। বাকি অংশ পড়ুন...
২৩২ পর্ব:
এ বিষয়গুলি উনাদের অনেক শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী ও সম্মান মুবারক তা মানুষ ফিকির করে না। মুখে আসলো বলে দিলো। নাউযুবিল্লাহ! যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
النَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ
নিশ্চয়ই যিনি মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনদের জান থেকে, প্রাণ থেকেও প্রিয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বাকি অংশ পড়ুন...












