নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক
, ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
وَتَـقَلُّبَكَ فِـى السّٰجِدِيْنَ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার মহাসম্মানিত স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল মহাসম্মানিত সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শু‘আরা’ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَـمْ اَزَلْ اُنْـقَلُ مِنْ اَصْلَابِ الطَّاهِرِيْنَ اِلـٰى اَرْحَامِ الطَّاهِرَاتِ
অর্থ: “আমি সবসময় পূত-পবিত্র মহাসম্মানিত পুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ উনাদের থেকে পূত-পবিত্রা মহাসম্মানিতা মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফ-এ অর্থাৎ উনাদের নিকট স্থানান্তরিত হয়েছি। ” সুবহানাল্লাহ!
মূলত, সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আদম আলাইহিস সালাম) উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল বাশার আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম) উনার অর্থাৎ উনাদের থেকে শুরু করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই হচ্ছেন সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
اَيُّهَا النَّاسُ مَنْ اَنَـا قَالُوْا اَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَنْسِبُـوْنِـىْ قَالُوْا سَيِّدُ الْـمُرْسَلِـيْـنَ اِمَامُ الْـمُرْسَلِـيْـنَ خَاتَـمُ النَّبِـيِّـيْـنَ نُوْرُ الْـمُجَسَّمِ حَبِيْبُ اللهِ سَيّـِدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بْنُ مَوْلَانَا حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ عَلَـيْهِ السَّلَامُ بْنِ حَضْرَتْ عَبْدِ الْـمُطَّلِبِ عَلَـيْهِ السَّلَامُ
অর্থ: “হে লোক সকল! আমি কে? সবাই বললেন, আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত করুন। তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা বললেন, সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম। ” সুবহানাল্লাহ! (যাখায়েরুল ‘উক্ববা, শরফুল মুস্ত¡ফা, কাশফুল আসতার ইত্যাদি)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
اَنْسِبُـوْنِـىْ
অর্থ: “আপনারা আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত করুন। ” সুবহানাল্লাহ!
তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক সম্পর্কে ইলিম অর্জন করা বা জানা সমস্ত উম্মত জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক একত্রিত হওয়ার বিষয়টি এক নজরে ছক আকারে:
১. সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
২. সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ) আলাইহিস সালাম ২. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনাহ্ আলাইহাস সালাম)
৩. সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম ৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব আলাইহিস সালাম
৪. সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম ৪. সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আবদু মানাফ আলাইহিস সালাম
৫. সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আবদু মানাফ আলাইহিস সালাম ৫. সাইয়্যিদুনা হযরত যুহ্রাহ্ আলাইহিস সালাম
৬. সাইয়্যিদুনা হযরত কুসাই আলাইহিস সালাম
৭+৬. সাইয়্যিদুনা হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)