তাক্বওয়ার মূল জিনিস হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ অনুসরণ এবং অনুকরণ। সেটাই হলো মূল তাক্বওয়া। আ’লা দরজার তাক্বওয়া। এ প্রসঙ্গে বলা হয়, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কেমন অনুসরণ করতেন। হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার জীবনের একটা ঘটনা বলা হয়। এই ওয়াকেয়া শুনলে আপনারা বুঝতে প বাকি অংশ পড়ুন...
প্রবৃত্তির অনুসরণ বা দাসত্ব হতে মুক্ত ব্যক্তি জান্নাতী আর প্রবৃত্তির লাগামহীন অনুসারী জাহান্নামী
কথিত খলীফা হারুনুর রশীদ মোটামুটি তার ইলম কালাম ছিল, কিছু আমলও তার ছিল। আর তার স্ত্রী জোবায়দা বেগম, সেও নেককার মহিলা ছিল। একদিন খলীফা হারুনুর রশীদের সাথে তার স্ত্রীর কিছু কথা কাটাকাটি হয়। স্ত্রী সবসময় চাইত খলীফা হারুনুর রশীদ যেন সৎমত সৎপথে চলে, কিন্তু হারুনুর রশীদের একজন সভাসদ ছিল। সে তাকে ওয়াসওয়াসা দিত। খলীফা হারুনুর রশীদ কোন একটা কাজের কথা বললো। বলার পরে তার স্ত্রী জোবায়দা বেগম বললো যে- আপনি যদি এই কাজ করেন, তাহলে আপনি জাহান্ন বাকি অংশ পড়ুন...
সেটা আলাদা নাযিল করলেন।
إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ
নিশ্চয়ই যারা যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়
لَعَنَهُمُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ
ইহকাল পরকালে তাদের জন্য যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে লা’নত। নাউযুবিল্লাহ!
وَأَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُّهِينًا
তাদের জন্য কঠিন লাঞ্চিত শাস্তি তৈরী করে রাখা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثَلَاثٌ كُلُّهُنَّ حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ عِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَشُهُودُ الْجَنَازَةِ وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ إِذَا حَمِدَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- তিনটি বিষয় তার প্রতিটিই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে রুজু থাকা। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا
অর্থ: আর সবার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট ক্বিবলা। যে দিকে সে মুখ করে, রুজু হয়। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১৪৮)
ঠিক একইভাবে মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে, সমস্ত কাফিরদের থেকে ফিরে থাকা, তাদের কোন প্রকার অনুসরণ না করা, তাদের দিকে বাকি অংশ পড়ুন...
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ভোলাহাট থানা নিবাসী মুহম্মদ আব্দুল খালেক সুপ্রসিদ্ধ রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা, আহলে বাইতে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কাছে মুরীদ হওয়ার পূর্বে রাজশাহী জেলাধীন বানেশ্বর দরবারের পীর হযরত মাওলানা মুহম্মদ দেওয়ান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট মুরীদ ছিলেন। উক্ত পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রদত্ত সবকের মধ্যে সওয়াব রেসানীর নিয়ম ছিল যথাক্রমে ইস্তিগফার ৭ বার, আউযুবিল্লাহ শরীফ ও বিসমিল্লাহ শরীফসহ পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ ৩ বার, বিসমিল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
মাতা অসন্তুষ্ট থাকলে এই একটা কারণে সন্তান বেঈমান হয়ে মারা যায়। তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে যারা চূ-চেরা কিল ও কাল করে, উনাদেরকে যারা কষ্ট দেয় তারা কোথায় যাবে? সেটাইতো বলা হচ্ছে,
مَنْ مَاتَ عَلَى بُغْضِ اٰلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ كَافِرًا
মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি যারা বিদ্বেষ পোষণ করে মারা যায় সে কাফির হয়ে মারা যায়। নাউযুবিল্লাহ! উনাদের প্রতি যারা বিদ্বেষ পোষণ করবে সে কাফির হয়ে মারা যাবে। নাউযুবিল্লাহ! শুধু এতটুকু না আরো কঠিন অবস্থা। সেটাই বলা হচ্ছ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা দ্বুহা শরীফ উনার ১১নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ.
অর্থ মুবারক: “আপনার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে যেই সম্মানিত নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন, সেই সম্মানিত নিয়ামত মুবারক সম্পর্কে আপনি বর্ণনা করুন।”
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَلنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالىَ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلتَّحَدَّثُ بِنْعَةِ اللهَ شُكْرٌ وَّتَرْكُهَا كُفْرٌ وَّ مَنْ لَّا يَشْكُرِ الْقَلِيْلَ لَا يَشْكُرِ الْكَثِيْرَ وَ مَنْ لَّا يَشْكُ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আলকামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারকের সময় পবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করতে পারতেছেন না। তিনি বিশিষ্ঠ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এটা কি করে সম্ভব। উনারা গেলেন সত্যিই উনাকে যতই তালক্বীন দেয়া হচ্ছে তিনি পবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করতে পারতেছেন না। এই সংবাদ জানানো হলো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। তিনি বললেন, উনার পিতা-মাতা কেউ আছে কি? উনার পিতা নেই, তবে মাতা আছেন। ঠিক আছে উনার মাতাকে ডাকো, আসতে বলো। তিনি না আসলে আমি নিজেই যাবো। উনার মাতা আসলেন তিনি ছাহাবীয়া রদ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি, রেযামন্দি, তায়াল্লুক, নিছবত হাছিলের ক্ষেত্রে রিয়াজত-মাশাক্কাতের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হচ্ছে, কোন কাজ করার নিয়ত এবং তদানুযায়ী কোশেশ (চেষ্টা) করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি সে কাজটি সুসম্পন্ন করার তৌফিক দেন, মদদ করেন। ফলে কাজটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য সহজ ও শান্তিদায়ক হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
ويهدى اليه من ينيب
অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পা বাকি অংশ পড়ুন...
وَقَدْ قَرَأْتُ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পড়তে থাকতাম। এরপর বলছেন,
تُنَادِي يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
এর অর্থ আমার মহাসম্মানিত মাতা তিনি আমাকে সম্বোধন করতেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
لَأَجَبْتُهَا لَبَّيْكِ"
অবশ্যই অবশ্যই ওই অবস্থায় থেকেও (নামায ছেড়ে দিয়ে) আমি উনাদের সম্মানিত ডাকে সাড়া দিয়ে ইরশাদ মুবারক করতাম, লাব্বাইক। হে আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম! হে আমার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম! আমি আপনাদের খিদমত মুবারকে হাযির, উপস্থিত। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
জুমু‘য়া নামায উনার বিবরণ
পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার জন্য তা জামা‘য়াতেই হোক অথবা একাকীই হোক যেমন ওয়াক্ফকৃত স্থান শর্ত নয়, তদ্রুপ জুমু‘য়া উনার জামা‘য়াত শুদ্ধ হওয়ার জন্য হানাফী মাযহাব মুতাবিক ওয়াকফকৃত স্থানের শর্তারোপ করা হয়নি।
অর্থাৎ যে কোনো স্থানে যে কোনো নামায আদায় করলেই ছহীহ হবে। কারণ জুমু‘য়া উনার নামায ফরযে আইন হওয়ার জন্য প্রধানতঃ দু’টি শর্ত পুরণ করা প্রয়োজন-
১) জুমু‘য়া ফরয হওয়ার শর্তসমূহ অর্থাৎ কাদের উপর জুমু‘য়া ফরয।
২) জুমু‘য়া ছহীহ হবার শর্তসমূহ অর্থাৎ কোন স্থানে কখন কিভাবে জুমু‘য়া ছহীহ হবে।
জুমু বাকি অংশ পড়ুন...












