(পূর্ব প্রকাশিত পর)
সারা বিশ্বে একদিনে রোযা ও ঈদ পালন করার দাবীদাররা বিভ্রান্ত :সউদী আরবের আকাশে চাঁদ না দেখে যেমনি সম্মানিত হজ্জের সময় নির্ধারণ করা জায়িয নয়, তেমনি নিজস্ব উদয়স্থলে চাঁদ না দেখে সম্মানিত রোযা, ঈদ, অন্যান্য আমল পালন করাও জায়িয নয়। পৃথিবীর দুটি স্থানের সর্বোচ্চ সময়ের পার্থক্য ১২-১৪ ঘণ্টারও বেশি। সুতরাং কখনো এক দিনে পৃথিবীর সব দেশে রোযা ও ঈদ পালন করা সম্ভব নয়।
পৃথিবীর এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সন্ধ্যা হলে অন্য স্থানে সকাল। আর আমরা জানি, সম্মানিত শরীয়ত উনার দিন শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। সুতরাং কোন স্থানের সন্ধ্যা বাকি অংশ পড়ুন...
২২৮ পর্ব:
এজন্য যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন,
يَا نِسَاء النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاء
আপনারা এমন মহাসম্মানিত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম যে, আপনারা কোন মহিলা, কোন পুরুষ, করো মতো নন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই যে পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক। এরপর বলা হয়েছে,
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
নিশ্চয়ই যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের থেকে সমস্ত অপবিত্রতা বের করে দিয়ে, আপনাদেরকে পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থ: “আপনারা স্মরণ করুন, নছীহত মুবারক করুন, আপনাদের মহাসম্মানিত হুজরা শরীফে যা তিলাওয়াত মুবারক করা হয়েছে বা নাযিল মুবারক করা হয়েছে, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন। অর্থাৎ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ আপনারা স্মরণ করুন এবং উনাদের মাধ্যমে নছীহত মুবারক করুন। নিশ্চয়ই যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্ম খবর রাখনেওয়ালা। অর্থাৎ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে
পবিত্র ছলাত বা নামায উনার ফযীলত ও গুরুত্ব
ক্বাযা নামায উনার বর্ণনা
সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী প্রত্যেক ফরয ও ওয়াজিব নামায উনার জন্য সময় নির্দিষ্ট আছে। সেই নির্দিষ্ট সময়ে নামায আদায় না করে পরে সেই নামায আদায় করাকে ক্বাযা নামায বলা হয়। বিশেষ কোন কারণ ব্যতীত ফরয বা ওয়াজিব নামায নির্দিষ্ট সময়ে আদায় না করা কবীরা গুণাহ।
অতএব, ইচ্ছাকৃত বা ভুলক্রমে বা নিদ্রা যাওয়ার কারণে যদি কোন ফরয বা ওয়াজিব নামায ছুটে যায় তবে স্মরণ হওয়া মাত্রই বা সময় পাওয়া মাত্রই তা আদায় করে নিতে হবে এবং যথাসময় আদা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
চাঁদ নিয়ে ইহুদী-মুশরিকদের গভীর চক্রান্ত
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّـمَا النَّسِىءُ زِيَادَةٌ فِي الْكُفْرِ ۖ
অর্থ: “নিশ্চয়ই সময়কে (মাসকে) আগ-পিছ করা কুফরীকে বৃদ্ধি করে দেয়।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
নাসী বলা হয় চাঁদ অনুযায়ী মাস গণনা না করে তারিখ আগ-পিছ করাকে। যা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে সুস্পষ্ট কুফরী বলা হয়েছে। শুধু কুফরীই নয়, বরং তা কুফরীর বৃদ্ধিসাধন করে। নাঊযুবিল্লাহ! কেননা, চাঁদ যে দিন দৃশ্যমান হলো সেদিন থেকে তারিখ গণনা না করে যদি তার পর থেকে বা পূর্ব থেকে গ বাকি অংশ পড়ুন...
২২৭ পর্ব:
তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে যারা চূ-চেরা করল তাদের কি ফায়সালা হবে? এখন তাহলে যারা তাফসীর করলো, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যা করলো, যারা ছাওয়ানেহ উমরী লিখলো তারা কি বুঝতে পারলো। এটা তাহলে ফিকির করতে হবে।
এখন এটা ফিকির করতে হবে। যারা পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর, শরাহ লিখলো উনাদের শান মুবারকে চূ-চেরা কিল ও কাল করলো আর উনাদের ছাওয়ানেহ উমরী মুবারক লিখলো যে উনারা চুলা-চুলি করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! মারামারি করেছেন, হিংসা বিদ্বেষ করেছেন, মিথ্যা কথা বলেছেন। না বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল অনন্তকালব্যাপী জারি এবং উনার কার্যক্রম :
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّنْ رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ ◌ قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ ◌
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, ফযল, করম ও রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
খালী চোখে চাঁদ দেখে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ শুরু ও শেষ করা সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ
বান্দার যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগী, কর্মপদ্ধতি তথা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সর্বপ্রকার সম্মানিত আমলসমূহ আরবী মাসের তারিখ ও সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। এক্ষেত্রে চাঁদের সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ বিশেষ দিবস এবং আমলসমূহ বিভিন্ন মাসের সাথে সংশ্লিষ্ট। যেমন: সম্মানিত নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, ঈদ, আশূরা, লাইলাতুল ক্বদর, লাইলাতুল বরাত, লাইলাতুর রগাইব, সর্বোপরি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতকালে পারস্য বিজয়ের জন্য যে অভিযান পরিচালিত হয়, তার সেনাপতি এবং দায়িত্বশীল হিসেবে মনোনীত হন দ্বীন ইসলাম উনার বীর সিপাহসালার হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
সে সময় পারস্যের শাসক ছিলো ইয়াজদ গের্দ এবং তার প্রধান সেনাপতি ছিল রুস্তম। হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুসলিম ফৌজ নিয়ে রওয়ানা হলেন এবং কাদেসিয়া নামক স্থানে অবস্থান নিলেন। সেখান থেকে তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার দিক নির্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের জন্যেই ফরয :তামাম মাখলুকাতের মধ্যে খালিক্ব-মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেরূপ মর্যাদাবান- অন্যান্য মাস উনার তুলনায় পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তদ্রপ মর্যাদাবান। যেসব ওসীলাকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে ক্ষমা করেন; তাদের প্রতি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করেন এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত জান্নাতে দাখিল করেন- পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তথা এ মাস উনার ইবাদত-বন্দিগী সেসবের মধ্যে এক অন্যতম ওসীলা।
পবিত্র রমাদ্বান মাস উনার প্রথম দশদিন রহমতের, দ বাকি অংশ পড়ুন...
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই হচ্ছেন সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক।”
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমরা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আল্ইাহাস সালাম উনার কাছ থেকে দ্বীন শিক্ষা করো।” অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সকলের জন্য অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। অনুরূপভাবে উনার আখাছ্ছুল খাছ নিসবত মুবারক প্রাপ্তির দরুন হযরত আহলু বা বাকি অংশ পড়ুন...
২২৫ পর্ব:
সেটাই বলা হচ্ছে, বলুন উনাদেরকে আপনারা এটা ঝুলিয়ে দেন।
ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ
এটা হচ্ছে উনাদেরকে চেনার জন্য। যারা স্বাধীন, যারা সম্ভ্রান্ত উনারা পর্দা করবেন। এটা হচ্ছে উনাদের আলামত, চিহ্ন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা শরীফ এবং গাইরে শরীফ। অর্থাৎ ভদ্র অভদ্র, মর্যাদা সম্পন্ন আর মর্যাদাহীন উনাদের মধ্যে পার্থক্য করে দেয়া হয়েছে। যারা সম্মানিতা মহিলা, শরীফ উনারা পর্দা করবেন এটাই বলা হচ্ছে।
ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
এটা হচ্ছে উনাদ বাকি অংশ পড়ুন...












