মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
قَلَّ لااسئلكم عَلَيْهِ أَجْرًا أَلَا المَوَدَّةَ فِي القُرْبَى
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি জানিয়ে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া। ” (পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
এক শ্রেণীর বেআক্বল, জাহেল প্রচার করে থাকে যে, হযরত ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা গরীব ছিলেন, অভাব অনটনে ছিলেন। নাউযুবিল্লাহ! তারা এ বিষয়টিকে সামনে এনে বলতে চায় যে, দ্বীন ইসলাম ধনী হওয়াকে সমর্থন করেনা। নাউযুবিল্লাহ! মূলত এদের জাহেলী মগজের কারণেই তারা এমনটা ভেবে থাকে ও প্রচার করে থাকে। অথচ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো ছাহাবীই অভাব-অনটনে ছিলেন না। বরং উনারা ছিলেন দুনিয়াবিমুখ। উনারা যে সম্পদই অর্জন করতেন তা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খিদমতে হাদিয়া করে দিতেন বাকি অংশ পড়ুন...
মুকাদ্দিমা
খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার বিষ্ময়কর সৃষ্টি হচ্ছে চাঁদ ও সূর্য। দিনের আকাশে জ্বলে থাকা সূর্য আর রাতের আকাশে ঝলমলে চাঁদ মানুষের কেবল কল্যাণেই আসেনি বরং মানব মনে জন্ম দিয়েছে নানান ভাল লাগা আর সৃষ্টি করেছে কৌতুহল। চাঁদ-সূর্যের প্রতি মানুষের আগ্রহেই জন্ম নিয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞান আর বছরের হিসাব গণনা করার মত বিষয়ের। বছরের হিসাব গণনা করার বিষয়টি বর্ষপঞ্জির সাথে জড়িত।
বর্ষপঞ্জি ছাড়া আমাদের ব্যক্তিগত কাজকর্ম, সরকারি কাজকর্ম সবই অচল। দেশ, জাতি, ব্যক্তি, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান, সাহিত্য- সব কিছুই সময়ের সুতোয় বাঁধা। সম বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ইসতিস্কা উনার নামায
যখন অনাবৃষ্টিতে বান্দার কষ্ট হতে থাকে তখন রাজ্জাকুল ‘ইবাদ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট বৃষ্টি বা পানি প্রার্থনার জন্য যে পবিত্র নামায পড়া হয় তাকেই ইসতিস্কার নামায বলে। এ পবিত্র নামায পড়া সুন্নত। দেশের সকল মুসলমান পুরুষ, বালক ও বৃদ্ধ এবং গরু-বাছুর নিয়ে বিনয়ীর লেবাস পরে, পায়ে হেঁটে অতিশয় আযীযী এবং কাকুতি-মিনতিসহ ময়দানে বের হয়ে যাবে। তথায় সকলেই নিজ নিজ পাপের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ অপরাধ স্বীকার করে খালিছ বা খাঁটিভাবে তওবা-ইস্তিগফার করবে, যদি কেউ কারো হক নষ্ট করে থাকে, তা ফেরত দিবে।
বাকি অংশ পড়ুন...
তাহলে কত পবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। একমাত্র যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ছাড়া সব থেকে উনারা বেনিয়াজ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটাই হচ্ছে ছমাদিয়াত ও ত্বহারাতের মাক্বাম। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কাজেই বিষয়টা অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও কঠিন বিষয় বুঝাটা। অত্যন্ত সুক্ষ্ম বিষয়, যে উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত কতটুকু ম বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছানিয়া আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাওযাতুম মুকাররমাহ হিসেবে দ্বিতীয়া। উনার নাম মুবারক হযরত সাওদা বিনতু যাময়া আলাইহাস সালাম। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আল উলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম তিনি বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন বনু হিলাল গোত্রে, উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মুবারক হযরত হারিছ বিন হাযান আলাইহিস সালাম, সম্মানিতা মাতা উনার নাম মুবারক হযরত হিন্দা বিনতে আওফ আলাইহাস সালাম। উনার পূর্ব নাম মুবারক ছিল র্বারা। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই নাম মুবারক পরিবর্তন করে হযরত মায়মুনা আলাইহাস সালাম রাখেন। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আন্হু এবং স বাকি অংশ পড়ুন...
তাহলে দেখা যাচ্ছে, যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেই দিয়েছেন,
وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ إِلاَّ عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا
যমীনে যত প্রাণী আছে সকলের রিযিকের জিম্মাদার যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই। তারপরও বলা হচ্ছে, আপনি উত্তম রিযিক দাতা। দয়া করে আপনি খাদ্যসহ খাঞ্জা নাযিল করুন। খাদ্যসহ খাঞ্জা নাযিল করলে কি হবে? এই খাদ্য নাযিলের সেই দিনটা আমাদের জন্য ঈদের দিন হবে আর আপনার পক্ষ থেকে একটা নিদর্শন মুবারক হবেন, আমাদের জন্য উত্তম রিযিক হবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এ বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: দাড়ি রাখা জরুরী নয় বরং সুন্নত। দূর থেকে বুঝা যায়, এতটুকু পরিমাণ দাড়ি রাখলেই চলে। একমুষ্টি পরিমাণ রাখা শর্ত নয়। আর গোঁফ মু-ন করাই সুন্নত।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: দাড়ি কমপক্ষে একমুষ্টি পরিমাণ লম্বা করা ফরয-ওয়াজিব। অর্থাৎ একমুষ্টি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কাটা বা ছাঁটা হারাম। চার মাযহাবের ইমামগণ উনারা এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। আর গোঁফ মু-ন করা ফতওয়াগ্রাহ্য মতে মাকরূহ্ তাহরীমী ও বিদ্য়াত। গোঁফ কাঁচি দিয়ে ছেঁটে ভ্রুর ন্যায় বা এতটুকু পরিমাণ রাখতে হবে, যেন নখ দিয়ে ধরা যায়।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক বাকি অংশ পড়ুন...
মাদরাসা উনার গৃহ নির্মাণ
সাইয়্যিদুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী, মাহবূবে সুবহানী, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুযোগ্য উস্তাদ হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখজুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে নিজেই উনার শিক্ষকতা কার্যে নিয়োজিত ছিলেন, তখন উনার ছাত্রসংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু সাইয়্যিদুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী, মাহবূবে সুবহানী, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শিক্ষকতা ও পরিচালনা দায়িত্বভার গ্রহণ করার সাথে সাথে উনার এ বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সেটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কিতাব কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে বলে দিচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক উনার দ্বারা, মহাসম্মানিত কিতাব কালামুল্লাহ শরীফে উনাকে নাযিল করে দিলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বিষয়টা কত গুরু বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: “সেলাইবিহীন লুঙ্গী সুন্নত নয় বরং সেলাইবিহীন লুঙ্গী পরিধান করা আর হিন্দুদের ধুতী পরিধান করা একই কথা। অর্থাৎ তারা সেলাইবিহীন লুঙ্গীকে ধুতির সাথে তুলনা করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: “তিরমিযী শরীফ-এর হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেলাইবিহীন লুঙ্গী মুবারক পরিধান করতেন। ”
তাই প্রমাণিত হয় যে, সেলাইবিহীন লুঙ্গী পরিধান করা খাছ সুন্নত। সুন্নতকে হিন্দুদের ধুতীর সাথে তুলনা করা কাট্টা কুফরী। আর যে কুফরী করে সে মুরতাদ হয়ে যা বাকি অংশ পড়ুন...












