সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য মুবারক সম্পর্কে
ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ (২১)
, ০২ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
اَعْلَمُ النِّسَاءِ
“আ’লামুন নিসা” মহিলাদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানের অধিকারিণী তিনি। সুবহানাল্লাহ!
اَتْقَى النَّاسِ
সবচেয়ে মুত্তাক্বী পরহেযগার মানুষদের মধ্যে, মহিলাদের মধ্যে।
اَحَبُّ النِّسَاءِ اِلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
মানুষের মধ্যে, মেয়েদের মধ্যে তিনি উনার সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
উনার খুছূছিয়ত বৈশিষ্ট্য মুবারক হলো যে, তিনি একজন মেয়ের পর্দার যে গুরুত্ব, খুছূছিয়ত সেই জিনসটা বুঝিয়ে দিলেন।
অন্য এক হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি পর্দার আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার পূর্ব থেকে পর্দা করতেন। সুবহানাল্লাহ! কোন জরুরত ব্যতীত তিনি কোথাও বের হতেন না এবং কারো সামনে তিনি যেতেন না। একদিন স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বসে তিনি আলোচনা করছিলেন, এমতাবস্থায় হঠাৎ তিনি উঠে ভিতরের কামরায় গিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার আসলেন। এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো সব জানেন, এখন উম্মতদেরকে শিক্ষা দিতে হবে, বান্দা-বান্দীদেরকে শিক্ষা দিতে হবে। উনি যখন ফিরে আসলেন তখন স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, আপনি উঠে চলে গেলেন কেন? তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে তো হযরত মাকতূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এসেছিলেন সেজন্য উনাকে দেখে আমি চলে গেছি। বিষয়টাকে স্পষ্ট করার জন্য স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন কেন, তিনি তো আপনাকে দেখতেন না, যেভাবে অন্যান্য মানুষ দেখে থাকে। সেই দৃষ্টি শক্তি তো উনার মধ্যে নেই। তিনি তো আপনাকে দেখতেন না। তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, তিনি আমাকে না দেখলেও আমি তো উনাকে দেখতাম! সেজন্য আমি উঠে চলে গেছি। সুবহানাল্লাহ! এখানেও স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন যে, হ্যাঁ তিনি بِضْعَةٌ مِنِّي তিনি আমার বরকতময় গোশত মুবারক সমূহের একখানা টুকরা মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
কারণ পর্দার যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি পর্দার আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন- সূরা আহযাব শরীফ, সূরা নূর শরীফ, সূরা নিসা শরীফ এবং সমস্ত হাদীছ শরীফ-এ পর্দার তাকিদ করা হয়েছে। এখন উলামায়ে ‘সূ’দের কারণে মানুষ পর্দা থেকে মাহরূম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পর্দার কঠিন নির্দেশ রয়েছে। যেটা বেহেশতের দরজায় লিখিত রয়েছে-
اَلدَّيْوُثُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ
দাইয়ূছ কখনো বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। দাইয়ূছ কে? যে তার অধীনস্থ মেয়েদের পর্দা করায় না, নিজে পর্দা করে না, সে দাইয়ূছ। সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। নাঊযুবিল্লাহ!
এ বিষয়টা তিনি শিক্ষা দিলেন। এবং হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مُرْسَلًا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَنَ اللَّهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ
“হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারব করেন, যে দেখে এবং যে দেখায় উভয়ের প্রতি যিনি খালিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” নাঊযুবিল্লাহ!
কাজেই, এই মাসয়ালাগুলো কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর মাসয়ালা। এগুলো উনারাই তো আমাদেরকে শিক্ষা দিবেন এবং সেটাই তিনি শিক্ষা দিয়েছেন।
سَيِّدَةُ اُسْتَاذِ النِّسَاءِ
মেয়েদের তিনি শ্রেষ্ঠতম শিক্ষিকা, তা’লীম দেনেওয়ালী। কাজেই, তিনি সেটাই শিক্ষা দিয়েছেন উম্মতদেরকে, বান্দাদেরকে এবং বান্দীদেরকে। উনার সেটা মর্যাদা, উনারা খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত।
(পবিত্র ওয়াজ শরীফ অডিও রেকর্ড পেতে যোগাযোগ করুন- তাহযীব তামাদ্দুন বিভাগ, রাজারবাগ শরীফ ঢাকা)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)