চ) পবিত্র কুরবানী উনার পশুর বয়স : সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে পবিত্র কুরবানী উনার জন্য শুধু পশুই নির্দিষ্ট করে দেয়নি সাথে সাথে তার বয়সও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কুরবানী উনার পশুর বয়সের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরী। পশুর বয়সের বিষয়টি শুধুমাত্র পবিত্র কুরবানী উনার ক্ষেত্রেই নয় বরং মান্নত, দান, জানের বদলে জানের ছদক্বা, আক্বীক্বা উনাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَذْبَـحُوْا اِل বাকি অংশ পড়ুন...
কুরবানীর গোশত বণ্টনের নিয়ম:
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
يَسْتَحِبُّ التَّصَرُّفُ ثُلُثٌ لِنَفْسِه ثُلُثٌ هَدْيَةٌ ثُلُثٌ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنَ اِنْ كَانَتْ تَطَوُّعًا فَاِنْ كَانَتْ وَصِيَّةً يَتَصَدَّقُ بِجَمِيْعِهَا
অর্থ: কুরবানীকৃত পশুর গোশতের তিন ভাগের এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য আর আরেক ভাগ গরিব-মিসকীনদের জন্য বণ্টন করা মুস্তাহাব সুন্নত; যদি কুরবানী নফল বা ওয়াজিব হয়। আর যদি কুরবানী মানতের হয় তাহলে পুরোটাই গরিব-মিসকীনদেরকে দান করে দিবে”।
উল্লেখ্য, কুরবানীদাতার সামর্থ্য থাকলে এভাবে গোশত বণ্টন করবে। অন্যথায় ঈদের দিনস বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছেÑ
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَأَيْتُ حَضْرَتْ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَامُ يُضَحّىْ بِكَبْشَيْنِ فَـقُلْتُ لَه مَا هٰذَا فَقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَانِـىْ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ فَاَنَا اُضَحِّىْ عَنْهُ.
অর্থ: বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত হানাশ রহমতুল্লাাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে দুটি দুম্বা কুরবানী করতে দেখলাম এবং জিগাসা করলাম, এটা কি? (দুটি কেন?) জবাবে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে নির্দেশ মুবারক দিয়েছিলেন তিনি যেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নাম মুবারক-এ পবিত্র কুরবানী দেন।
অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে এটাই ছাবেত হয় যে, যদিও খাছভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত-
اَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَّيْنَ وَالْاُذْنَ وَاَنْ لَّانُضَحِّي بِـمُقَابَلَةِ وَلَا مُدَابَرَةِ وَلَا شَرْقَاءِ وَلَا خَرْقَاءِ.
অর্থ : “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে আদেশ মুবারক করেন, আমরা যেন পবিত্র কুরবানী উনার পশুর চোখ ও কান ভালোভাবে লক্ষ্য করি এবং ওই পশু দ্বারা কুরবানী না করি, যার কানের অগ্রভাগ বা পশ্চাদভাগ কর্তিত। তদ্রুপ যে পশুর কান লম্বায় ফাঁড়া বা কান গোলাকার ছিদ্ বাকি অংশ পড়ুন...
এর উপর ভিত্তি করেই বলা হয় যে-
اِهَانَةُ السُّنَّةِ كُفْرٌ
অর্থাৎ “সুন্নতকে ইহানত তথা অবজ্ঞা, অপছন্দ ও অস্বীকার করা কুফরী। ”
যেখানে সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে ইহানত করলেই কুফরী হয়, ইহানতকারী কাফির হয়ে যায়। তাহলে সেখানে সম্মানিত ফরয উনাকে ইহানত করলে কি হবে? কাট্টা কুফরী হবে এবং ইহানতকারী কাট্টা কাফির হবে। অর্থাৎ যাকাত উনার টাকা দিয়ে নিম্নœমানের কাপড় ক্রয় করে সম্মানিত যাকাত আদায় করলে, এতে সম্মানিত যাকাততো কবুল হবেই না বরং পবিত্র ঈমান, আমল, আক্বীদা সব বরবাদ হয়ে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ! এটা মুসলমান উনাদেরকে বেঈমান করার জন্যে ইহুদী-নাছারাদ বাকি অংশ পড়ুন...
সমঝ ও বিচক্ষণতা (৪)
পূর্ব প্রকাশিতের পর
কুফা শহরে এক ব্যক্তি ছিলো গোঁড়া শিয়া। সে হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের তৃতীয় খলীফা, আমীরুল মু’মিনীন, আজওয়াদুন নাস, সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে ইহুদী বলে বেড়াতো। নাঊযুবিল্লাহ! ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন তাকে বললেন, “তোমার মেয়ের জন্য কি বর খুঁজছ? আমার সন্ধানে একজন ছেলে আছে। তিনি অত্যন্ত শরীফ বংশের ছেলে। অধিক ধনাঢ্য, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার হাফিয, খুবই পরহেযগার, মুত বাকি অংশ পড়ুন...
গ) জাল্লালা প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা নাজায়িয : জাল্লালা প্রাণী দিয়ে কুরবানী করা জায়িয নেই। জাল্লালা প্রাণী বলে ওই প্রাণীকে, যে প্রাণী সদা-সর্বদা মল খেয়ে জীবন ধারণ করে, যার কারণে ঐ সমস্ত পশুর গোশতে দুর্গন্ধ পয়দা হয়। আর যে সমস্ত পশু প্রায় প্রায় মল বা নাজাসাত খেয়ে থাকে, সে সমস্ত পশু দিয়ে কুরবানী করা সম্পর্কে ইখতিয়ার রয়েছে। তবে যারা জায়িয বলেছেন, উনারা বলেছেন- উট হলে ৪০ দিন, গরু হলে ২০ দিন, ছাগল হলে ১০ দিন, মোরগ হলে ৩ দিন, চড়ুই পাখি হলে ১ দিন বেঁেধ রেখে ভাল খাদ্য দিয়ে তার গোশতের দুর্গন্ধ দূরীভূত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পর যবেহ বাকি অংশ পড়ুন...
খ) গৃহপালিত পশু মধ্যে শুধুমাত্র দুম্বা, ভেড়া, ছাগল, উট, গরু ও মহিষ দ্বারা কুরবানী দেয়া জায়িয : গৃহপালিত পশু দ্বারা কুরবানী করার বিধান থাকলেও যে কোন গৃহপালিত পশু দ্বারা কুরবানী করলে শুদ্ধ হবে না। বরং ৬ প্রকার গৃহপালিত পশু দ্বারা কুরবানী করতে হবে। এই ৬ প্রকার পশু হচ্ছে দুম্বা, ভেড়া বা মেষ, খাসী বা বকরী, উট, গরু ও মহিষ। এই ছয় প্রকার পশুর নর-মাদী উভয়ই কুরবানী যোগ্য পশু।
দুম্বা কুরবানী : দুম্বা কুরবানীর ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم বাকি অংশ পড়ুন...
২১ পর্ব:
আপনারা লক্ষ্য করুন, আমার বান্দারা কি অবস্থায় এসেছে, কি করতেছে। এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি সে বিষয়টা স্মরণ করিয়ে দেন হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে। উনারা সেটা বলেছিলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلآَئِكَةِ إِنِّيْ جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيْـفَةً
মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে যে সৃষ্টি করবেন সে বিষয়টা বলেছিলেন। হে হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম! আমি যমীনে খলীফা পাঠাতে চাই? বিষয়টা তাদে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার নামাযের বিবরণ
পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা রাখার পর পবিত্র শাওওয়াল শরীফ উনার চাঁদের প্রথম দিবস সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী খুশি প্রকাশের নাম পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই দিনে ছয় তাকবীরের সাথে দুই রাক‘আত ওয়াজিব নামায আদায় করতে হয়। এ পবিত্র নামায সূর্যোদয় হতে মাকরূহ ওয়াক্তের পূর্ব পর্যন্ত পড়া যায়। বিশেষ ওজরবশতঃ ১ম দিন পড়তে না পারলে পরের দিনও পরা যায়। পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার নামায সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আর পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার নামায এর চেয়ে একটু পরে। অর্থাৎ ঈদের নামাযদ্বয় সকাল সকাল আদায় করা খাছ সুন্নত মুবা বাকি অংশ পড়ুন...












