পবিত্র তারাবীহ নামায উনার দু‘আ (চার রাক‘আত পর পর)
চার রাক‘আতের পর নিম্নোক্ত দু‘আ পড়তে হয়-
سُبْحَانَ ذِى الْـمُلْكِ وَالْـمَلَكُوْتِ سُبْحَانَ ذِى الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْـهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْـجَبَرُوْتِ. سُبْحٰنَ الْـمَلِكِ الْـحَىِّ الَّذِىْ لَا يَنَامُ وَلَا يَـمُوْتُ اَبَدًا اَبَدًا سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنَا وَرَبُّ الْـمَلٰئِكَةِ وَالرُّوْحِ.
উচ্চারণ : সুবহানা যিল মুল্কি ওয়াল মালাকূতি সুবহানা যিল ‘ইয্যাতি ওয়াল ‘আয্মাতি ওয়াল হাইবাতি ওয়াল কুদরতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল জাবারূত, সুবহানাল মালিকিল হাইয়িল লাযী লা-ইয়ানামু ওয়ালা-ইয়ামূতু আবাদান আবাদা, সুব্বূহুন ‘কুদ্দূসুন রব বাকি অংশ পড়ুন...
সেই অসংখ্য অগণিত নিয়ামত মুবারকের মধ্যে বিশেষ মহাসম্মানিত নিয়ামত মুবারক হচ্ছেন, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতটুকু, বান্দা-বান্দি, জ্বীন-ইনসান তাদের কতটুকু জানা রয়েছে সেটাই ফিকিরের বিষয়। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহ বাকি অংশ পড়ুন...
মূলত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ ইত্তেবা করার মাধ্যমেই হাক্বীকীভাবে উনার সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা সম্ভব।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا ۚ وَاتَّقُوا اللهَ ۖ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ.
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন, তা আঁকড়িয়ে ধরো, যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাক। ( বাকি অংশ পড়ুন...
আপদসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুপ্রবৃত্তির আপদ। এটা বহুবিধ পাপের মূল কারণ। যৌবনের প্রথম থেকেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন না করলে মানুষ পাপসমুদ্রে নিমজ্জিত হয়ে থাকে। চক্ষুকে সংযত ও শাসনে রাখাই সতর্কতা অবলম্বনের উত্তম ব্যবস্থা।
আকস্মাৎ কোনো বেগানা মহিলা দৃষ্টিগোচর হলে তৎক্ষণাৎ তার দিক হতে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে হবে এবং এরূপে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন পূণর্বার তৎপ্রতি দৃষ্টি পতিত না হয়। এরূপে প্রথম থেকেই চক্ষুকে সংযত ও শাসনে রাখা অপরিহার্য। কিন্তু প্রথমে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিয়ে শেষে তাকে বশীভূত করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এক্ষেত্র বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার নামাযের বিবরণ
পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার দশ তারিখ সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশানুযায়ী দুই রাক‘আত নামায জামায়াতের সাথে পড়ে পবিত্র কুরবানী উনার উপযোগী প্রাণী যবাই করত খুশি প্রকাশ করাকে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ বলে।
এ পবিত্র নামায জামায়াতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ন্যায় পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার ওয়াক্তও সূর্যোদয় হতে মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার নামায ওজরবশতঃ ১০ তারিখে না পড়তে পারলে ১১ ও ১২ তারিখ পড়লেও চলবে।
আদায়ের নিয়ম: পবিত্র ঈদুল ফিতরে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরবানী উনার সম্পর্কে মাযহাবী ফায়ছালা
পবিত্র কুরবানী উনার সম্পর্কে শাফিয়ী মাযহাব উনার অভিমত : শাফিয়ী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব নয় বরং সুন্নত।
এ প্রসঙ্গে “নূরুল হিদায়া” কিতাবের ৪র্থ খ-ের ৫০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اور شافعی رحمۃ اللہ علیہ کے نزدیک سنت ہے.
অর্থ : “আর হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পবিত্র কুরবানী করা সুন্নত।”
অতএব, শাফিয়ী মাযহাব উনার দৃষ্টিতে যেহেতু পবিত্র কুরবানী সুন্নত তাই নিজের পক্ষ থেকে না করে অপরের পক্ষ থেকে করলেও কোন অসুবিধা নেই।
পব বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষ অপরের মুখে নিজের প্রশংসা শুনতে খুবই ভালবাসে এবং সদা সর্বদা নিজের সুনাম ও সুখ্যাতি ছাড়া অন্য কিছুই শুনতে ইচ্ছা করে না। শরীয়তসম্মত আমল করেও প্রশংসার আকাঙ্খা করে আবার শরীয়ত বিরোধী কাজ করেও প্রশংসার আকাঙ্খা করে। নাঊযুবিল্লাহ! এরূপ প্রশংসাপ্রীতি অন্তরের একটি জঘন্য ব্যাধি।
উল্লেখ্য, চারটি কারণে মানুষ অপরের মুখে নিজ প্রশংসা শুনে আনন্দ লাভ করে। প্রথমতঃ প্রশংসা ও সুখ্যাতিই গুণের পূর্ণতার প্রমাণ বা পরিচায়ক। মানুষ সর্বদা নিজ গুণের পূর্ণতায় সন্দেহের মধ্যে থাকে এবং নিজের মধ্যে গুণের পূর্ণতার কল্পনা করে গুণের পূর্ণ আনন্দ ভোগ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল অনন্তকালব্যাপী জারি এবং উনার কার্যক্রম
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّنْ رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ ◌ قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ ◌
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, ফযল, করম ও রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক উনার খিলাফ বদ আক্বীদা পোষণকারী ব্যক্তিকে শরীক নিয়ে কুরবানী করলে কুরবানী জায়িয হবে না
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক উনার খিলাফ বদ আক্বীদা পোষণকারী অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের খিলাফ আক্বীদা পোষণকারী ব্যক্তিকে শরীক নিয়ে কুরবানী করলে কুরবানী আদায় হবে না।
ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে যে সমস্ত বিষয়গুলো হারাম যেমন- সিনেমা, টেলিভিশন দেখা ও এতে অনুষ্ঠান করা এবং যে কোন প্রাণীর অঙ্কিত বাকি অংশ পড়ুন...
এদিনে রোযার ফযিলত মুবারক সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ قَتَادَةَ اْلأنْصَارِيِّ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللّٰهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِيْ قَبْلَه وَالسَّنَةَ الَّتِيْ بَعْدَه.
অর্থ: হযরত আবূ ক্বতাদাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আরাফার দিনের রোযার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তিনি পূর্বের এক বৎসর এবং পরের এক বৎসরের গ বাকি অংশ পড়ুন...
বিবাহের ক্ষেত্রেও মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দিকে প্রাধান্য দেয়া আবশ্যক
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهُ وَرَسُوْلُهٗۤ أَحَقُّ أَنْ يُّرْضُوْهُ إِنْ كَانُوْا مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: তারা যদি মু’মিন হয়ে থাকে তাহলে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার সম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা। কেননা উনারাই সন্তুষ্টি-রেযামন্দি পাওয়ার সর্বাধিক হক্বদার। (পবিত বাকি অংশ পড়ুন...
দান করার বদৌলতে পবিত্র ঈমান নছীব এবং পবিত্র হজ্জ করার তাওফীক্ব লাভ
অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে যেমন তাকওয়া হাছিল করা যায় এবং নামায পড়ে তাক্বওয়া অর্জন করা যায়, ঠিক তদ্রূপ দান খয়রাত করেও তাক্বওয়া অর্জন করা যায়। এ প্রসঙ্গে একটা মেছাল বলা হয়। তা হলো- হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন- তিনি বছরা শহরে থাকতেন। একদিন তিনি দেখলেন এক ইহুদী মহিলা একটা কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছে। হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হে ইহুদী মহিলা! তুমি তো ঈমান আননি, তুমি যে কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছো তোমার তো এ খাওয়াতে কোন ফায়দা হবে না। ইহু বাকি অংশ পড়ুন...












