চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ইনজেকশন
পূর্বপ্রকাশিতের পর
ইন্ট্রাভেনাস (Intravenous) : এ পদ্ধতিতে শিরা (vein)-এর মাধ্যমে রক্তে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এ পদ্ধতিতে ওষুধ সরাসরি রক্তে মিশে যায়।
সাবকিউটেনিয়াস (Subcutaneous) : শরীরে ত্বকের এবং মিউকাস মেমব্রেনের এক বা একাধিক স্তরের মধ্য দিয়ে এ পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। তবে এ পদ্ধতিতেও ওষুধ রক্ত স্রোতে মিশে যায়।
ইন্ট্রামাসকিউলার (Intramuscular) : এ পদ্ধতিতে ওষুধ শরীরের পেশীসমূহের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করানো হয় এবং কিছু সময় পর ওষুধ রক্ত ¯শ্রোতে গিয়ে মিশে।
ইন্ট্রাথিকাল (Intrathecal): অনেক সময় কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (Central Nervous System ev CN বাকি অংশ পড়ুন...
উশর শব্দের অর্থ
عُشْرٌ ‘উশর’ শব্দখানা আরবী, যা ‘আশারাতুন’ (দশ) শব্দ হতে এসেছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- ‘এক দশমাংশ’। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়, যমীন থেকে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য তথা ফল ও ফসলের যাকাতকে উশর বলে।
উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ বর্ণিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَنفِقُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِـمَّآ اَخْرَجْنَا لَكُمْ مِّنَ الْاَرْضِ.
অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্যে যমীন হতে উৎপন্ন করেছি তা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ আছে- সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের শরীফ, সর্বাধিক সমঝদার, সম্মানিত নসব মুবারক উনার অধিকারিণী, অত্যন্ত ধৈর্যশীলা ও ইবাদতগুজার। সুবহানাল্লাহ! তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, তাক্বওয়া পরহেজগারীর অধিকারিণী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে সম্বোধন করে ইরশাদ মুবারক করেছিলেন-
إنّكِ لإبنَةَ نبئٍ، و إن عمَّ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
তিনি যে সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন:
আমরা ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকীমুল হাদীছ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হচ্ছেন শ্রেষ্ঠতম তাবিয়ী। কেননা তিনি স্বয়ং নিজেই বলেছেন-
رَاَيْتُ حَضْرَتْ اَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَائِمًا يُّصَلِّىْ
অর্থ: “আমি বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছি তথা উনাকে নামা বাকি অংশ পড়ুন...
সুমহান বিশেষ নাত শরীফ প্রকাশের উদ্যোগ ও প্রচারের গুরুত্ব
যেহেতু সঙ্গীত সম্মানিত ইসলাম উনার মাঝে নিষিদ্ধ কিন্তু হামদ শরীফ, নাত শরীফ শোনা সুন্নত এবং জায়িয তাই মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, জাতির জন্য, দেশের জন্য রহমত, বরকত, কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসার জন্য পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নাতু উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করেন। আমরা সে বিষয়েই সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ!
নাত শরীফ কি?
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ বাকি অংশ পড়ুন...
ইনজেকশন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে
ইমদাদুল ফতওয়ার বক্তব্যের খন্ডনমূলক জাওয়াব
এতক্ষণে আমরা ইনজেকশন সম্পর্কে ইমদাদুল ফতওয়ার বক্তব্য জানতে পেরেছি। এখন আমরা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ফিক্বাহ্ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে প্রমাণ করবো যে, ইনজেকশন সম্পর্কে ইমদাদুল ফতওয়ার বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল।
ইমদাদুল ফতওয়ার উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা দু’টি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়-
(১) “ইনজেকশন মগজ অথবা পেটে প্রবেশ করেনা। ”
(২) “ইনজেকশন রগের ভিতর দিয়ে গিয়ে রক্তের সাথে মিশে যায়। ”
মূলতঃ ইনজেকশন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও জ্ঞ বাকি অংশ পড়ুন...
ছদাক্বাতুল ফিত্বর কখন দিবেন
পবিত্র ঈদুল ফিত্বর উনার নামায আদায়ের আগেই ছদাক্বাতুল ফিত্বর আদায় করতে হবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ فَرَضَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكٰوةَ الْفِطْرِ طُهْرَةً لِّلصَّائِمِ مِنَ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ وَطُعْمَةً لِلْمَسَاكِينِ مَنْ اَدَّاهَا قَبْلَ الصَّلٰوةِ فَهِىَ زَكٰوةٌ مَقْبُولَةٌ وَمَنْ اَدَّاهَا بَعْدَ الصَّلٰوةِ فَهِىَ صَدَقَةٌ مِّنَ الصَّدَقَاتِ.
অর্থ : “হযরত ইবনে ‘আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
اسی طرح زخم دماغ (آمہ) کے متعلق بھی وہ یہ فرماتے ھیں کہ اس سے بھی کوی منفذ معدہ تک نھیں ھے- اور نہ دماغ کی دوا معدہ میں پھونچ سکتی ھے- سوائے اس کے کہ ناک کے سوراخ سے کوئی چیز ڈالی جائے تو وہ حلق میں اور حلق سے معدہ میں پھونچ سکتی ھے یہ تمام امور جدید تشریح ھوگے وہ یہ بھی فرماتے تھے کہ أمہ وجائفہ کے متعلق فقھاء کے مسائل غلط نھیں ھیں بلکہ انھی کی جو تشریح معلوم ھوئی وہ غلط ھے اس لئے ان امور پراز سرنو نظر کر کے فتاوی مرتب کرنے کی ضرورت ھے-
আর অনুরূপভাবে মগজের জখমের ব্যাপারেও তিনি বলেছেন যে, (দেমাগ) মগজ থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত কোন রাস্তা নেই এবং মগজের ওষুধ পাকস্থলীতে পৌঁছেনা। তবে এটা ব্যতীত যে, রুগীর নাকের ছিদ্রে কোন বস্তু ঢাললে তখন তা গলায় এবং গলা থেকে পাকস্থলীতে পৌঁছতে প বাকি অংশ পড়ুন...
টাকা দিয়ে পবিত্র ছদাক্বাতুল ফিত্বর আদায় করা বৈধ
অনেকে বলে থাকে, টাকা দিয়ে ছদাক্বাতুল ফিত্বর আদায় হবে না। খাদ্য সামগ্রীই দিতে হবে। অথচ তাদের এমন বক্তব্য নেহায়েত হাস্যকর। বিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দিছ হযরত ইবনে আবী শায়বা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “মুছান্নাফে আবী শায়বা” কিতাবে একটা বাব রচনা করেছেন যার নাম-
فِىْ اِعْطَاءِ الدِّرْهَمِ فِىْ زَكَاةِ الْفِطْرِ
অর্থাৎ “ছদাক্বাতুল ফিত্বর দিরহাম বা টাকা দ্বারা আদায় করা সম্পর্কে”। এই অধ্যায় থেকে কয়েকটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হলো-
عَنْ حَضْرَتْ زُهَيْرٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ سَـمِعْتُ حَضْرَتْ اَبَا اِسْحَاق বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল আউলিয়া, হাবীবে ওয়া মাহবুবে রহমান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আহলু বাইত শরীফ উনাদের ৮ম ইমাম। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক নাম হযরত আলী আলাইহিস সালাম। কুনিয়াত আবুল হাসান। রিদ্বা উনার অন্যতম লক্বব মুবারক বা উপাধি।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, আমি আমার কুনিয়াত মুবারক হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনাকে দিয়েছি। উনার মুবারক নাম উনার পিতা ‘মামুনুর রিদ্বা’ রেখেছিলেন এবং উনাকে বেলায়েত পদেরও ওসিয়ত করেছিলেন। ত বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশে ৫ হিজরী সনে পবিত্র মদীনা শরীফে বনী কুরাইজার ইহুদী গোত্রকে চুক্তি ভঙ্গ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং মুনাফিকী করার কারণে অবরোধ করা হয়। এ অবস্থায় ইহুদীরা পরামর্শের জন্য আউস গোত্রীয় কাউকে তাদের নিকট পাঠানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করে।
নূরে মুহাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন হযরত আবু লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনজির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে সেখানে প্রেরণ করেন। ইহুদীদের সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি তাদেরকে বলেন, আমার বাকি অংশ পড়ুন...












