পূর্ব প্রকাশিতের পর...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত হয়েছে-
قَالَ الطَّبَرَانِىُّ فِى الْكَبِيْرِ عَنْ حَضْرَتْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِت رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ: اَلْأَبْدَال فِي أُمَّتِي ثَلَاثُوْنَ : بِهِمْ تَقُوْمُ الْأَرْضُ وَبِهِمْ تُمْطَرُوْنَ وَبِهِمْ تُنْصَرُوْنَ.
অর্থ: “হযরত ইমাম ত্ববারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “আল মু’জামুল কবীর” কিতাবে উল্লেখ করেন। হযরত উবাদা ইবনে ছামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশজন আবদাল সর্বদাই থাকবে বাকি অংশ পড়ুন...
“মুগনী” কিতাবে উল্লেখ আছে- لَهْوَ الْحَدِيْثِ ‘লাহ্ওয়াল হাদীছ’ হচ্ছে- গান-বাজনা, সঙ্গীত। এ আয়াত শরীফ দ্বারা তা হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। যে ব্যক্তি এটাকে হালাল জানবে সে কাফের হবে।
وَفِىْ جَامِعِ الْفَتَاوَى اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا وَضَرْبُ الْمَزَامِيْرِ وَالرَّقْصُ كُلُّهَا حَرَامٌ وَمُسْتَحِلُّهَا كَاِفرٌ.
অর্থ: “জামিউল ফতওয়াতে” উল্লেখ আছে, গান-বাজনা শ্রবন করা, গান-বাজনার মজলিসে বসা, বাদ্য-যন্ত্র বাজানো, নর্তন-কুর্দন করা সবই হারাম। যে ব্যক্তি এগুলোকে হালাল মনে করবে সে ব্যক্তি কাফের।
বাকি অংশ পড়ুন...
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। উনার হুকুম বা নির্দেশেই জগতের সব কিছু পরিচালিত হয়। তবে তিনি জগত পরিচালনার ক্ষেত্রে যেরূপ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়োগ করেছেন, তদ্রুপ মানুষের মধ্যে যারা খাছ ওলীউল্লাহ তথা আবদাল, কুতুব, গাউছ রয়েছেন, উনাদের কাছেও তিনি জগত পরিচালনার অনেক দায়িত্ব ন্যস্ত করে থাকেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমেই জগত পরিচালনা করে বাকি অংশ পড়ুন...
اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর পরিচয় ও আহ্কাম:
ইস্তিব্রা কাকে বলে:
اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) শব্দটি بَرَأَ(বারায়া) শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো পবিত্র করতে চাওয়া। এই اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) দু’ভাগে বিভক্ত। যথা: (১) যে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর মাধ্যমে রেহেম শরীফকে (জরায়ুকে) অন্যের সন্তান হতে হায়েযের দ্বারা (মাসিক মাজুরতার দ্বারা) পবিত্রতার নিশ্চয়তা সম্পর্কে অবগত হওয়া। (২) যে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর মাধ্যমে ছোট ইস্তিন্জার রাস্তা (প্রস্রাবের রাস্তা) পবিত্র করতে চাওয়া।
এখানে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) বলতে ছোট ইস্তিন্জা (প্রস বাকি অংশ পড়ুন...
وَإِمَّا يُنْسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ
শয়তান যদি তোমাদেরকে ধোঁকা দিয়ে প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে তাদের কাছে নিয়ে যায়, ওখানে যাওয়ার পরে যখন তোমাদের এ কথাটা স্মরণ হবে এই লোকটা মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে এটা স্মরণ হওয়া মাত্রই
فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَى مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
এই জালিমদের সাথে আর বসো না, এখান থেকে সরে চলে আসো, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন। এটা হচ্ছে মুসলমান ঈমানদারের একটা সংজ্ঞা। ঈমানদার কাকে বলে? ঈমানদার ঐ ব্যক্তি; মহান আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ-৮২) অর্থাৎ খাছভাবে সমস্ত ইহুদী এবং মুশরিকরা মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু আর আমভাবে সকল কাফির-মুশরিক, বিধর্মীরাই মুসলমানদের শত্রু।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে ইহুদী-মুশরিকসহ সকল কাফিরদেরকে শত্রু হিসেবে জেনে তাদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন!
বাকি অংশ পড়ুন...
ওহাবী সালাফীরা কি জানে বুখারী শরীফেই দ্বয়ীফ সনদের বর্ণনা আছে:
বর্ণনাকারী যদি তার উস্তাদকে বাদ দিয়ে সরাসরি পরবর্তী ব্যাক্তি থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করে সেক্ষেত্রে পবিত্র হাদীছ শরীফখানা উছুল অনুযায়ী মুয়াল্লাক হাদীছ শরীফ হয়। উছূলের কিতাবে মুয়াল্লাক হাদীছ শরীফ উনাকে বর্জনীয় বলা হয়েছে। অথচ মজার বিষয় হলো ছহীহ বুখারী শরীফেও মুয়াল্লাক হাদীছ শরীফ রয়েছে। যেমন-
قَالَ مَالِكٌ : أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ أَخْبَرَهٗ اَنَّ أَبَا سَعِيْدٍ الْـخُدْرِىَّ اَخْبَرَهٗ أَنَّهٗ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيَهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ
উক্ত সনদখানা বুখা বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতের কোর্টে এক কট্টর ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ থেকে ২৬ খানা সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ বাদ দেয়ার জন্য রিট করে। নাঊযুবিল্লাহ! যদিও মুসলমানের ভয়ে ভারতের আদালত সেটা খারিজ করে দেয়। কোন সেই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফগুলো একজন ঈমানদার হিসেবে সেটা জানা থাকা জরুরী।
এখানে অনুবাদসহ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফগুলো উল্লেখ করা হলো:
(৩)
وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنَّ الْكَافِرِينَ كَانُوا لَكُمْ عَدُوًّا مُبِينًا
অর্থ: “আর যখন তোমরা যমীনে বাকি অংশ পড়ুন...
وَإِمَّا يُنْسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ
শয়তান যদি তোমাদেরকে ধোঁকা দিয়ে প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে তাদের কাছে নিয়ে যায়, ওখানে যাওয়ার পরে যখন তোমাদের এ কথাটা স্মরণ হবে এই লোকটা মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে এটা স্মরণ হওয়া মাত্রই
فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَى مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
এই জালিমদের সাথে আর বসো না, এখান থেকে সরে চলে আসো, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন। এটা হচ্ছে মুসলমান ঈমানদারের একটা সংজ্ঞা। ঈমানদার কাকে বলে? ঈমানদার ঐ ব্যক্তি; মহান আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ ۖ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য হারাম করেছেন, মৃত প্রাণী, (মাছ ব্যাতীত) রক্ত, শুকরের গোস্ত এবং সেসব প্রাণী মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যাতীত অন্য কারো নামে যবেহ করা হয়। অবশ্য যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে পড়ে (মা’যূর হয়ে যায়) এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন গুনাহ নেই। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু। ” সুবহান বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন মুরীদ (যিনি ছিলেন হাফিযে কুরআন) একদা মসজিদে বসে পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা দিচ্ছিলেন। ঘটনাক্রমে ছাত্রদের মধ্য হতে একজন সুশ্রী বালকের প্রতি উনার কুদৃষ্টি পতিত হয়। ফলে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ একেবারে ভুলে গেলেন এবং তার সর্ব শরীরে দাহ আরম্ভ হলো। তিনি অন্যায় বুঝতে পেরে মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে এবং অনুশোচনায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে তৎক্ষনাৎ ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে ছুটে গেলেন এবং উনার কাছে আনুপুর্বক ঘটনা বিবৃত করলেন। ত বাকি অংশ পড়ুন...












