কুতুবুল মাশায়িখ- লক্বব মুবারক প্রাপ্তি:
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কর্তব্যপরায়নতা, কষ্ট সহিষ্ণুতা, ন্যায় পরায়নতা, দায়িত্ববোধ এবং পরহেযগারিতা, অযীফা আদায় তথা ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মাশাক্কাতের দৃঢ়তা দেখে উনার শায়েখ শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অত্যন্ত খুশি হতেন। একদিন উনাকে ডেকে বললেন, মুঈনুদ্দীন! আপনাকে নিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ সফর করবো।
তিনি মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সফরের সমস্ত জিনিষপ বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দা পালন করা সম্পর্কে বহু পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছে। যেমন পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ۚ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ ۗ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ. وَقُلْ لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ.
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকে পবিত্র কুরবানী দেয়ার হুকুম সম্পর্কে জানতে চাই।
জাওয়াব: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ حَضْرَتْ عَلِيًّا عَلِيْهِ السَّلَامُ يُضَحِّى بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ مَا هٰذَا فَقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَاِنْى اَنْ اُضَحِّى عَنْهُ فَانَا اُضَحِّى عَنْهُ.
অর্থ : “হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে দুটি দুম্বা কুরবানী করতে দেখ বাকি অংশ পড়ুন...
আক্বীদা সংক্রান্ত যেই ইলিম সেটা হাছিল করা ফরয-ওয়াজিব। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا آمِنُوا بِاللهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي أَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ وَمَنْ يَكْفُرْ بِاللهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا
হে ঈমানদারগণ!
آمِنُوا
তোমরা অবশ্যই ঈমান আনো।
بِاللهِ وَرَسُولِهِ
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا بِطَانَةً مِّن دُونِكُمْ لَا يَأْلُونَكُمْ خَبَالًا وَدُّوا مَا عَنِتُّمْ قَدْ بَدَتِ الْبَغْضَاءُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ وَمَا تُخْفِي صُدُورُهُمْ أَكْبَرُ
অর্থ: হে ঈমানদাররা! মুসলমান ছাড়া তোমরা কোন বিধর্মীদের কাউকে তোমাদের উপদেষ্টা হিসেবে, বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের ক্ষতি করার জন্য কোনো ত্রুটি করে না। এবং তারা চায় তোমাদের সবসময় ক্ষতি হোক! -তোমরা কষ্টে থাকো, তাতেই তাদের আনন্দ। তারা মুখে যা প্রকাশ করে তার চেয়ে তাদের অন্তরে মুসলমানদের প্রতি আরো কঠিন বিদ্বেষ রয়ে গেছে। (মহ বাকি অংশ পড়ুন...
ইমাম করদরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, এক সময় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারকে হাযির হলেন। তিনি উনাকে দেখে বললেন, হে ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি! আমি আপনাকে দেখেছি যে, আপনি আমার সম্মানিত নানাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলুপ্ত সুন্নত মুবারককে যিন্দা করবেন। আপনি প্রত্যেক দুঃখী ও সাহায্যপ্রার্থীকে সদা সাহায্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَاءَكُمْ مِّنَ الْحَقِّ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَإِيَّاكُمْ ۙ أَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِيْ ۚ تُسِرُّوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنتُمْ ۚ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ.
“হে মুমিনগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের প্রতি মুহব্বত ঢেলে দাও (বন্ধুত্বের বার্তা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ফযীলত ও মর্যাদা:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেহেতু সত্যের মাপকাঠি, ‘মিয়ারে হক্ব’। সেহেতু ক্বিয়ামত পর্যন্ত পরবর্তী উম্মতকে জন্ম থেকে শুরু করে ইন্তিকালের পর পর্যন্ত সর্বদিক থেকে সকল বিষয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে যথাসাধ্য অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে। এক জাররা পরিমাণ বা বিন্দু পরিমাণ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে চু-চেরা, কিল-কাল করা যাবে না। শুধু তাই নয়, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্ব বাকি অংশ পড়ুন...
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا آمِنُوْا
হে ঈমানদাররা! ঈমান আনো, মু’মিনে কামিল হয়ে যাও তখনই তোমাদের জন্য কামিয়াবী। সময় কিন্তু কারো জন্য অপেক্ষা করে না, মৃত্যু যথাসময় হয়ে যাবে। যেটা আমি পূর্বেও বলেছি এখনও বলছি-
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَّلَا يَسْتَقْدِمُوْنَ
প্রত্যেকের জন্য মৃত্যু রয়েছে। যখন মৃত্যু এসে যাবে তখন এক সেকেন্ড আগেও হবে না, এক সেকেন্ড পরেও হবে না। কাজেই সময় থাকতে তওবা করে, ইস্তিগফার করে, নিজের ঈমান-আমল শুদ্ধ করে নিতে হবে।
ঈমান যদি শুদ্ধ থাকে সে এক সময় নাজা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا
অর্থ: “(ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (মানুষদের) মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন এ ব্যাপারে) যারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত। ” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ, ১১৯)
দাড়ি মু-ন করা আকৃতি-বিকৃতি করার নামান্তর। যা সম্মানিত শরীয়তে বাকি অংশ পড়ুন...












