ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৪৪)
, ১১ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০২ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা ঘটনা বলা হয় যে, উনি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর কতটুকু ভরসা করতেন। উনার আর্থিক অবস্থা তত স্বচ্ছল ছিলোনা।
একবার হজ্জের সময় যখন হলো, তখন উনার সঙ্গী-সাথীরা বললো, হে হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি কি হজ্জ্বে যাবেন?
উনি বললেন, দেখ আমি হজ্জ্বে যাব কি করে? আমার তো আর্থিক সামর্থ নেই। আমার ছেলে-মেয়ে রয়েছে, তাদের ভরন-পোষণ দিতে হবে আমি হজ্জ্বে থাকাকালীন অবস্থায়। আর আমার তো যাতায়াত খরচ দরকার, কোথা থেকে পাব?
তারা বললো, দেখেন আপনি যদি যেতে চান আমাদের সাথে যেতে পারেন। উনি সকালে উনার ছেলে-মেয়েদের সাথে আলোচনা করলেন। হে আমার ছেলে-মেয়েরা, তোমরা কি বলো? আমি তো হজ্জ্বে যেতে চাই। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনিইতো সবকিছুর ফায়সালাকারী। তখন উনার ছোট্ট একটা মেয়ে ছিল, খুব নেক্কার পরহেযগার আল্লাহ্ওয়ালী। সেই মেয়েটা বললো- ঠিক আছে, আপনি যদি হজ্জ্বে যেতে চান তাহলে যান, কোন অসুবিধা হবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের হিফাজত করবেন।
তখন সকলেই সম্মতি দিল, উনি রওয়ানা হয়ে গেলেন হজ্জে। কিন্তু উনার ঘরে পরের বেলায় খাওয়ারই কিছু ছিল না। উনি তো হজ্জে রওয়ানা হয়ে গেছেন। ঘরের খাওয়া প্রায় শেষ হয়ে গেল। সেই ছোট্ট মেয়েটার কথা বলার কারণেই উনি হজ্জে রওয়ানা হয়ে গেলেন।
যখন উনি চলে গেলেন, এদিকে খাওয়ার অভাব দেখা দিল। উনার অন্যান্য ছেলে-মেয়ে যারা ছিল, তারা বললো সেই বাচ্চা মেয়েটাকে, তোমার কারণেই আমাদের পিতা হজ্জে গিয়েছেন। আমাদের কামাই রোজগার করার আজকে কেউ নেই।
সেই মেয়েটা বললো- দেখুন আল্লাহ পাক তিনিতো রিযিকের মালিক, মহান আল্লাহ পাক তিনি ফায়সালা করবেন। মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা করুন।
ইত্যবসরে দেখা গেল, সেই এলাকায় যে আমীর ছিল, সে আমীর শিকার করতে বের হয়েছে। শিকার করতে করতে সে তার কয়েকজন লোক নিয়ে রাস্তা ভুলে হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ীতে এসে পৌঁছল।
যখন এসে পৌঁছল, তার সভাসদ যারা ছিল, তাদের মধ্যে একজন উযীর ছিল, সে কিন্তু হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে চিনতো এবং উনি বুযূর্গ এটা তারা জানতো। এসে বললো, আমাকে এক গ্লাস পানি দিন। তখন উনার ঘর থেকে এক গ্লাস পানি দেয়া হলো। কিন্তু উনার ঘরে খাওয়ার কিছু ছিল না যে, মেহ্মানদারীর জন্য কিছু দেয়া যায়, উনারা কিছুই দিতে পারলেন না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (২৭)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হবে
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাওয়াক্কুল তথা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ভরসা করার ফযীলত
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সুদের ভয়াবহতা
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)