ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৪৩)
, ১০ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আমি শুধু ছোট একটা কাজ করেছি, আর কিছুই করিনি। কাজটা হলো এই, যে দুই বাড়ীতে মারামারি হচ্ছে সে দুই বাড়ীর সীমানার মধ্যে এক ফোঁটা মিষ্টির রস ফেলে দিয়েছিলাম। যার কারণে সেখানে পিঁপড়া আসল, পোকা-মাকড় আসল। তা দেখে ইঁদুর আসল, ইঁদুর দেখে বিড়াল আসল। বিড়াল দেখে প্রতিবেশীর কুকুরটা আসল। কুকুর বিড়ালকে কামড় দিল, আর বিড়ালওয়ালা কুকুরের মাথায় বারি দিল। তখন সে কুকুরওয়ালা উত্তেজিত হয়ে বিড়ালওয়ালার মাথায় বারি দিয়ে তাকে হত্যা করে ফেললো। মূলতঃ আমি শুধু এক ফোঁটা রস ফেলেছিলাম। কিন্তু বিরাট একটা ফিতনা পয়দা হয়ে গেল।
ঠিক ইবলীসের কাজগুলি এরকমই হয়ে থাকে। মূলতঃ বড় কাজটা তো সে করেনি, সে শুধু শুরু করে দেয়। এরপরে আর তার কিছু করা লাগেনা।
ইবলীস যখন কোন মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে ওয়াসওয়াসা দেয়, হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, ইবলীস নিজে বলেছে যে, মানুষকে আমি যখন গোসসার মধ্যে পাই, বলের মত তাকে চক্কর খাওয়াতে থাকি। সে তখন আমার তাবেদার হয়ে সে কি করে, তার নিজেরও হুঁশ থাকে না।
কাজেই ইবলীস হলো মানুষের শত্রু। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তাকে প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো।
হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তখন আমি সমস্ত শত্রুতা, সমস্ত বিদ্বেষ-হিংসা-কিনা, যত বদ খাছলত রয়েছে, তা ছেড়ে দিয়ে একমাত্র মনে করলাম শয়তানই আমাদের শত্রু, আর কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। সবার সাথে মহব্বত, আমি তা জারি করে দিলাম।
হযরত শাক্বীক্ব বল্খী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আপনি উত্তম মাসয়ালা শিক্ষা করেছেন। হে হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি, আপনার শেষ মাসয়ালাটা কি?
তখন হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে, হুযূর! আমি ফিকির করলাম, কুরআন শরীফ আবার ফিকির করতে লাগলাম। দেখলাম মানুষ নানান জিনিসের উপর ভরসা করে। কেউ সন্তানের প্রতি, কেউ ধন-দৌলত, কেউ টাকা-পয়সা, কেউ লোকজন, নানান কিছুর উপর ভরসা করে।
কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন তার ব্যতিক্রম-
وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
অর্থ: যে মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা করে, মহান আল্লাহ পাক তিনিই তার জন্য যথেষ্ট।
যে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ভরসা করে, মহান আল্লাহ পাক তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হন। আমি এই আয়াত শরীফ যখন পেলাম, তখন মনে মনে চিন্তা করলাম, সত্যিই একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার উপরই ভরসা করা উচিত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খেলাধুলা নাজায়িয ও হারাম হওয়া সম্পর্কে সম্মানিত ইসলামী শরীয়তের ফায়সালা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মানুষকে আমলের প্রতি নিরুৎসাহিত করতেই পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে মওজু-জয়ীফ ইত্যাদি অপপ্রচার করছে বাতিল ফিরক্বারা
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩০)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মাজার শরীফে হামলাকারী বেয়াদব ও লানতপ্রাপ্ত
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে -৪
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (৬)
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)