হিলাল
চাঁদ দেখে সকল আরবী মাস শুরু করার গুরুত্ব
, ১০ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
৪) সূর্যাস্ত ও চন্দ্রাস্তের পার্থক্য:
সূর্যাস্তের পর চাঁদ দেখার উৎকৃষ্ট সময় নির্ণয় : সূর্যাস্তের পর চাঁদ দেখার উৎকৃষ্ট সময় নিচের দুইটি পদ্ধতিতে নির্ণয় করা যায়।
ক) প্রথম পদ্ধতি : ধরা যাক, সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টায় এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ৪৫ মিনিটে। তাহলে সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের পার্থক্য ৪৫ মিনিট।
সুতরাং চাঁদ দেখার উৎকৃষ্ট সময় = সূর্যাস্ত + ৪/৯ী (সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের পার্থক্য)
= ৬ + (৪ী৪৫)/৯
= ৬ + ২০
= ৬টা ২০ মিনিট
খ) দ্বিতীয় পদ্ধতি : ধরা যাক, সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টায় এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ৪৪ মিনিটে। তাহলে সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের পার্থক্য ৪৪ মিনিট।
এখন সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের পার্থক্যকে সমান চার ভাগ করা হলো, প্রত্যেক ভাগে ১১ মিনিট করে পড়লো। অর্থাৎ প্রথম ভাগ সন্ধ্যা ৬টা হতে ৬টা ১১ মিনিট পর্যন্ত।
দ্বিতীয় ভাগ সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিট হতে ৬টা ২২ মিনিট পর্যন্ত।
তৃতীয় ভাগ সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট হতে ৬টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত।
চতুর্থ ভাগ সন্ধ্যা ৬টা ৩৪ মিনিট হতে ৬টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত।
যেহেতু এই পদ্ধতি অনুযায়ী, তৃতীয় ভাগে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা থাকে। তাই চাঁদ দেখার উৎকৃষ্ট সময় সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট হতে ৬টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত।
প্রশ্ন:
১) ২৯তম দিন শেষে চন্দ্রাস্ত ও সূর্যাস্তের পার্থক্য কত হলে চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
ক) ৪২ মিনিটের বেশি, খ) ১০ মিনিট, গ) ২৫ মিনিট
২) সূর্যাস্ত ও চন্দ্রাস্তের পার্থক্যকে ইংরেজীতে কি বলা হয়?
ক) খধম ঞরসব, খ) গড়ড়হ ঞরসব, গ) ঝঁহ ঞরসব
৩) চন্দ্রাস্তের সময় কোথায় পাওয়া যাবে?
ক) গণনা করতে হয়। খ) চাঁদের ক্যালেন্ডারে। গ) নামাযের সময়সূচীতে।
৪) চাঁদ কি কখনো সূর্যের আগে ডুবতে পারে?
ক) না, খ) হ্যাঁ, গ) কোনটিই নয়
৫) চাঁদ কোথায় উদয় এবং কোথায় অস্ত যায়?
ক) পূর্ব দিকে উদিত হয় ও পশ্চিমে অস্ত যায়। খ) পশ্চিমে উদিত হয়ে পশ্চিমেই অস্ত যায়। গ) পূর্বে উদিত হয়ে পূর্বেই অস্ত যায়।
৫) হিলাল বা বাঁকা চাঁদের প্রশস্ততা:
অনেক অমাবস্যায় যদিও চাঁদ পৃথিবী থেকে দেখা যায় না কিন্তু তা সম্পূর্ণ অন্ধকার হয় না। এর কারণ সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী সবসময় একই রেখা বরাবর অবস্থান করে না। অর্থাৎ সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর কক্ষপথ আর পৃথিবীর চারিদিকে চাঁদের কক্ষপথ যখন একই তলে অবস্থান করে সে সময় চাঁদ সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যায়, অন্যথায় নয়। চাঁদের বয়স সমান থাকলেও, অমাবস্যার সময় সম্পূর্ণ অন্ধকার চাঁদের চেয়ে অমাবস্যার সময় কিঞ্চিত আলোকিত চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা চাঁদের প্রশস্ততাকে চাঁদ দেখার একটি শর্ত হিসেবে তাদের ফর্মূলায় স্থান দিয়েছেন।
৬) দিগন্তরেখায় সূর্যের বিকিরণ:
সাধারণত সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ অন্ধকার হয় না। দৃশ্যতঃ সূর্যাস্তের পরেও বায়ুম-লের উপরিভাগ সূর্যরশ্মিকে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে সক্ষম হয় এবং আকাশ আলোকিত করে।
বায়ুম-লে অবস্থিত গ্যাস ঘনীভূত হয়ে থাকার ফলে সূর্য প্রায় ১৮ক্ক দিগন্তের নিচে যাওয়া পর্যন্ত সূর্যরশ্মি বিকিরণ করতে সক্ষম হয়। বিষুবরেখায় অবস্থিত স্থানসমূহে সূর্য সোজাভাবে উদয় হয় এবং অস্ত যায়।
ফলে এ সকল স্থানে সন্ধ্যার ব্যাপ্তিকাল প্রায় এক ঘণ্টা। কিন্তু উত্তর-দক্ষিণ অক্ষাংশের স্থানসমূহে সূর্য বাঁকাভাবে অস্ত যেতে থাকে বলে দিগন্তের নিচে ১৮ক্ক পরিমাণ অস্ত যেতে সূর্যের অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় এবং সে কারণে সন্ধ্যার সময়কাল বৃদ্ধি পায়।
উত্তর মেরুতে শীতকালে সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পরে প্রায় ছয় সপ্তাহব্যাপী সন্ধ্যায় আধো আলো, আধো ছায়া দেখা যায়। সূর্যাস্তের পর আলোর এই বিকিরণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদ দেখার সময়ের তারতম্য ঘটে থাকে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্ত রেখা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ (১০ক্ক-র উপরে) উচ্চতায় না থাকলে চাঁদ দৃশ্যমান হওয়া কঠিন। দিগন্তের উজ্জলতার চেয়ে চাঁদের উজ্জলতা কম থাকলে খালি চোখে চাঁদ দৃশ্যমান হয় না। সে কারণেই দিগন্তরেখায় সূর্যের বিকিরণ চাঁদ দেখতে পাওয়ার একটি শর্ত। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)