সুওয়াল:
ছারছিনা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক পত্রিকা ৬০ বর্ষ ১লা সংখ্যা ১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিষেধাজ্ঞা না মেনে নাফরমান হয়ে বেহেশত থেকে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিতা আহলিয়া হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের শান মুবারকে বেয়াদবীমূলক উক্ত বক্তব্যের শরঈ ফায়ছালা জানতে ইচ্ছুক।
জাওয়াব: (২য় অংশ)
স্মরণীয় যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনা বাকি অংশ পড়ুন...
اَلصَّدَقَةُ تَرُدُّ الْبَلَاءَ
অর্থ: দান-ছদকার দ্বারা বালা-মুছিবত দূর হয়।
বাকি অংশ পড়ুন...
ছদকা বালা-মুছীবত দূর করে:
দেখা যায়, যারা দান-ছদকা করে না তারা সবসময় বিভিন্ন রকম বিপদ-আপদে পর্যুদস্ত থাকে। তাদের অর্থ-সম্পদ, আয়-রোজগারে কোনো বরকত থাকে না। যারা পরকালের জন্য মাল-সম্পদ খরচ না করে জমা করে রাখে তাদের সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُوْنُ كَنْزُ أَحَدِكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَفْرَعَ يَفِرُّ مِنْهُ صَاحِبُهُ وَهُوَ يَطْلُبُه حَتَّى يُلْقِمَهُ أَصَابِعَة. (رواه أحمد)
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضَرَتْ عُمَرُو بْنِ شُعَيْبِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَده اَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لاَتَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلا بِالنَّصَارٰى.
অর্থ: “হযরত উমর বিন শুয়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা হতে উনার পিতা উনার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমাদের ভিন্ন অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। কাজেই আপনারা ইয়াহুদী এবং নাছারাদের সা বাকি অংশ পড়ুন...
আর ইলমে ফিকাহ্র জন্য যেমন ওস্তাদ গ্রহণ করা আপনার জন্য অবশ্য কর্তব্য, ফরজ ঠিক ইলমে তাছাওউফের জন্যে ওস্তাদ গ্রহণ করা, শায়েখ গ্রহণ করা একইভাবে ফরজ, এটা মনে রাখবেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সবাইকে তাকওয়াধারী করেন, মুত্তাকী করেন। আদনা, আওসাত এবং আ’লা দরজা তাকওয়ার মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের পৌঁছার তাওফীক দান করেন। সে দোয়া আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে করব।
তাকওয়া অনেক বড় বিষয়, লম্বা বিষয়। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে, মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বরং জন্মের পূর্ব থেকে মৃত্যুর পর পর্যন্ত প্রত্যেকটি স্তরে স্তরে তাকওয়া রয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَللهَ اَللهَ فِـىْ اَصْحَابِـىْ لَاتَتَّخِذُوْهُمْ غَرَضًا مِّنْ بَعْدِىْ فَمَنْ اَحَبَّهُمْ فَبِحُبِّـىْ اَحَبَّهُمْ وَمَنْ اَبْغَضَهُمْ فَبِبُغْضِىْ اَبْغَضَهُمْ وَمَنْ اٰذَاهُمْ فَقَدْ اٰذَانِـىْ وَمَنْ اٰذَانِـىْ فَقَدْ اٰذَى اللهَ وَمَنْ اٰذَى اللهَ فَيُوْشِكُ اَنْ يَّأْخُذَهٗ
অর্থ: আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, আমার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার পরে উনাদেরকে তোমরা তিরস্কারের লক্ষ্যস্থল করো না। যে ব্যক্তি উনাদেরকে মুহব্বত করলো, সে আমা বাকি অংশ পড়ুন...
পট্টি বা ব্যান্ডেজের উপর মাসেহের বর্ণনা
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি সাধ্যের বাইরে কাউকে কষ্ট দেন না। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ২৮৬)
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ভিত্তিতে পরিলক্ষিত হয় যে, কষ্ট লাঘবের জন্য যেমন মুজার উপর মাসেহ করা জায়িয; তদ্রুপ ক্ষত বা আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে পানি লাগলে যেহেতু আরো অধিক কষ্ট বা ক্ষতি হয়, সেজন্য জখমের পট্টির উপর মাসেহ করাও জায়িয।
মাসয়ালা:
১. পট্টির উপর মাসেহ তখনই জায়িয হবে, যখন সেই ক্ষতস্থানের উপর মাসেহ করলে ক্ষতি বাকি অংশ পড়ুন...












