নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে না অনলাইন জুয়া-বেটিং-ক্যাসিনোন মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া কাজে আসছে না বিটিআরসির কলা-কৌশল
নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব, বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব (পর্ব-১)
, ২৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯, মে, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছে, অনলাইনে জুয়ার অ্যাপস শতভাগ বন্ধ করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবৈধ প্রোপাগান্ডা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর। যে কোন মূল্যে তা বন্ধ করতে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিকাশ ও নাগদসহ সব মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী; যেগুলো সমস্ত বেটিং ওয়েবসাইটের অর্থ আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয় তাদের গেটওয়ে এবং চ্যানেলগুলো বন্ধের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বিটিআরসিকে অবিলম্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশন; বিশেষ করে স্পোর্টস চ্যানেলসহ ডিজিটাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে বাজি ও জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এক সময়ে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হতো, তা থেকে হাউজি, লাইভ ক্যাসিনো হয়ে এখন ঘরে বসেই মিলছে জুয়ার আসর। হাতে কেবল একটা মোবাইল ফোন থাকলেই হলো। তাই কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না অনলাইন জুয়া। এক ধরনের কৌতূহল থেকে তরুণ প্রজন্ম আকৃষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন জুয়ার সাইটে। পাঁচ-দশ হাজার টাকার বিনিয়োগে শুরু করে লোভে পড়ে একপর্যায়ে খোয়াচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর জুয়ায় বিনিয়োগ থেকে কোটি কোটি টাকা পাঁচার হয়ে চলে যাচ্ছে বিদেশে। এদিকে শত শত সাইট বন্ধ এবং অপরাধী ধরা পড়ার পরও হাত বাড়ালেই মিলছে আরও অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্ম। উন্মুক্ত নেট দুনিয়া আর দেশের প্রচলিত আইনের মাঝে এর কোনো স্থায়ী সমাধান এখনও নেই সংশ্লিষ্টদের হাতে। দেশে নিষিদ্ধ বিভিন্ন ওয়েবসাইট আর অ্যাপসের মাধ্যমে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল, ক্রিকেট ও টেনিস খেলাসহ বিভিন্ন ম্যাচকে ঘিরে চলছে অনলাইন জুয়া খেলা। মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ডোমেইনের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন জুয়া খেলা যায়। ফেসবুক, ইউটিউবে ঢুকলেই মিলছে সেসব সাইট। জানা গেছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশে ২০১৯ সালে বন্ধ করা হয় অনলাইনে জুয়া খেলার ১৭৬টি সাইট। ২০২২ সালে এসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশে অনলাইনে জুয়া খেলার প্রবণতা বাড়ছে জানিয়ে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গত অক্টোবরে ৩৩১টি অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধ করে বিটিআরসির ডিজিটাল নিরাপত্তা সেল। সেলটির নিয়মিত নজরদারির অংশ হিসেবে এসব অবৈধ সাইট বন্ধ করা হয়। এছাড়া, আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সার্চ ইঞ্জিন ‘গুগল’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইন জুয়া বা বাজি সংক্রান্ত ১৫০টি গুগল অ্যাপস বন্ধের জন্য রিপোর্ট করা হলে এরইমধ্যে গুগল কর্তৃপক্ষ প্লে স্টোর থেকে ১৪টি অ্যাপস বন্ধ করেছে এবং অবশিষ্ট অ্যাপস বন্ধের জন্য যাচাই-বাছাইসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। একই সঙ্গে ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে জুয়া খেলার ওয়েবসাইট ও গুগল অ্যাপসের প্রচার এবং অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ায় এ ধরনের ২৭টি ফেসবুক লিংক, ৬৯টি ইউটিউব লিংক বন্ধের জন্য রিপোর্ট করা হয়। এর মধ্যে ১৭টি ফেসবুক লিংক ও ১৭টি ইউটিউব লিংক বন্ধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট লিংক বন্ধের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু এসবেও কোনো কাজ হচ্ছে না। গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের ডিসি মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেছে, এই বিষয়গুলো খুব সহজলভ্য হওয়ায় দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খোঁজখবর রাখছে। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছে, বাইরের সাইটগুলো সঠিকভাবে জুয়ার পেমেন্ট করে থাকে। বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠিত সাইট আছে তারা কিন্তু জুয়ার পেমেন্টগুলো করে না। লোকাল লোকদের বসিয়ে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করে একটা সুনির্দিষ্ট সময়ের পর তারা প্রাপ্তটা পায় না। অথবা তারা হারিয়ে ফেলে। প্রতিনিয়ত এসবের বিরুদ্ধে কাজ করছে গোয়েন্দারা। এরপরও ঘটছে জুয়ার বিস্তৃতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ জাতীয় জুয়ার সাইটগুলো নির্ণয় করার জন্য ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স খুব প্রয়োজন। ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের ডিসি মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেছে, সবাই মিলে যদি ঠিকভাবে এগুতে পারি এবং কালচারাল ও ঐতিহ্যগত বিষয়গুলো যদি জোরদার করতে পারি তাহলে এই প্রবণতাগুলো কমানো সম্ভব। জানা গেছে, উন্নত দেশেগুলোতে অনলাইন জুয়া বৈধ। বাংলাদেশে যেসব অনলাইন সাইট সেগুলোর প্রায় সব পরিচালিত হয় বিদেশ থেকে। বাংলাদেশে থাকে ছোট বড় এজেন্ট। জুয়ার এসব সাইটের অধিকাংশ পরিচালনা করা হচ্ছে রাশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে। বিদেশ থেকে পরিচালিত এসব সাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশের এজেন্টরা। লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস -এমএফএস। সবচেয়ে অবাক করা বিষয়- রাশিয়া থেকে পরিচালিত জুয়ার সাইট বেটউইনার ও ওয়ানএক্সবেট-সহ একাধিক সাইটে বাংলাদেশিদের লেনদেনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় যুক্ত। এ ছাড়া রয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমেও পেমেন্ট করার সুযোগ। ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় এসব সাইটে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মোবাইল ব্যাংকিং খাতে দেশে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩০। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশসহ মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৯ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন করেছে। আর ওই অর্থবছরে জাতীয় বাজেট পেশ করা হয় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, জাতীয় বাজেটের দেড় গুণের বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। শুধু গত জুনেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৯৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এদিকে বিটিআরসি বলছে, মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও অপরাধীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ডোমেইনের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন গেম বা জুয়ায় অংশগ্রহণ করে। এজন্য দেশে ও বিদেশে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলে নিবন্ধন করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কার্ড বা অন্য কোনো মাধ্যমে জমা দিয়ে জুয়ায় অংশ নিতে হয়। অনলাইন জুয়াড়িরা বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে।
মাত্র ২০ টাকা বিনিয়োগ করে হয়েছিলো লাখপতি। পরে সেই নেশায় পড়ে একের পর এক বিনিয়োগ করেছে। তবে, লাভের মুখ আর দেখা হয়নি। উল্টো লোকসান হয়েছে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। অনলাইনে জুয়া খেলার নেশায় পড়ে সব হারানো এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের জীবনের গল্প এটি।
শুধু সে নয়, জুয়ার নেশায় পড়ে নিঃস্ব হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। রাজধানী ঢাকার ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলে, দেশের নামকরা একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা শেষ করি। এরপর উচ্চ বেতনে বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে কাজ শুরু করি। হঠাৎ এক বন্ধুর মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলার বিষয়টি সামনে আসে। কৌতূহলবশত আমিও পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করি। পরে মাত্র ২০ টাকা দিয়ে খেলতে নেমে একবারে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পাই।
অবাধ তথ্য-প্রযুক্তির নেতিবাচক সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে গড়ে তোলা হয়েছে অপরাধের বিরাট এ সাম্রাজ্য। পদে পদে দেওয়া হচ্ছে লোভনীয় অফার। যেগুলো মূলত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে শুধু অর্থ নয়, নৈতিক স্খলনও ঘটছে অনেকের। বারংবার কঠোরতা দেখিয়েও নানা ফাঁকফোকর আর কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের তৎপরতায় শেষপর্যন্ত নীরব পরাজয়ের স্বীকার হতে হচ্ছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া), বেটিং (বাজি) আর ক্যাসিনো।
“পুরো বিষয়টি আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল। ধীরে ধীরে সেখানে আরও টাকা ইনভেস্ট করি। একপর্যায়ে মারাত্মকভাবে আসক্ত হয়ে পড়ি। জুয়ার অধিকাংশ খেলা হতো রাতে। ফলে আমি আমার অফিসের কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ি। একটা সময় আমি স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে দূরে সরে যাই। একইসঙ্গে অর্থকড়িও লস হতে থাকে। চাকরি চলে যায়। সবমিলিয়ে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা লস করি। কিন্তু এ আসক্তি থেকে কোনোভাবেই বের হতে পারছিলাম না। পরে পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় অনেক কষ্টে বের হয়ে আসতে পারি। তবে, ওই লস এখনও আমাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। ”
পরে সে যে তথ্য দেয়, তা আসলেই ভয়ংকর। বলেছে, “অনলাইন জুয়া দেশে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, তরুণ-তরুণীসহ অসংখ্য মানুষ এর পেছনে সময় দিচ্ছে, বিপুল অর্থ ব্যয় করছে। একপর্যায়ে তারা আমার মতো নিঃস্ব হচ্ছে। দিনদিন জুয়াড়িদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ”
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)