তাসাউফ চর্চা ছাড়া দ্বীন ইসলাম কায়েম সম্ভব না (২)
, ২৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৩ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০১ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) ইলমে তাছাউফ
অনায়াসেই প্রমাণিত হয় যে, বিজয়ের পিছনের কারিগর ছিলেন সুফী পীর মাশায়েখ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। উনাকে যারা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা সাহায্য করেন তারা হলেন, খানকাহর পীর সাহেব ও সুফী দরবেশদের ছাত্র শিষ্যরা। বর্তমান পরিভাষা অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী একটা শ্রেণী অতীতেও ছিল। তারা শার্ট-প্যান্ট পরা কোনো বুর্জোয়া প্রেতাত্মা ছিলেন না। তারা ছিলেন পীর মাশায়েখ সুফী দরবেশগণ।
সালতানাতে বাঙ্গালাহর শাহ সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ তিনিও সুফী পীর মাশায়েখ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ভালোবাসতেন। উনার জীবনীতে পাওয়া যায় তিনি যখনই কোনো অভিযানে বের হতেন, আশপাশে কোনো পীর ওলী মাশায়েখদের মাজার দরগাহ খানকা থাকলে সেখানে যেতেন। উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রাণ ছিল সুফী পীর মাশায়েখ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। মজনু শাহ চেরাগ শাহ উনারাই প্রমাণ হিশেবে যথেষ্ট।
যারা ইসলামের নামে রাজনীতি করে, তারা মুশরিকদের বলে- যত ইচ্ছা মূর্তি বানাও আমরা পাহারা দিব। আর সুফী পীর মাশায়েখ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ধরে ধরে অমুসলিমদের মুসলিম বানিয়ে ফেলেন। পার্থক্যটা এখানেই। উপমহাদেশে রাজনীতি করে দ্বীন ইসলাম প্রচার হয়নি। যদি এদেশে মুসলমানরা রাজনীতির মতো বিভেদীয়তত্ত্ব নিয়ে হাজির হতেন, তবে দ্বীন ইসলাম প্রচারে সাফল্য আসত না। উনারা নিয়ে আসছিলেন তাসাউফ । যা মানুষকে কুফর থেকে দ্বীন ইসলামের দিকে ডেকেছে। অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে এসেছে। উনারা প্রয়োজনে কুফফারদের মসনদে লাথি দিয়েছেন, ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন, ঈমান বিক্রি করেননি। আর ইসলামের নামে রাজনীতি করা নেতারা সকালে সমাজতন্ত্র ও বিকালে গণতন্ত্রের কাছে বিক্রি হয়। তারা ৯৮% মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করবে তো দূরের কথা নিজেদেরই রক্ষার হিম্মত ক্ষমতা তাদের নাই। দ্বীন ইসলাম কায়েমে রাজনীতি ব্যর্থ হবে, জরুরী তাসাউফ চর্চা ও পীর মাশায়েখদের সহবতে থেকে দিকনির্দেশনা নেয়া, সে অনুযায়ী কাজ করা। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
-আছেমী নামদার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত মুর্শিদ বা শায়েখ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার ক্ষেত্রে সন্তানের জন্য পিতা-মাতা উনাদের এবং স্ত্রীর জন্য স্বামীর বাধা গ্রহণযোগ্য নয়
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
তাসাউফ চর্চা ছাড়া দ্বীন ইসলাম কায়েম সম্ভব না (১)
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩১)
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতা জীবিত থাকতেই মুর্শিদ বা শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হওয়া উচিত
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পিতা-মাতা জীবিত থাকতেই মুর্শিদ বা শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হওয়া উচিত
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পিতা-মাতা জীবিত থাকতেই মুর্শিদ বা শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হওয়া উচিত
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র দশ লতিফা উনাদের বিবরণ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একজন কামিল মুর্শিদ বা শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয (২)
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৩১)
৩০ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খিলাফত, খলীফা, পীর বা মুর্শিদ, গদীনশীন পীর বা মুর্শিদ পরিভাষার ব্যাখ্যা
২৯ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাওউফ উনাদের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
২৮ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
একজন কামিল মুর্শিদ বা শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয
২৬ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)