মন্তব্য কলাম
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফও বেশি বেশি করতে হবে।
, ১৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০১ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
বিষয়গুলো পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আলোচিত হচ্ছে না। হচ্ছে ‘পারিবারিক বন্ধন ভঙ্গ’, ‘মূল্যবোধের অবক্ষয়’, সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট ইত্যাদি শিরোনামে। অনেকটা ধর্মনিরপেক্ষ স্টাইলে আলোচনা যা হচ্ছে, তার সমাধান বলতে হাক্বীক্বতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার খুব কাছাকাছি যাওয়া হচ্ছে। এক কথায় এসব সমস্যার ক্ষেত্রে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে বর্ণিত পর্দার প্রচলনের কথা বললে সব সমাধানই এসে যায়।
প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়, ছাপার বক্তব্যে অথবা টকশোতে জোরালোভাবেই আলোচনা এসেছে- মাদক, এনার্জি ড্রিংক, পর্নো- এগুলো নিয়ে জনতার একটা বড় অংশ শুধু বেশামাল নয়; উন্মাতাল হয়ে উঠছে। শিশু-কিশোররা ডিজে-পার্টিতে যোগদান করছে। রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাসসহ শুধু সব অভিজাত মার্কেটই নয়; রাজধানীর অলি-গলিতেও হাজারো নামের পর্নোসিডি বিক্রি হচ্ছে। স্কুলের কোমলমতি কিশোররা ৩০/৪০ টাকায় পেনড্রাইভে ডাউনলোড করে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১’র খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিসভা অনুমোদিত আইনে পর্নোগ্রাফি বহন, বিনিময়, মুঠোফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা, বিক্রি ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আইনে শাস্তি ও জরিমানার বিধানসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে বাদীর শাস্তির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। কিন্তু আইন অনুমোদনকারী মন্ত্রিসভায় উল্লেখ করেছে সমাজে পর্নোগ্রাফি ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
বলাবাহুল্য, আইন করে এ পর্নোগ্রাফি এবং মাদকের বিন্দুমাত্র রোধ করতে পারেনি সরকার। মূলত সরকারই পর্নোগ্রাফি ও মাদকের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সরকারের সেন্সরশীপের পরও বিলবোর্ড, সিনেমা, নাটক, মুভি তথা পেপার-পত্রিকায় যেসব সুন্দরী ও বিবস্ত্রপ্রায় নারীর অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গীমা চিত্রিত হয়। তাই দেখে শিশু-কিশোরসহ বয়স্করা পর্নোগ্রাফির পূর্ণ ছবক পায়। এরপর হাত বাড়ালেই মেলে আসল পর্নোগ্রাফি।
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে সরকারের লোকবল এমনিতেই নগণ্য। আর দু’-চারজন যা আছে, তারাই পর্নোগ্রাফি ও দুর্নীতি দুটোতেই আসক্ত। সুতরাং সরকারের মন্ত্রিসভার নছীহত আর খোঁড়া আইনের কথা বলে পর্নোগ্রাফি ও মাদক কোনোটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। পর্নোগ্রাফিসহ বর্তমান সংস্কৃতিতে মানুষ আশে-পাশে তাকালেই বহু সুন্দরী মেয়েলোক দেখে। অপরদিকে নারীরা দেখে পুরুষ। উভয়ের মাঝেই জেগে উঠে কামুক প্রবৃত্তি। এর অবসান কিভাবে হবে?
মূলত, কাফির-মুশরিকরা বহু আগেই খুব সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রে ও কৌশলে শেষ রহমতটুকুও উঠিয়ে নিয়েছে। কাফিররা খুব কৌশলে ও ঘৃণাভরে প্রচার করেছে, ‘মৌলভী সাহেবরা বিজ্ঞানের কথা বাদ দিয়ে শুধু হুর-গেলমানের ওয়াজ করে। দুনিয়াবী কাজের কথা বাদ দিয়ে শুধু বেহেশতে যাওয়ার কথা বলে। ”
বলাবাহুল্য, বেহেশতের হুর-গেলমানের যে বর্ণনা আছে, তা ফিকির করে একজন মানুষ তার চারপাশের সুন্দরী মেয়েলোকের কথা ভুলে থাকতে উৎসাহ পেতো। না তাকানোর শক্তি পেতো। অশ্লীল চিন্তা ও পথ পরিহার করার ক্ষমতা পেতো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোযা পালনকারী পুরুষ ও রোযা পালনকারী নারী, ইজ্জত-সম্ভ্রম হিফাযতকারী পুরুষ ও ইজ্জত-সম্ভ্রম হিফাযতকারী নারী এবং যিকিরকারী পুরুষ ও যিকিরকারী নারীদের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। ” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “বেহেশতে থাকবে আনত-নয়না হুরগণ। যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নহর। ”
তাফসীরে লেখা হয়- বেহেশতের কোনো হুরের দেহের এক বিন্দু যদি দুনিয়াতে প্রকাশ পেতো, তাহলে গোটা দুনিয়া ঝলমল করে উঠতো। তাফসীরে বেহেশতের হুরদের যে ভুবন ভুলানো সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে, তার আশায় খুব সহজেই সাধারণ মানুষ এ গোটা জিন্দেগীর বেপর্দাগিরি ছেড়ে দিতে পারে। অনেক বড় কিছুর এবং বিশেষত অনন্তকালের সুখের আশায় কদর্যময় দুনিয়ার কিঞ্চিত কণ্টকযুক্ত সুখ ছেড়ে দেয়া সম্ভব।
অপরদিকে পর-নারীর দিকে তাকালে দোযখে যে আগুনের নারী তৈরি হবে, তারা ব্যভিচারকারীদের একান্তবাসে বাধ্য করবে, তখন তাদের আগুনের দেহের চাপে সে জ্বলে পুড়ে ছারখার হবে। এই তথ্যেরও প্রচার দরকার। এই তথ্য যেমন অনিবার্য সত্য। তেমনি আগুনের নারীর একান্তবাসে ভীত হয়ে প্রতিটি মুসলমান আমল করতে বাধ্য।
মূলত, এসব তথ্য জ্ঞাপন করেছেন আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মাহকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু উম্মাহ যে সতর্কতার পথে না গিয়ে- পরকীয়া, লিভ টুগেদার, সংস্কৃতিমনা, প্রগতিশীল ইত্যাদি শব্দের স্রোতে ভেসে চলছে। পারিবারিক বন্ধন থেকে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করতে চাইছে। তাই তাদেরকে তাজদীদ করে পুনরায় সতর্ক করতে চাইছেন; বেহেশতের সুখ-শান্তি, দোযখের আযাবের কথা জানাতে চাইছেন যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি। তিনি বলছেন, ছবি তোলা হারাম, পর্দা পালন করা ফরয।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চলচ্চিত্র নামক জাহান্নামী সংস্কৃতির ফাঁদে মুসলিম উম্মাহ। নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটছে ইসলামোফোবিয়ার। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)