হঠাৎ দেখা গেলো, সেই দেশের সাথে তার প্রতিবেশী দেশের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যখন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো তখন ইবলিস সুযোগ খুঁজতে লাগলো। এর মাধ্যম দিয়ে তাকে কব্জা করা যায় কি-না, কাবু করা যায় কি-না। ইবলিস সেই সুযোগ তালাশ করতে করতে ধোঁকা দেয়ার একটা পথ সে পেয়ে গেলো।
তা হলো, সেই আবেদের প্রতিবেশীদের মধ্যে নিকটবর্তী এলাকায় দুই ভাই ছিলো। যাদের এক বোন ছিলো। তাদের অবস্থা স্বচ্ছল ছিলো। তারাও মোটামুটি পরহেজগার ছিলো। ইবলিস গিয়ে তাদেরকে ওয়াস্ওয়াসা দিলো, “তোমরা এক কাজ করো, জিহাদ শুরু হয়ে গেছে, তোমরা জিহাদে অংশগ্রহণ করো। অনেক ফযীলত রয়েছে এর মধ্যে। এতে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ
অর্থ: “আর যদি তোমরা ভয় করো যে, ইয়াতীম মেয়েদের হক্ব যথাযথভাবে পূরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভালো লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। ” (সূরা নিসা: আয়াত শরীফ ৩)
এবার জানা দরকার ইয়াতীম কাকে বলে, লিসানুল আরব অভিধানে ইয়াতীমের সংজ্ঞায় বর্ণিত আছে-
اليتيم: الذي يموت أبوه حتى يبلغ الحلم، فإذا بلغ زال عنه اسم اليتيم، واليتيمة ما لم تتزوج، فإذا تزوجت زا বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনেক সময় বলতেন, তিন কারণে মানুষ ধ্বংস হয়- (ক) অহংকার, (খ) লোভ এবং (গ) হিংসা। নাউযুবিল্লাহ!
তিনি বলেন, (ক) অহংকারের কারণে মানুষের দ্বীনি অনুভূতি বিনষ্ট হয়, এ কারণেই ইবলিস অভিশপ্ত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
(খ) লোভ হচ্ছে নফসের দুশমন। যে কারণে ইবলিস পবিত্র জান্নাত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
(গ) আর হিংসা পাপীদের গোয়েন্দা, এ কারণেই কাবিল সে হযরত হাবিল আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে। বাকি অংশ পড়ুন...
মূল বিষয় হলো যে, মহিলাদের মধ্যে খারাবী রয়েছে কখন? যদি মহিলা বেশরা, বিদ্য়াত, বেপর্দা, বেহায়া হয়, স্বামীর অবাধ্য হয় তখন তার মধ্যে খারাবী রয়েছে। তার মধ্যে কোন বরকত-খায়ের থাকবে না। রহমত সাকীনাহ্ তার জন্য নাযিল হবে না। তখন তার জন্য খারাবী রয়েছে। আর ঐ ঘর-বাড়ীতে খারাবী রয়েছে যে ঘর-বাড়ী স্বাস্থ্যের অনুপযুক্ত। যেখানে মানুষ বসবাস করলে নানা রকম ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, ওয়াস্ওয়াসার সৃষ্টি হয়, জ্বিন-পরীর তাছীর রয়েছে, ক্রিয়া রয়েছে, যার পরিবেশ খারাপ।
যেটা হাদীছ শরীফে এসেছে, اَلْجَارُ قَبْلَ الدَّارِ ঘর করার পূর্বে প্রতিবেশী দেখতে হবে। প্রতিবেশী যদি তার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আর যখন আমি বললাম, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা জ্বিনসহ আমার যিনি খলীফা, আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা করুন। সকলেই সিজদা করলো। কিন্তু সে (ইবলীস) অস্বীকার করলো, অহংকার করলো, সে সিজদা করলো না। যার কারণে সে কাফির হয়ে গেলো। নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)
উল্লেখ্য, ইবলীস একটি আদেশ মুবারক অমান্য করার কারণে যদি সবচেয়ে ব বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-
إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ لَمَّا أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنِ الْقَوْمُ أَوْ مَنِ الْوَفْدُ قَالُوْا رَبِيْعَةُ قَالَ مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ أَوْ بِالْوَفْدِ غَيْرَ خَزَايَا وَلَا نَدَامَى فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّا لَا نَسْتَطِيْعُ أَنْ نَأْتِيَكَ إِلاَّ فِيْ شَهْرِ الْحَرَامِ وَبَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَىُّ مِنْ كُفَّارِ مُضَرَ فَمُرْنَا بِأَمْرٍ فَصْلٍ نُخْبِرْ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا وَنَدْخُلْ بِهِ الْجَنَّةَ وَسَأَلُوْهُ عَنِ الأَشْرِبَةِ فَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ أَمَرَهُمْ بِالإِيْمَانِ بِاللهِ وَحْدَهُ قَالَ أَتَدْرُوْنَ বাকি অংশ পড়ুন...
অজু ভঙ্গের কারণসমূহ১. পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা হতে কিছু বের হলে, যথা- বাহ্য, প্রশ্রাব, মনি, মজি, ওদি, পাথরী, বায়ু, কিড়া প্রভৃতি।
২. গুহ্যদ্বারে পিচকারী বা অঙ্গুলি প্রবেশ করে বের করতঃ পিচকারী ও অঙ্গুলির অগ্রভাগ ভিজা দেখতে পেলে অজু ভঙ্গ হবে।
৩. শরীরের কোনো স্থান হতে রক্ত, পুঁজ, বদ রস প্রভৃতি এ পরিমাণ নির্গত হয় যে, ক্ষতস্থান হতে গড়িয়ে যায়, না গড়ালে অজু ভঙ্গ হবে না।
৪. স্ত্রী লোকের সন্তান প্রসবের পর রক্তস্রাব না হলেও অজু ভঙ্গ হবে। হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে এ অবস্থায় গোসলও ফরয হবে।
৫. কর্ণদ্বয়, নাসিকা, নাভিস্থান ও স বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ.
আমার পরে মহিলা ফিতনা (পরীক্ষা) পুরুষদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
মূলত, বেপর্দার কারণেই মহিলারা আজ মান, সম্মান, ইজ্জত হারাচ্ছে ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে নিত্য-নতুন ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা। নাউযুবিল্লাহ!
বাকি অংশ পড়ুন...
এখন এই হাদীছ শরীফে আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কতটুকু সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন? যদিও মুফাস্সিরীনে কিরাম, মুহাদ্দিছীনে কিরামগণ এ হাদীছ শরীফ নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বর্ণনা করেছেন। বিশেষ করে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের জন্য আলাদা হুকুম-আহ্কাম। এরপরেও যারা মুত্তাক্বী-পরহিযগার হবে, তাক্বওয়া অবলম্বন করবে, উনাদের জন্য সে একই হুকুম রয়েছে। সতর্ক থাকতে হবে যেন পরপুরুষকে সে দেখবেনা ঠিক পরপুরুষও তাকে যেন না দেখে।
অনুরূপ একই হুকুম তার উপর বর্তাবে। সে অবস্থা বাকি অংশ পড়ুন...












