ইবলিস তার আসা-যাওয়া জারি রেখেছে।
সে বললো, অসুবিধার কি রয়েছে, এখানে তো আর কেউ নেই, আর তুমি আবেদ, তোমার সামনে এসেই খাদ্য দিবে, অসুবিধার কি কারণ? অসুবিধা নেই, সে তোমার মেয়ের মত থাকবে, অসুবিধা কি? বলে, হালকা পর্দার খেলাফ সে করলো।
আস্তে আস্তে সে ভিতরে এসে খাদ্য পৌঁছাতো। পৌঁছাতে পৌঁছাতে এমন এক অবস্থায় পৌঁছলো, অবৈধ সম্পর্ক হয়ে গেলো। নাউযুবিল্লাহ!
এদিকে তো দু’ভাই তারা জিহাদে চলে গেছে। অবৈধ সম্পর্ক হয়ে শেষ পর্যন্ত অবৈধভাবে সেই মেয়ের একটা সন্তান হয়ে গেলো।
যখন সন্তান হয়ে গেলো। ইবলিস এসে বললো, ‘তুমি কি করেছো? সর্বনাশ করেছো? জিহাদ তো প্রা বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলার যমীনে গরু যবেহকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের আগমন ও জিহাদ:
১. ১১৭৮ সালে তৎকালীন আরব থেকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই বাংলায় আসেন সুফি বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। বিক্রমপুরে তখন কথিত শাসক বল্লাল সেনের শাসন চলছিলো, সে সময় তিনি উনার অনুসারীদের নিয়ে এক কুরবানীর ঈদে গরু যবেহ করেন। এই কথা পৌঁছে যায় কথিত শাসক বল্লাল সেনের কাছে। সে রাগান্বিত হয়ে হামলা করে সুফি বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফে এবং উনাকে শহীদ করে। কিন্তু সে সময় যুদ্ধের নমুনা এমন ছিলো যে কথিত শাসক বল্লাল সেনের পরিবার মনে করে সে বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- বেহেশতের দরজায় লেখা রয়েছে-
اَلدَّيُّوثُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ
অর্থ: দাইয়ূছ অর্থাৎ যে পুরুষ কিংবা মহিলা নিজে পর্দা করে না এবং তার অধিনস্থদেরকে পর্দা করায় না সে বেহেশতে প্রবেশ করবে না। (মুসনাদে আহমদ)
বাকি অংশ পড়ুন...
আর আবেদকে বললো, “যেহেতু তারা জিহাদে যাবে, তুমি তো আর জিহাদে যেতে পারতেছো না। তাহলে তাদেরকে যদি তুমি সহযোগিতা করো, তুমিও জিহাদের ছওয়াব পাবে।
অর্থাৎ একদিকে তুমি জিহাদেরও ছওয়াব পাবে, অন্য দিকে ইবাদত-বন্দেগীও করতে পারবে, বেশী বেশী করতে পারবে। তাদের সহযোগিতা করা হলে অনেক ফযীলত তুমি পাবে। ” ইত্যাদি ইত্যাদি উভয়কে অনেক ওয়াস্ওয়াসা দিয়ে, অনেক প্রতারণা করে ভুলিয়ে ফেললো সে। শেষ পর্যন্ত তারা ফায়সালা করলো, ঠিক আছে, তাদের সে বোনকে এখানে রেখে যাবে। একটা আলাদা ঘর রয়েছে, সেখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, ওযূ-ইস্তিঞ্জার ব্যবস্থা রয়েছে, ইবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَدَّ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُمْ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِنْ عِنْدِ أَنْفُسِهِمْ
অর্থ: আহলে কিতাব তথা ইহুদী-নাছারাদের অনেকেই হিংসামূলক মনোভাবের কারণে আকাঙ্খা করে যে, ঈমান আনার পর আবার তোমরা কাফির হও। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৯)
বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
এ প্রসঙ্গে হযরত শায়েখ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
پسر نوح بابداں بنشست+ خاندان نبوتش گم شد
سگ اصحاب کھف روزے چند+ پئے نیگاں گرفت مردم شد
অর্থ: হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান, খারাপ লোকদের ছোহবতে থাকার কারণে নুবুওওয়াতী খান্দানের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামী হলো। আর আছহাবে কাহাফ উনাদের কুকুর নেককার লোক উনাদের ছোহবত মুবারক-এ থাকার কারণে মানুষের ছূরতে জান্নাতী হবে। সুবহানাল্লাহ! (গুলিস্তাঁ)
অর্থাৎ হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান কাফিরদের ছোহ্বতে থাকার কারণে নুবুওওয়াতী খান্দান হারিয়ে বেঈমান হয়ে মারা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ سَعِيدِ بْنِ أَبِى الْحَسَنِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَقَالَ إِنِّى رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ فَأَفْتِنِى فِيهَا. فَقَالَ لَهُ اُدْنُ مِنِّى. فَدَنَا مِنْهُ ثُمَّ قَالَ اُدْنُ مِنِّى. فَدَنَا حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ أُنَبِّئُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِى جَهَنَّمَ. وَقَالَ إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لاَ نَفْسَ لَهُ.
অর্থ: হযরত সাঈদ রদ্বিয়া বাকি অংশ পড়ুন...
খুব সূক্ষ্ম শয়তানের তা’ছীর অর্থাৎ শয়তানের ওয়াস্ওয়াসা খুব সূক্ষ্ম। সে তাকে বলতে লাগলো, “তুমি যে নিজে পাক-শাক করে খাও, তোমার তো অনেক সময় ব্যয় হয়ে যায়। তুমি এক কাজ করো, একজন লোক রেখে নাও, যে তোমাকে পাক-শাক করে দিবে, তোমার সময় বেঁচে যাবে, তুমি বেশী বেশী ইবাদত-বন্দেগী করতে পারবে।”
আবেদের ইলিমের কিছু অভাব রয়েছে। সে মনে মনে চিন্তা করলো, ব্যাপারটা তো খারাপ নয়, ভাল। তুমি তো আমাকে ভাল বুদ্ধি দিয়েছো, তাহলে লোক পাবো কোথায়?
ইবলিস বললো, ‘ঠিক আছে আমি দেখি লোক পাওয়া যায় কি-না।’
এটা বলে সে আবার সেই দুই ভাইয়ের কাছে গেলো, গিয়ে বললো “দেখো, আমি তো তার সাথে আ বাকি অংশ পড়ুন...
মরদূদ দরবেশ বালয়াম বিন বাউরা তিনশত বছর ইবাদত করেছিলো। চোখ বন্ধ করলে সিদরাতুল মুনতাহা থেকে তাহ তাছ্ছারা পর্যন্ত সবকিছু দেখতে পেতো। তার সমস্ত দোয়া কবুল করা হতো। কিন্তু হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে বেয়াদবী করার কারণে ৩০০ বছর পর সেও গোমরাহ হয়ে গেলো। তার সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ
অর্থ: আর আপনি তাদের নিকট বর্ণনা করুন, সে লোকের অবস্থা, যাকে আমি নিজের নিদর্শনসমূহ দান করেছিলাম, অথচ সে তা পরিহার করে বেরিয়ে গেছে। আর তার বাকি অংশ পড়ুন...
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রিযামন্দি সন্তুষ্টি মুবারক লাভের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান-ছদক্বা করা। ইবাদতসমূহ উনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দান-ছদক্বা করা। পবিত্র দ্বীন ইসলামে দান-ছদক্বার ফযীলত ও গুরুত্ব অপরিসীম।
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً وَاللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْسُطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
অর্থ: “তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে মহান আল্লাহ পাক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের
আলোকে দুয়া বা মুনাজাত শরীফ উনার গুরুত্ব
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
عن حَضْرَةْ ابى هريرة رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عن النبى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال ليس شيئ اكرم على الله من الدعاء
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দুয়া অপেক্ষা কোন জিনিসই অধিক মর্যাদাশীল বা সম্মানিত নয়। ” (তিরমিযী শরীফ ২য় খ- বাকি অংশ পড়ুন...












