কারামতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
, ০৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৩সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
২। ২০০৯ সালের ঘটনা, রাজশাহীর একজন পীরবোনের বাবা ফাস্ট ফুডের ব্যবসা করতেন। ফাস্ট ফুডের কারখানা উনাদের বাসার সাথেই ছিলো। সেখানে বড় বড় কড়াইয়ে ফাস্ট ফুড ভাজা হতো। উক্ত পীরবোনের বয়স তখন ৪ কিংবা ৫ বছর হবে। একদিন বেলা প্রায় দশটা বাজে কারখানার কাজ শষে করে উনার বাবা ফাস্ট ফুড সাপ্লাই এর জন্য বাহিরে যান। এর ৫ মিনিটের মাথায় উনার মা কোনো একটা কাজের জন্য কারখানায় প্রবেশ করেন। চুলার ওপর তখন বড় বড় কড়াইয়ে টগবগে গরম তেল ছিলো। উনার মা সেখানে গিয়ে হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। এবং তাল সামলাতে না পারায় উনার বাম হাত সেই গরম তেলের মধ্যে পড়ে। হাতটা গরম তেল থেকে তোলার সাথে সাথে হাতের কব্জি র্পযন্ত কঠিনভাবে ফোসকা পড়ে প্রায় গলন্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়। অসহনীয় ব্যথা ও যন্ত্রণা নিয়ে ডাক্তার দেখানো হয়। ডাক্তার বলেন, "খুব খারাপ অবস্থা হাতের আঙুল সবসময় নড়াচড়া করতে হবে, না হয় আঙুলগুলো একটির সাথে অপরটি জোড়া লেগে যাবে। আর জোড়া লাগার মতো অবস্থা সৃষ্টি হলে অপারেশন করতে হবে। তারপর কিছু ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করা হয়। ডাক্তারের কথামতো ওষুধ সেবন করা হয় এবং আঙুলও নড়াচড়া করার চেষ্টা করা হয়, যদিও ব্যথায় আঙুল নাড়াতে প্রচুর কষ্ট হতো। পীরবোন বলেন, “বাম হাতের কব্জি পর্যন্ত সর্ম্পূণ কালো হয়ে গিয়েছিলো। আর কী যে অসহ্য যন্ত্রণা! ভাষায় প্রকাশের মত না। রাতের বেলায় মাকে যন্ত্রণায় কান্না করতে দেখতাম। এর কিছুদিন পর মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষ্যে পীরবোন উনার মাকে নিয়ে পবিত্র দরবার শরীফে আসেন। মাহফিলের পর পীরবোনের মা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে বিদায় নিতে যান। ক্বদমবুছি করার সময় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি জিজ্ঞাসা করেন, "তোমার কী চাই?" তিনি কিছুই বলতে পারেন না। শুধু বলেন, "দোয়া মুবারক চাই"। উনার দুই হাত তখনও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ক্বদম মুবারক উনার ওপর ছিলো। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি পীরবোনের হাতের দিকে দৃষ্টি মুবারক দেন। তারপর বলেন, "আচ্ছা, যাও!" কি আর্শ্চয ঘটনা!! পবিত্র দরবার শরীফ থেকে বাসায় আসার পর কিছুদিনের মধ্যেই হাতের কালো চামড়া পড়ে গিয়ে নতুন চামড়া তৈরি হয়। উনার মা প্রতিদিন বলেন, "দরবার শরীফ থেকে আসার পর থেকে খুব ইতমনিান পাচ্ছি। প্রতিদিন যেন ইতমিনান আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।" মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই সমস্ত হাতটি ভালো হয়ে যায়! সুবহানাল্লাহ! একসপ্তাহ পরে কারো আলাদা করারই ক্ষমতা থাকে না যে কোন হাতটা পুড়ছেলি! অথচ আমরা জানি, পোড়ার দাগ কখনোই বিলীন হয়না, সারাজীবন থেকে যায়। উক্ত পীরবোনের হাত কব্জি র্পযন্ত পুড়ে গেেলা অথচ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নেকদৃষ্টির কারনে তা মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সর্ম্পূণ ভালো হয়ে গেলো! যারা উনার সেই হাত পোড়া অবস্থায় দেখেছিলেন তারাই পরর্বতীতে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, "আপা, আপনার না হাত পুড়েছিলো? কোন হাতটা পুড়েছিলো!?" এমনকি উনার আম্মা নিজেই দ্বিধা-দন্ধে পড়ে যান, আসলেই উনার হাত পুড়েছিলো কিনা! সুবহানাল্লাহ!
৩। সবুজবাগের একজন পীরবোন বলেন, প্রত্যেক মানুষেরই রোগ-শোক, অসুখ-বিসুখ রয়েছে। কিছু কিছু রোগ লম্বা সময় ধরে বহণ করতে হয় আবার কিছু অল্প দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। এলার্জি এমন রোগ যা কিনা দীর্ঘ মেয়াদি, খুবই কষ্টকর ও অসহনীয় একটি রোগ। এলার্জি নেই এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। এলার্জির অনেকগুলো ধরণ আছে। উক্ত পীরবোনের মুখে এলার্জি হয় এবং তা কঠিন আকার ধারন করে। পুরো মুখ ফুলে লাল হয়ে যায়। চামড়া পুড়ে গেলে যেমন দেখায় ঠিক সেরকম হয়ে গিয়েছিলো। একই সময়ে পীরবোনের মেয়েরও একই সমস্যা হয়। দেশের অনেক বড় বড় স্কিন স্পেশালিষ্ট ডাক্তার নিয়মিত দেখানো হয়। ব্লাড টেষ্ট, স্কিন টেষ্ট সহ আরো অনেক ধরণের টেষ্ট করানো হয়। ডাক্তার যা যা করতে বলে সবই করা হয়, দীর্ঘ মেয়াদী ঔষধ সেবন করা হয়। ঔষধ খাওয়ার পর কিছুদিন মনে হতো যে ভালো হয়ে যাচ্ছে, এরপর আবার একই অবস্থায় ফিরে যেতো। উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট থেকে দোয়া মুবারক নিতেন, ফুঁ মুবারক নিতেন যার কারনে সহনীয় থাকতো। বলা বাহুল্য, যারা উনার কাছে আসেন, দোয়া চান, পরামর্শ চান, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সবাইকেই দোয়া ও সুপরামর্শ মুবারক দান করেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত পীরবোনকে যয়তুন তেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে যয়তুনের তেল পড়িয়ে নিয়ে যান। এলার্জির জায়গায় উক্ত পড়া তেল ব্যবহার করার পর কিছুটা ভাল হয় কিন্তু তখনও পুরোপুরি সারেনি। একদিন বিশেষ মাহফিলের পূর্বে উক্ত পীরবোনকে অন্য একজন পীরবোন বলেন, “এত দায়েমী সোহবত মুবারকে থেকেও আপনাদের এলার্জি ভাল হয়না?” তখন উক্ত পীরবোন ফিকির করেন, আসলেইতো! প্রতিনিয়ত এত অসংখ্য কারামত মুবারক অবলোকন করি। অনেকে এসে দোয়া মুবারক নিয়ে, ফুঁ মুবারক নিয়ে, দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পায়, অসংখ্য সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তা হলে সামান্য এলার্জি ভাল হবে না? নিশ্চয়ই আমিই চাওয়ার মত চাইতে পারিনি! এরপর উক্ত পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকটে বিস্তারিত সব কিছু জানিয়ে খাছভাবে দোয়া মুবারক চান। এর কিছু দিনের মধ্যেই উক্ত পীরবোন ও উনার মেয়ের মুখের কঠিনতম এলার্জি ভাল হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! এত এত ডাক্তার দেখানোর পরও, এতো ঔষধ সেবনের পরও ভালো না হওয়ায় শেষে উনারা ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দোয়া মুবারকের বদৌলতেই কঠিন দুরারোগ্য থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের হিফাযত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
৪। কুড়িগ্রামের একজন পীরবোনের প্রথম সন্তান সিজারে হয়। তারপর তিনি যখন দ্বিতীয় সন্তান কনসিভ করেন তখন উনার পরিবারের সকলে দ্বিতীয় সিজারের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কেননা, সবাই জানতো যে, প্রথম সন্তান যদি সিজারে হয় তাহলে পরবর্তী সন্তানগুলোও সিজারেই হয়। কিন্তু পীরবোনের অদম্য ইচ্ছা ছিলো তিনি সিজার করাবেন না। সেজন্য উক্ত পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে খাছভাবে নরমালে ডেলিভারীর জন্য দোয়া মুবারক চান। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত পীরবোনকে তাবিজ দিয়ে তা ব্যবহার করতে বলেন। অতঃপর যখন বাচ্চা ডেলিভারী হওয়ার সময় হয় তখন যথারীতি ওটি রেডি করে উনাকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। উক্ত পীরবোন তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দিকে পরিপূর্ণভাবে রুজু হয়ে যান। উনার বিশ্বাস ছিলো সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উছিলায় অবশ্যই নরমাল ডেলিভারীই হবে। কেননা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দেয়া তাবীজটি উনার সাথেই ছিল। এদিকে অপারেশনের পুরো প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ডাক্তার এসে এনেসথেশিয়া দিবে এমন অবস্থায় উক্ত পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক স্মরণ করে “ইয়া আম্মাজী ক্বিবলা শাইয়ান লিল্লাহ” বলে শেষ বারের মত প্রেশার দেওয়ার সাথে সাথেই নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমেই উনার বাচ্চা জন্ম নেয়। সুবহানাল্লাহ!
৫। গোড়ানের একজন পীরবোনের তল পেটে সিস্ট হয়েছিলো, দেখতে একটা ফুটবলের মতো বড়। তিনি হাসপাতালে গিয়ে মহিলা গাইনী ডাক্তার দেখান। ডাক্তার টেষ্ট করে অপারেশনের কথা বলে। অপারেশন না করলে হবে না কারণ সেটা অনেক বড় হয়ে গিয়েছিলো। যে কোন সময় ব্লাষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ব্লাস্ট হলে জীবন নাশের আশঙ্কা রয়েছে। আবার বেশি দিন থাকলে ক্যান্সারেরও সম্ভাবনা রয়েছে। উক্ত পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার খিদমতে উপস্থিত হয়ে পুরো বিষয়টি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানিয়ে বলেন, “আম্মাজী! আমি অপারেশন করতে চাই না। আমার বাঁচা-মরা আপনার হাতে। আপনি চাইলে বাঁচাতে পারেন আবার চাইলে মারতেও পারেন।” সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত বিষয় শুনে জিজ্ঞাসা করলেন, ব্যথা আছে কিনা? ব্যথা নাই জানানো হলে তিনি বলেন, “অপারেশন করা লাগবে না।” উক্ত পীরবোন বাসায় গিয়ে উনার ছেলেকে বললেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেছেন “অপারেশন করা লাগবে না।” কিন্তু এরপর উনার পেট ব্যথা শুরু হয়, শরীরে পানি এসে পরে, পেট ফুলে যায়। ব্যথা নিয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় উনার তন্দ্রাভাব আসে। তিনি দেখেন, বড় একটা ময়দানে কালো পোষাক পরিহিত চারজন চারপাশ থেকে উনার নিকট আসেন। উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনিও ছিলেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত পীরবোনের নিকট এগিয়ে এসে বলেন যে, “তোমার অপারেশন হয়ে গেছে, আর লাগবে না।” এরপর পরই সাদা পোষাক পরিহিত ঝাঁকে ঝাঁকে কিছু মানুষ এসে উক্ত পীরবোনকে বলতে থাকেন, ‘আপনি মীলাদ শরীফ পাঠ করুন’। কিন্তু উক্ত পীরবোন মীলাদ শরীফ পাঠ জানতেন না বিধায় সেই অবস্থায়ই জোরে জোরে উনার বড় ছেলের নাম ধরে ডেকে মীলাদ শরীফ পাঠ করার কথা বলেন কিন্তু ছোট ছেলে জানায় সে ঘরে নেই। তাই তিনি নিজেই মীলাদ শরীফে পঠিত দরূদ শরীফ পাঠ করেন। অতঃপর সাদা পোষাক পরিহিতরা খুশি হয়ে চলে যান। উনার তন্দ্রাভাব কাটলে তিনি পেটে হাত দিয়ে দেখেন উনার পেটের সেই ফোলা স্থান নেমে গিয়েছে, ব্যথাও ভালো হয়ে গিয়েছে, শরীরের পানিও নেমে গিয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
৬। শান্তিবাগের একজন পীরবোনের ৩য় বাচ্চা ভুমিষ্ট হওয়ার ২দিন পর থেকে উনার প্রচন্ড জ্বর হয়, জ্বর কিছুতেই কমছিল না। জ্বর অনেক দিন থাকার কারনে তিনি ডাক্তার দেখান। প্রায় একমাস পর উনার টি.বি. ধরা পড়ে যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ডাক্তার বলেছে, ফুসফুস ফুটো হয়ে গিয়েছে। অপারেশন ছাড়া ঠিক হবে না। দেশ-বিদেশের অনেক কনসালটেন্টের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রত্যেকেই একই কথা বলে যে, অপারেশন ছাড়া কোনভাবেই ঠিক হবে না। তিনি বিষয়টি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে জানিয়ে দোয়া মুবারক নেন এবং বলেন যে, উনার বুক ব্যথা করে, খুব কষ্ট হয়। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি পরামর্শ মুবারক দেন, কষ্ট হলে “ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” দরুদ শরীফ পড়ো, এতে কষ্ট লাঘব হবে।” মুবারক নির্দেশ মুতাবিক উক্ত পীরবোন দরুদ শরীফ পাঠ করলে উনার কষ্ট লাঘব হয়। এরপর উনার যখন যে অবস্থা হতো, প্রতিনিয়তই উনার বড় বোন তার সবই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানিয়ে দোয়া মুবারক নিতেন। আর প্রতিবারই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলতেন, ‘ঠিক হয়ে যাবে ইনশা’আল্লাহ!’ উক্ত পীরবোন সাড়ে পাঁচ মাস পর্যন্ত কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। এরপরও শারীরিক তেমন কোন উন্নতি দেখা যায়নি। আর শারীরিক দুর্বলতা ও মানসিক অবস্থা অনুকূলে না থাকায় অপারেশনও করা যাচ্ছিলো না। এরপর একদিন উক্ত পীরবোনের ছেলে খালার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সোহবত মুবারকে যাওয়ার পূর্বে খালাকে বলে আমার নিজের কাছে যে টাকা আছে তা হাদিয়া মুবারক করে দোয়া নিলে আমার আম্মু ভাল হয়ে যাবে। তারপর উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট হাদিয়া দিয়ে খাছভাবে দোয়া মুবারক চান। এরপর ধীরে ধীরে পীরবোনের অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে আসেন। বাসায় অবস্থান করা অবস্থায় একদিন হঠাৎ করে উনার হাঁচি আসে। হাঁচির শব্দ শুনে পীরবোনের ভাই বলেন যে, “তোমার ফুসফুস কাজ করছে তাই হাচিঁ এসেছে। এরপর উনারা ডাক্তারের কাছে গিয়ে টেষ্ট করানোর পর ডাক্তার বলে, আপনার ফুসফুস অনেকটাই ভালোর দিকে। এর কিছুদিন পর টেষ্ট গুলো পূণরায় করানো হলে ডাক্তার বলে, ফুসফুস পুরোপুরি ভাল হয়ে গিয়েছে, ছিদ্রও ভরাট হয়ে গিয়েছে। সুবহানাল্লাহ! শুধুমাত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নেক দৃষ্টি ও ফায়িজ-তাওয়াজ্জু মুবারকের কারণে এত কঠিন রোগ থেকে মহান আল্লাহ পাক উক্ত পীরবোনকে পরিত্রান দান করেন। সুবহানাল্লাহ!
৭। উত্তরার এক পীরবোনের মেয়ের বয়স যখন ২ বছর সম্পুর্ণ হতে ১ মাস বাকি ছিল তখন থেকেই তাকে দুধ ছাড়ানোর অনেক চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিছুতেই বাচ্চাকে দুধ ছাড়াতে পারছিলেন না। এমনকি সে বারতি খাবার খাওয়াও বাদ দিয়ে দিয়েছিলো। অতঃপর উক্ত পীরবোন মেয়েকে কোলে নিয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি উনাকে জানান। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বাচ্চাটির দিকে তাকিয়ে বলেন, “মায়ের দুধ আর খাওয়া যাবেনা, বুঝছো”? উনার পবিত্র জবান মুবারক নিসৃতঃ এই কথা মুবারক শুনে উক্ত বাচ্চাটিও হালকা মাথা নাড়ায়। উক্ত পীরবোন বলেন, ঐ বেলা থেকেই বাচ্চাটি আর মায়ের দুধ পান করেনি। আর দুধ পান করার জন্য জ্বালাতনও করেনি। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ। উনার দুয়া মুবারক, ফুঁ মুবারক যাহিরী এবং বাতিনী শিফা বা আরগ্যদানকারী। তিনি মহাপবিত্র আয়াত শরীফ “কুন-ফায়াকুন” উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব। তিনি উনার পবিত্র যবান মুবারকে যা কিছু বলেন তা অবশ্যই ঘটে। সুবহানাল্লাহ!
তাই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি যা নসীহত মুবারক করেন সেই অনুযায়ী আমল করলে এবং ইস্তেকামত থাকলে অবশ্যই মহান আল্লাহপাক তিনি সকলকে কামিয়াবী দান করবেন। ইনশা‘আল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকলকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পুর্ন পায়রবী করার তাওফীক দান করেন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)