২১৯ পর্ব:
তোমরা জেনে রাখ, সৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত যেহেতু আখিরী নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শেষ নবী এবং শেষ রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যত নবী এসেছিলেন সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা আহলিয়া ছিলেন উনারা ঈমানদার ছিলেন তবে দু’জন ব্যতীত। সেটাই বলা হচ্ছে-
كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ
দু’জন আমার বন্দার অধীন ছিলো তারা।
مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ
দু’জন নেককার বান্দা, দু’জন নবী এবং রসূল আলাইহিমাস সালাম।
فَخَانَتَاهُمَا
এরা আমানতের খিয়ানত করেছে।
فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللَّهِ شَيْ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ نِصْفَ دِيْنِهٖ فَلْيَتَّقِ اللهَ فِي النِّصْفِ الْبَاقِيْ
অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মানুষ যখন বিবাহ করে তখন সে তার সম্মানিত দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করে। বাকী অর্ধেকের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করা তথা তাক্বওয়া অবলম্বন করা উচিত।” (শুয়াবুল ইমান, ম বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আবুল খায়ের আকতা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “আকতা” লক্ববের হাক্বীক্বত
হযরত আবুল খায়ের আকতা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এক সময় লেবাননের পাহাড়ে থাকতেন। একদিন বাদশাহ এসে ওই পাহাড়ের সকল ফকীরকে একটি করে দীনার দিলেন। হযরত আবুল খায়ের আকতা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও দীনার গ্রহণ করলেন। কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে উনার এক সঙ্গীর কোলে দীনারটি ফেলে দিলেন। অতঃপর তিনি উনার সঙ্গীসহ মাল-সামনা নিয়ে শহরের দিকে যাত্রা করলেন। ঘটনাক্রমে তাড়াহুড়ার মধ্যে তিনি বিনা ওযুতে পবিত্র কুরআন শরীফ উঠিয়ে নিজের সঙ্গে নিলেন। উনারা যখন এক বাজারে এলেন তখন দেখলেন বাকি অংশ পড়ুন...
২১৮ পর্ব:
এখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে-
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ
কাফির মুনাফিক্বদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন। এই বেয়াদবগুলি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে চূ-চেরা কিল ও কাল করে নিজেরা কাফির ও জাহান্নামী হচ্ছে, মুসলমানদেরকেও বিভ্রান্ত করতেছে। নাউযুবিল্লাহ! কাজেই এদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠিন জিহাদ ঘোষণা করুন, দৃঢ় হউন। অর্থাৎ উম্মতদেরকে বলেন এদের বিরুদ্ধে যেন শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এদের জায় ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম, এটা নিকৃষ্ট একটা জায় ঠিকানা। এরা জাহান্নামের কিট। এদের কোন ইজ্জত- স বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেছেন,
أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلّى الله عليه وسلم يَقُولُ: ্রلَنْ يَحْنُوَ عَلَيْكُمْ بَعْدِي إِلَّا الصَّالِحُونَগ্ধ
সাবধান হয়ে যাও! নিশ্চয়ই আমি শুনেছি। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন। কি করেছেন?
لَنْ يَحْنُوَ عَلَيْكُمْ بَعْدِي إِلَّا الصَّالِحُونَ
আমার পরে যারা নেককার, আল্লাহ ওয়ালা, আল্লাহ ওয়ালী উনারাই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ হুসনে যন পোষণ করবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
(বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী
ইলমে তাছাওউফ হাছিল
অতঃপর ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরয করলেন, হে আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খ¦মীস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহিলাদের মীরাস কত অংশ? তিনি বললেন, মহিলার অংশ পুরুষের অর্ধেক। এ উত্তর শুনে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন-
هذا قول جدك ولو حولت دين جدك لكان ينبغى فى القياس ان يكون للرجل سهم وللمرأة سهمان لأن المرأة اضعف من الرجل
অর্থ: এটা আপনার সম্মানিত নানাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাকি অংশ পড়ুন...
খাতসমূহের মধ্যে যাদেরকে যাকাত দেয়া অধিক উত্তম :
সম্মানিত যাকাত প্রদানের আট প্রকার খাতের মধ্যে তিন প্রকার খাতে সম্মানিত যাকাত দেয়া উত্তম। যেমন,
১। নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজন : নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজন যদি তাদের আক্বীদা, আমল বিশুদ্ধ থাকে। তা খেয়ে পরে যদি মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করে। এর ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিকে সম্মানিত যাকাত দিলে তা আদায় হবে না। যদিও নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজন হোক না কেন।
২। গরীব প্রতিবেশী : এ ক্ষেত্রেও উক্ত ১নং শর্তের অনুরূপ।
৩। গরীব ত্বলিবুল ইলম : যারা দ্বীনি ইলম্ অন্বেষণ করে। তাদেরকে সম্মানিত যাকাত দ বাকি অংশ পড়ুন...
২১৬ পর্ব:
وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ
আর যারা উনার সাথে ঈমানদার রয়েছেন উনাদেরকেও সম্মানিত করা হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তোমাদেরকেও সম্মানিত করা হবে।
نُورُهُمْ يَسْعَى بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
কিভাবে সম্মানিত করা হয়েছে? যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক বলে দিচ্ছেন, খালিছ তওবা করো। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গি (হাক্বীক্বী উম্মত) হয়ে যাও। তাহলে ঈমানদার তোমাদেরকে সম্মানি বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: তারা মুরতাদদের শাস্তি প্রদানে ব্লাসফেমী আইন চেয়ে থাকে। এই আইন জারীর জণ্যে তারা পূর্বে আন্দোলন করেছে, এখনো করছে।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ব্লাসফেমী আইন ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত আইন। এই আইন চাওয়ার অর্থই হলো, ইসলামকে নাক্বিছ বা অপূর্ণ মনে করা। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। মুরতাদের শাস্তির বিধানসহ সকল বিষয়েরই ফায়ছালা ইসলামে রয়েছে। সুতরাং মুসলমানদের জন্যে ব্লাসফেমী আইন চাওয়া এবং তা কার্যকর করার জন্য আন্দোলন করা হারাম ও কুফরী।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যি বাকি অংশ পড়ুন...
শিক্ষা জীবন:
সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুসলিম সমাজের নিয়মানুসারে শৈশবকালে সর্বপ্রথম কুরআন শরীফ পাঠ আরম্ভের মাধ্যমেই শিক্ষা জীবন শুরু হয়। অতি শৈশবেই প্রথম কুরআন শরীফ পাঠ শিক্ষা করার পর জিলান নগরীর এক মক্তবে উনাকে ইলিম হাছিলের জন্য ভর্তি করে দেয়া হয়। অবশ্য তিনি এই মক্তবে ভর্তি হওয়ার পুর্ব থেকে ঘরে বসে উনার মাতার মুবারক মুখে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত শুনে এর অনেকাংশই কণ্ঠস্থ করে ফেলেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম
উনার সাথী
আগ্রা বাকি অংশ পড়ুন...
২১৫ পর্ব:
কিন্তু পরবর্তী সময় যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন তোদের শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। শুধু বেত্রাঘাত করলেই চলবে না শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদন্ড, এর থেকে রেহাই নেই। পরবর্তীতে পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে। এটা আমরা সামনে আলোচনা করবো। এরপর যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
ঈমানদারদেরকে, সাবধান হয়ে যাও! জাহান্নামের কথা তোমরা শুনেছো?
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَّصُوحًا
হে ঈমানদারেরা! তোমরা যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
যানবাহনে পবিত্র ছলাত বা নামায পড়ার তারতীব বা নিয়ম
কোন যানবাহনে যেমন লঞ্চ, স্টীমার কিংবা গাড়ীতে নামায পড়া অবস্থায় ক্বিবলা ঘুরে গেলে নামাযী ব্যক্তিকে নামাযরত অবস্থায়ই ক্বিবলা উনার দিকে ঘুরে নামায শেষ করতে হবে। অন্যথায় নামায হবে না। আর যদি এমন অবস্থা হয় যে, ক্বিবলা উনার দিকে ফিরা সম্ভব না হয়, তখন নামায ছেড়ে দিয়ে পুনরায় ক্বিবলা উনার দিকে মুখ করে নিয়ত বেঁধে নামায আদায় করতে হবে।
জেনে রাখা জরুরী যে, লঞ্চ-স্টীমার বা রেলগাড়ী ইত্যাদিতে সফররত অবস্থায় যখন নামায পড়তে যাবে, তার পূর্বে উক্ত যানবাহন কত সময় একই দিকে চলবে তা জানতে হবে। যখন একই দ বাকি অংশ পড়ুন...












