পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছাম্ম মাস অতি সম্মানিত ও ফযীলতপূর্ণ মাস। এই পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছাম্ম মাস উনার সম্মানিত পহেলা রাতটি অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ও বরকতময়। যা গোটা উম্মাহর জন্য তওবা-ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির করা এবং খাছভাবে দোয়া কবুলের রাত। পাশাপাশি পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠের রাত। সুবহানাল্লাহ!
বিশেষ করে এই পবিত্র মাস উনার এক বিশেষ রাত যা রহমত, বরকত ও সাকীনায় ভরপুর খাছভাবে দোয়া কবুলের রাত তা হচ্ছে পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল হা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হিজরী সন উনার ৭ম মাস হলো পবিত্র ‘রজবুল আছাম্ম’ অর্থাৎ বধির রজব মাস। এ পবিত্র মাস বান্দাদের গুনাহের সাক্ষী হয় না বলেই এ মাস উনাকে পবিত্র রজবুল আছাম্ম বা বধির রজব মাস বলা হয়। অত্র পবিত্র মাহে রজব উনার সম্মানিত পহেলা তারিখের রাতে বান্দা-বান্দী উনাদের যে কোনো দোয়া মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করে থাকেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে, “নিশ্চয়ই বান্দা-বান্দী উনাদের দোয়াসমূহ বিশেষ পাঁচটি রাতে কবুল হয়ে থাকে। ১. পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছাম্ম উনার সম্মানিত পহেলা রাত ২. পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনার সম্মানিত রাত ৩. পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা দোয়া তথা মুনাজাতের মাধ্যমে আমার কাছে চাও, আমি তোমাদের চাহিদাকে পূর্ণ করবো।” সুবহানাল্লাহ!
আর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট চায় না, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি গোসসা করেন।” সুবহানাল্লাহ!
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মর্ম উপলব্ধি করেই হক্কানী-রব্বানী হযরত আউলিয়ায়ে কির বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সম্মানিত হিজরী সন উনার ৭ম মাস পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ। মাসটি শাহরুল্লাহিল হারাম বা রজবুল হারাম শরীফ হিসেবে পরিচিত। পবিত্র রজব মাস উনাকে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রজুবুল আছাম্ম বা বধির মাস বলা হয়েছে। পবিত্র মাসটি বান্দা-বান্দীর গুনাহের সাক্ষী হয় না।
এ সম্মানিত রজব মাস উনার প্রথম রাত জিন-ইনসান বান্দা-বান্দীর সকল দোয়া যিনি খলিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ্ পাক তিনি কবুল করে থাকেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “নিশ্চয়ই বান্দা-বান্দী উনাদের দোয়াসমূহ বিশেষ পাঁচটি রাতে কবুল হয়ে থাকে। ১. পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম র বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই দোয়া পাঁচ রাত্রে কবুল হয়ে থাকে। পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছম্ম মাস উনার পহেলা রাতে, পবিত্র দুই ঈদ উনার দুই রাতে, পবিত্র শবে বরাতে ও পবিত্র শবে ক্বদরে। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছম্ম মাস উনার পহেলা রাতে বান্দা-বান্দী ও উম্মতের প্রতিটি দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে। যেরূপভাবে পবিত্র শবে বরাত ও পবিত্র শবে ক্বদরে কবুল হয়ে থাকে। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে, পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছম্ বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থ্যাৎ উনাদের ঘোষণাকৃত চারটি হারাম বা সম্মানিত মাস উনাদের মধ্যে একটি হলো পবিত্র রজবুল হারাম মাস।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার মাস, পবিত্র শা’বান শরীফ হলেন আমার মাস এবং পবিত্র রমাদ্বান শরীফ হলেন আমার উম্মতের মাস।” সুবহানাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
তথাকথিত আহলে হাদীছ, সালাফীরা বিভিন্ন দলে ও মতবাদে বিভক্ত। তারা হক্বচ্যুত বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত সেটাও উনার বিরোধিতারই কারণে। আহলে হাদীছের তথা সালাফীদের ইমাম দাউদ গযনবী। অবশ্য তার অন্তরে ইমাম মুজতাহিদ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছুটা সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ ছিল। তিনি ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম মুবারক অত্যন্ত আদব সম্মানের সাথে নিতেন। বর্ণনাকারী বলেন, একদিন আমি উনার খিদমতে হাজির হলাম। ইতিমধ্যে আহলে হাদীছের ঐক্য ও সংগঠন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তিনি একপর্যায়ে বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اَمَّا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيٌّ النَّقِيُّ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَلَهٗ مِنَ الْأَبْنَاءِ سِتَّةً
অর্থ: “ইমামুল ‘আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবুল হাসান সাইয়্যিদুনা হযরত আলী নক্বী আলাইহিস সলাম উনার মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন মোট ৬ জন।” সুবহানাল্লাহ! (আশ শাজরাতুল মুবারকহ ১/২২)
উনারা হচ্ছেন-
১. ইমামুল হাদী ‘আশার মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ মুহম্মদ সাইয়্যিদুনা হযরত হাসান আসকারী আলাইহিস সালাম।
২ সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ আলাইহিস সালাম। তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ رَجُلٌ رَأَيْتُ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامَ الْعَاشِرَ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدَنَا حَضْرَتْ عَلِىَّ بْنَ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَمَعَهٗ جِرَابٌ لَيْسَ فِيْهِ شَئٌّ فَقُلْتُ اَتَرٰى مَا تَصْنَعُ بِهٰذَا فَقَالَ اَدْخِلْ يَدَكَ فِيْهِ فَأَدْخَلْتُهَا فَمَا وَجَدْتُّ شَيْئًا فَقَالَ أَعِدْ فَأَعَدْتُ يَدِيْ فَإِذَا هُوَ مَمْلُوْءٌ دَنَانِيْرَ.
অর্থ: “এক ব্যক্তি বলেন, আমি (একদিন) সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল ‘আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখলাম। উনার সাথে একটি খালি থলি ছিলো। আমি বললাম, ইয়া সাইয়্যিদী! আপনি এটা দিয়ে কি করেন? বাকি অংশ পড়ুন...
মুবারক নাম ও পরিচিতি:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও আহলে বাইত শরীফ উনার দশম ইমাম। উনার মূল নাম মুবারক হযরত আলী নক্বী আলাইহিস সালাম। তবে উনার মুবারক নাম এবং কুনিয়াত বা উপনাম মুবারক আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিম, বাবুল ইলমে ওয়াল হিকাম, ইমামুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম এবং ইমামুল আউলিয়া, আ বাকি অংশ পড়ুন...
৮. পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি আদব:
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللهِ الْإِسْلَامُ
অর্থ: নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে সম্মানিত ইসলাম। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِيْ أَرْسَلَ رَسُولَهٗ بِالْهُدٰى وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهٗ عَلَى الدِّينِ كُلِّهٖ وَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًا
অর্থ: সেই মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল বাকি অংশ পড়ুন...
কোন স্থান, এলাকা, ব্যক্তি, বস্তু যে কোন নামের খারাপ অর্থ থাকলে অথবা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের খিলাফ থাকলে সম্মানিত দ্বীন ইসলামে এর ফায়সালা রয়েছে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খ¦তামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এরূপ নামগুলো পাল্টিয়ে ভালো অর্থবোধক ও সুন্দর ছিফতযুক্ত নাম রাখতেন। এবং ইহা অবশ্যই জায়িয ও সুন্নত। অনেকে মনে করে থাকে, এরূপ নাম পাল্টানো শরীয়তে জায়িয আছে কি-না? মূলত শুধু জায়িযই নয় বরং সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ বা বিরোধী নামসমূহ পরিবর্তন বাকি অংশ পড়ুন...












