মুবারক নাম ও পরিচিতি:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও আহলে বাইত শরীফ উনার দশম ইমাম। উনার মূল নাম মুবারক হযরত আলী নক্বী আলাইহিস সালাম। তবে উনার মুবারক নাম এবং কুনিয়াত বা উপনাম মুবারক আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিম, বাবুল ইলমে ওয়াল হিকাম, ইমামুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম এবং ইমামুল আউলিয়া, আ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত পিতা ও মাতা:
সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, কুতুবুল বাররি ওয়াল বাহার, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত পিতা ও মাতা উভয়ই ছিলেন বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ। উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মুবারক হযরত সাইয়্যিদ গিয়াসুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি।
তিনি ছিলেন সে যুগের অন্যতম বিশিষ্ট আলিম ও যাহিদ এবং সর্বাধিক ইবাদত গুজার মহান ব্যক্তিত্ব। ইলিম, আক্বল ও সমঝের গভীরতার কারনে সবাই উনাকে সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে গ্রহ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস:
যদি আকাশ মেঘলা থাকে, তাহলে সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাসে শুধু একজন পুরুষ বা একজন মহিলা চাঁদ দেখলেই যথেষ্ট হবে। আর যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে বহুসংখ্যক লোক চাঁদ দেখা আবশ্যক।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
وَإِذَا كَانَ بِالسَّمَاءِ عِلَّةٌ قَبِلَ الْإِمَامُ شَهَادَةَ الْوَاحِدِ الْعَدْلِ فِي رُؤْيَةِ الْـهِلَالِ رَجُلًا كَانَ أَوْ اِمْرَأَةً حُرًّا كَانَ أَوْ عَبْدًا.
অর্থ: আর যখন আকাশে কোন ত্রুটি থাকবে অর্থাৎ আকাশ যখন মেঘলা থাকবে, তখন ইমাম সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাসের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে একজন ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তির সাক্ষি গ্রহণ করবেন, হোক সেই ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এর মধ্যে অনেক ইবরত-নছীহত রয়েছে। একদিক থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়া ফরয-ওয়াজিব। আরেকদিক থেকে উনারা চিন্তিত। মহান আল্লাহ পাক তিনি বরদাশ্ত করলেন না। উনারা চিন্তিত থাকবেন এটা কি করে হতে পারে। উনাদেরকে চিন্তা মুক্ত করতে হবে সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং হাদিয়া পাঠিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! বিষয়টা কিন্তু খুব সূক্ষ্ম বিষয়। এর মধ্যে অনেক, লক্ষ-কোটি ইবরত নছীহত রয়েছে এবং উনারা য বাকি অংশ পড়ুন...
৫. হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সাথে আদব:
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার প্রতি রুজু হয়েছেন উনাকে অনুসরণ করো।” (পবিত্র সূরা লুক্বমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)
পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَادَ لِيْ وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهٗ بِالحَرْبِ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, খালিক্ব মালিক রব বাকি অংশ পড়ুন...
الْحَمْدُ لِلّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা রব্বুল আলামীন তথা সারা আলমের রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। (পবিত্র সুরা ফাতিহা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১)
অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই নিজেকে রব্বুল আলামীন হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন। আবার মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
অর্থ: আমি আপনাকে রহমতুল্লিল আলামীন তথা সারা আলমের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে প্রেরণ করেছি। (পবিত্র সুরা আম্ বাকি অংশ পড়ুন...
(খ) খোসার হলেই হালাল নয়।
খোসার হচ্ছে হিব্রু শব্দ এর অর্থ ইহুদীদের নিয়ম অনুসারে যা হালাল। ইহুদীরা শুকোরের গোশ খায়না ফলে যে প্রোডাক্টগুলো শুকরের গোশত মুক্ত সেখানে তারা কয়েকটি সিম্বল ব্যবহার করে যেমন ট, ক ইত্যাদি। ফলে সাধারন মুসলমানগণ কোন খোসার সিম্বলযুক্ত প্রোডাক্ট দেখলে তারা সেটা হালাল মনে করে খেয়ে নেনে কারণ তারা এইভেবে নিশ্চিত হন যে কমপক্ষে তাতে শুকোরের গোশত নেই। কিন্তু কেবল শুকোরের গোশত থাকলেইতো হারাম হয় না।
খোসারের নিয়মের সাথে সম্মানিত শরীয়তের নিয়মের কোন মিল নেই। কারণ ইহুদীদের একেক রাবাই অনুযায়ী একেক রকম খোসারের ব্যখ্ বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এখন উনার যিনি আওলাদ, লখতে জিগার তিনি তো সেই রকমই করবেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা তো সব দান-খয়রাত করে দিয়েছেন। এখন তো মেহমানদারী করতে হবে। এখন উনারা যে সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ পাক খালিক্ব মালিক রব উনার উপর তাওয়াক্কুল করতেন-
مَنْ يَّتَوَكَّلْ عَلَى اللهِ فَهُوَ حَسْبُهٗ
যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই ব্যক্তি উনার জন্যে যথেষ্ট। মহান আল্লাহ পাক তিনি সবসময় প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, দেখ- উনারা কিন্তু দুনিয়াবী কোন মাল-সামানার মুহ্তাজ নন। উনারা সরাসরি আমার মুহ্তাজ। সুবহানাল্লাহ! এখন হযরত ই বাকি অংশ পড়ুন...
২. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে পবিত্র আদব:
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ
অর্থ: “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রসূল ব্যতীত অন্য কিছু নন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৪)
এ প্রসঙ্গে পবিত্র আক্বাইদ উনার কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
مُـحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيُّهٗ وَعَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ وَصَفِيُّهٗ وَن বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুশমন, ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কাট্টা কাফির আবু রাফে’কে মূলোৎপাটনের ঈমানদীপ্ত কাহিনী
হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা খাযরাজ গোত্রের কিছু লোক কাট্টা ইয়াহুদী আবু রাফে’কে হত্যার জন্য হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুমতি প্রার্থনা করলেন। আবু রাফে’র ষড়যন্ত্র ও শত্রুতার বিষয়ে পূর্ব থেকেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবগত ছিলেন। সুতরাং তিনি খাযরাজ গোত বাকি অংশ পড়ুন...
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী এবং দেশব্যাপী লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ
১৫০০ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার বাল্যকাল থেকেই কিতাব সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। সে কারণে উনার সুমহান আম্মাজান হযরত উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহাস সালাম (আমাদের সম্মানিত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম) তিনি হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার কিতাব কেনা এবং তা রাখার জন্য আলমারি বানিয়ে দেয়া সহ বিশেষ ব্যবস্থা নিতেন। সুবহানাল্লাহ! আলমারির সংখ্যা সহস্রের ঘরে পৌঁছে যাবার পথে আর কিতাব সংখ্যা লক্ষের ঘরে পৌঁছেছে অনেক আগেই। কত ট বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
উনাদের যে মর্যাদা-মর্তবা, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের জীবনী মুবারক-এ রয়েছে, সুলত্বানুল হিন্দ হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, আরও অনেকেই। উনারা জায়নামায তুললে দেখেছেন তার নীচে অনেক স্বর্ণ, মণি-মুক্তা, হীরা-জহরত-এর নহর চলছে অর্থাৎ এটা একটা উনাদের কারামতের অন্তর্ভুক্ত। এই যে কারামতের বিষয়টা এ বিষয়টা কিন্তু প্রথম প্রদর্শন করিয়েছেন দেখিয়েছেন কে? স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...












